কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত নয় দিনে (১৭ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই) সারা দেশে প্রায় ৬ হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
গত দুইদিনে ঢাকা থেকে বিভিন্ন মামলায় ২ হাজার ২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ডিএমপির তথ্যমতে, গত নয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২৩৪টি মামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় অজ্ঞাতনামা কয়েক লাখে ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শুক্রবার ঘিরে পুলিশের সতর্কতা
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) জুমার নামাজের সময় বিক্ষোভের আশঙ্কায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন চেয়েছে ডিএমপি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপারেশন বিভাগের উপ-কমিশনার আবু ইউসুফ বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের মাধ্যমে বাড়তি লোকবল চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এর বাইরে পুলিশের সদস্যদের ইউনিফর্মে অথবা সাদা পোষাকে একা না চলাফেরা করতে সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে।
শুধু কদমতলী থানার মামলাতেই আট হাজার আসামি
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুই পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রায় আট হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ঐ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুধু কদমতলী, যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকা থেকেই এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গত কয়েকদিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় নারায়নগঞ্জে ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে আরও ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে নতুন পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
তিনি বলেন, নতুন মামলার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দুটি এবং ফতুল্লা ও সদর থানায় একটি করে মামলা করা হয়েছে।