আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘সামাজিক যোগাযোগকে গুরুত্ব দিন’।
আসলে ‘সামাজিক যোগাযোগকে গুরুত্ব দিন’ যখনই আমরা বলি, তখন বোঝা যায় যে, আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না বলেই আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, ‘সামাজিক যোগাযোগকে গুরুত্ব দিন’। এবং আসল সত্যটা এই বাক্য থেকেই বেরিয়ে আসছে যে, আমাদের সামাজিক দূরত্ব বেড়ে গেছে।
তো সামাজিকতার ক্ষেত্রে বাঙালির যে ঐতিহ্য এটা চিরায়ত এবং বিশ্বখ্যাত। একটা সময় ছিল যখন দুইজন বাঙালি একত্র হলে (তিনজন হলে তো কথাই নাই) কথার পর কথা চলতে থাকত। বাসে-লঞ্চে-ট্রেনে যানবাহনে সহযাত্রীদের কথার তোড়ে কখন যে গন্তব্যে আপনি পৌঁছে যেতেন অনেক সময় টেরও পাওয়া যেত না, তাড়াহুড়া করে নামতে হতো যে, না গন্তব্য এসে গেছে!
এখন জিনিসটাই উল্টে গেছে। বাসে ট্রেনে বিমানবন্দরে এরা যে বাঙালি বোঝা মুশকিল! সবাই ঘাড় নিচু করে আছে স্মার্টফোন নিয়ে বা ল্যাপটপ নিয়ে বা অন্যকিছু নিয়ে আরকি। শুধু বাসে ট্রেনে না, সামাজিক অনুষ্ঠানে-বিয়ের আসরেও দেখা যায় যে, কেউ কারো সাথে খুব একটা কথা বলছে না, ব্যস্ত। তবুও আমাদের এখানে আমরা তো কিছু কথা বলি।
ইউরোপ-আমেরিকা পাশ্চাত্যে এই অবস্থাটা আরো খারাপ। কারণ যখনই মানুষ বিলাসী পণ্যের প্রতি আসক্ত হয় তখনই সে স্বার্থকেন্দ্রিক হয়ে যাবে, স্বার্থের বাইরে কিচ্ছু না।
এবং এই স্বার্থকেন্দ্রিকতা মানুষকে নিঃসঙ্গ বিষণ্ন একাকিত্বের মধ্যে নিক্ষেপ করে এবং পাশ্চাত্যে এই নিঃসঙ্গতা মহামারির রূপ নিয়েছে। তাদের আপনজন নেই, আত্মীয়-বন্ধু নেই। মৃত্যুর সময় সম্পত্তি পোষা বিড়াল বা কুকুরের জন্যে উইল করে দেয়া এবং এখন লেটেস্ট ট্রেন্ড হচ্ছে যে, মানুষ যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না, তো রোবটকে সঙ্গী বা সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নেয়া।
তো এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, নিঃসঙ্গতা সেখানে কোন পর্যায়ে চলে গেছে। প্রতি পাঁচজনে একজন আমেরিকান প্রতিদিনই নিজেকে একা মনে করে। বিপদে বা বিশেষ প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানোর মতো কাউকে পায় না।
এটা হচ্ছে একেবারে রিসেন্ট নিউজ- এবিসি নিউজের ১৭ অক্টোবর ২০২৪-এর খবর।
যুক্তরাষ্ট্রে চাকরিজীবীদের ৬২ শতাংশ তারা প্রায়ই নিজেকে একা মনে করে, কাছের কোনো মানুষ নাই।
আমেরিকার স্কুলগুলোতে ২০১২ সালে যত কিশোর-কিশোরী নিঃসঙ্গ থাকত, ছ’বছরের মাথায় ২০১৮ সালে এই নিঃসঙ্গ কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি, তিনি আমেরিকার নিঃসঙ্গতাকে ‘মহামারি’ বলেছেন। গত ৪০ বছরে আমেরিকায় নিঃসঙ্গতার হার দ্বিগুণ বেড়েছে!
