মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকতে পারে এবং কোন উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেটি নিয়ে নানামুখী গবেষণা হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়।
এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবন-যাপনের পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকরা।
মানুষ সচরাচর যে ধরণের খাবার খায়, সেগুলো হচ্ছে – শর্করা, প্রোটিন এবং ফ্যাট বা চর্বি জাতীয় খাবার।
জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের দেশে করোনায় মৃতের হারের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে এই মৃতের হার ১৯ গুণ বেশি।
এবং এর কারণও আমরা বলেছিলাম যে, এর কারণ হচ্ছে বাঙালির সহজাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
এই সহজাত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে—
১. সকালে আধা চা চামচ পরিমাণ কালো জিরা, এক চামচ মধু এক কোষ কাঁচা রসুন চিবিয়ে নাশতার আগে নিয়মিত খাবেন।
২. ফাস্টফুড, চিনি, চিনিজাত খাবার পুরোপুরি বর্জন করবেন। আসলে চিনি আর বিষের মধ্যে কোনো তফাৎ নাই। যাদেরই যে-কোনো ধরনের চর্মরোগ বা টিউমার রয়েছে, ক্যান্সার রয়েছে তারা চিনিকে মরণবিষের মতো বর্জন করবেন।
৩. নিয়মিত নরমাল ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন। ঈষদুষ্ণ পানি বা গরম পানি দিয়ে কখনো গোসল করবেন না। শীতের সময় পানি বেশি ঠান্ডা থাকলে গরম পানি মিশিয়ে নেবেন ঠান্ডা পানির সাথে।
কিন্তু তারপরও পানির তাপমাত্রা যেন শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে কম থাকে। অর্থাৎ পানিটা যাতে একটু ঠান্ডা-ঠান্ডা লাগে। এবং নরমাল পানি দিয়ে গোসল সব সময়ই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পাশ্চাত্যের মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, তারা ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসল করে।
৪. সোশাল মিডিয়া ও যে-কোনো ভার্চুয়াল আসক্তিকে ডিজিটাল মাদক হিসেবে গণ্য করবেন। নিজেকে, নিজের পরিবারকে এটা থেকে রক্ষা করবেন।
আর নিয়মিত দম চর্চা-ইয়োগা-মেডিটেশনের পাশাপাশি নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে নিয়মিত প্রার্থনা করবেন, কারণ যেহেতু পরম প্রভুর বিশেষ অনুগ্রহভাজন জাতি আমরা।
নিয়মিত প্রার্থনা তাঁর এই অনুগ্রহ, তাঁর এই রহমতের পরিমাণ আমাদের ওপর আরো বাড়িয়ে দেবে।