প্রশ্ন : আপনি কোর্সে দাঁত ব্রাশ করার ব্যাপারে বলেন রাতে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে। কিন্তু সকালে এই লালা খুব ভালো এবং খালি পেটে পানি খেয়ে নিলে এটি পচনের জন্যে ভালো। ফলে দাঁত ব্রাশ করা উচিত সকালে নাশতা খাওয়ার পরে।
উত্তর : প্রথম যেটা হচ্ছে যে, রসুলুল্লাহ (স) রাতে ঘুমোনোর আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথম যে কাজ করতেন সেটা হচ্ছে তিনি মেসওয়াক করতেন।
রাতে ঘুমানোর আগে শেষ কাজ ছিল মেসওয়াক করা। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে মেসওয়াক করে তারপরে ওজু করতেন, তারপরে নামাজ পড়তেন।
তো এটা যেহেতু এটা রসুলুল্লাহ (স) নিয়মিত পালন করতেন একদিক থেকে এটা তো সুন্নত।
দুই হচ্ছে যে, আগের গবেষণা ছিল যে ডাক্তাররা বলতেন নাশতা খাওয়ার পরে ব্রাশ করার কথা।
কিন্তু আধুনিককালে ডাক্তাররা সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করতে বলছেন। এটা উপকারি বেশি। সারারাতে যে সমস্ত জীবাণুটিবাণু ব্যাকটেরিয়া-ট্যাক্টেরিয়া জমে থাকে সেগুলো পরিষ্কার হয়ে যায় সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করলে।
তো এটা যখন আমি দেখলাম, আমি ফিল করলাম আল্লাহর রসুল কত সায়েন্টেফিক ছিলেন! কত স্বাস্থ্য সচেতন ছিলেন!
আসলে নবী-রসুল যারা ছিলেন তারা তো সরাসরি জ্ঞান লাভ করতেন আল্লাহর কাছ থেকে।
পরবর্তী সময়ে দেখা যায় যে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে সেই জ্ঞানের সত্যতাকে অথেনটিকেট করেন, সত্যায়িত করেন।
অতএব দাঁত ব্রাশ করার ব্যাপারে আমরা আমাদের বক্তব্যটাকেই সত্যায়িত করছি।
সেটা হচ্ছে রাতে খাওয়াদাওয়া করার পরে, শোয়ার আগে ব্রাশ করা। এবং সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে ওজু করে নামাজ পড়া (যাদের জন্যে নামাজ প্রযোজ্য)।
এবং নামাজ যাদের ওপর ফরজ তারা নামাজের ব্যাপারে গাফেলতি করবেন না।
নামাজের ব্যাপারে যদি গাফেলতি করেন তাহলে আসলে প্রশান্তিটা স্থায়ী হবে না।
[সজ্ঞা জালালি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০]