তো বৃটেনের কী অবস্থা? ৭৬ শতাংশ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানদের মতামত হলো, কেবল নিঃসঙ্গতা থেকে একটু রেহাই পাওয়ার জন্যে তাদের কাছে প্রতিদিন একাধিক রোগী আসে। কোনো রোগ নিয়ে না, বরং কথা বলার কেউ নাই তাই ফিস দিয়ে হলেও কথা বলতে আসে।
জাপানেরও একই অবস্থা। এবং বৃটেন ও জাপানে নিঃসঙ্গতা রোধে আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে, মন্ত্রীও আছে।
অর্থাৎ মানুষ যখন বস্তুকেন্দ্রিক হয়ে যায়, তখন নিঃসঙ্গতা হচ্ছে তার পরিণতি।
তো আসলে যারা সামাজিকভাবে নিঃসঙ্গ তারা সবসময় মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে থাকে এটা হচ্ছে পরিসংখ্যান। তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ৩২ শতাংশ।
ডিমেনশিয়ার মতো স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ এবং অকালমৃত্যুর ঝুঁকি ২৯ শতাংশ।
অন্যদিকে যে ব্যক্তির জীবনে এমন কিছু মানুষ আছে যারা তার ব্যাপারে কেয়ার করে, নিয়মিত যোগাযোগ রাখে তাদের ভালো থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাদের জ্বর-সর্দি কম হয়। স্ট্রোক রোগ ও বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় একদল গবেষক কয়েকশ’ মানুষের ওপর ৭৫ বছর ধরে গবেষণা চালিয়েছেন। বোঝা যায় যে, এক প্রজন্মে না, দুই প্রজন্ম বা তিন প্রজন্মের গবেষণা।
তাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে- শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু জীবনমান কেমন হবে সেটা সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে নিকটজনের সাথে তার সম্পর্ক কতটুকু গভীর। এই যে শরীরিক সুস্থতা অটুট রাখতে সামাজিক যোগাযোগের যেহেতু বিকল্প নাই, যন্ত্র বা পোষা প্রাণী মানবিক নৈকট্যের প্রয়োজন পূরণ করতে যেহেতু পারে না সেজন্যে এই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়ানো এবং একাকিত্ব ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা ২০২৩ সালে বিশেষ কমিশন গঠন করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ অর্থাৎ মানুষে মানুষে বাস্তবে মেলামেশা এটাকে তারা বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। পৃথিবীর জনস্বাস্থ্যের জন্যে অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচি হচ্ছে এটা যে, সামাজিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে।
কেন বাড়াতে হবে? তারা বলছেন যে, সামাজিক সম্পর্ক মজবুত না হলে হৃদরোগ স্ট্রোক ডায়াবেটিস স্মৃতিভ্রংশ বিষণ্নতা উদ্বেগ ও আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ে। এবং ধূমপান, মদে আসক্তি ও স্থূলতার মতোই ক্ষতিকর হচ্ছে নিঃসঙ্গতা।
আমেরিকান সমাজবিজ্ঞানী কেসলি কিলাম, ‘দি আর্ট এন্ড সায়েন্স অব কানেকশন’ নামে একটা বই লিখেছেন এবং গার্ডিয়ান পত্রিকা জুন ১৪, ২০২৪ সালে এই বইয়ের আলোচনা থেকে শিরোনাম করেছে, আন্তরিক সামাজিক যোগাযোগ সুস্বাস্থ্যের জন্যে খাবার ও পানির মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
এবং সমাজবিজ্ঞানী কেসলি কিলাম দি আর্ট এন্ড সায়েন্স অব কানেকশন এই বইতে যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন তা হলো-
১. প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে পাঁচজন মানুষের সাথে যোগাযোগ করুন। সেটা আপনার পরিবারের কেউ কিংবা বন্ধু সহকর্মীও হতে পারে। কানাডার ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যারা এটি মেনে চলে তারা অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। এটা হচ্ছে এক নম্বর পয়েন্ট।
২. অপরের উপকার হবে প্রতিদিনই এমন কিছু কাজ করুন। যেমন প্রতিবেশীর খোঁজ নিন। দরকারি তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন, বিল্ডিংয়ের নিচ থেকে আপনার ময়লার ঝুড়ি নিয়ে আসার সময় তাদেরটাও পৌঁছে দিন ।
৩. অন্তত তিনজন খুব কাছের বন্ধু যেন আপনার থাকে সেটা নিশ্চিত করুন।
৪. স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে শরিক হোন।
তো আমরা কোয়ান্টামে গত ৩০ বছর ধরে কী করছি!
আমরা যে বলি যে, কোয়ান্টাম যা চিন্তা করবে পাশ্চাত্য গবেষকরা চিন্তা করবেন একটু পরে আরকি। কারণ বাঙালি-ব্রেন হচ্ছে কী? পৃথিবীর সবচেয়ে ফার্টাইল ব্রেন, সবচেয়ে মানবিক ব্রেন। কারণ সবচেয়ে বেশি ক্রসড হয়েছে মানবিকতা, মানবিকতার পরিচয় কী? সামাজিক একাত্মতা।
এবং আমরা জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এমন কোনো গোত্র নাই এমন কোনো জাতি নাই যারা আমাদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যান নাই এবং এটা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি যে, সামাজিক একাত্মতা- মিলে যাওয়া। যে কারণে আমাদের ব্রেন হচ্ছে সবচেয়ে ফার্টাইল ব্রেন।
তো আমরা কোয়ান্টামে কী করেছি? আমাদের অলি-বুজুর্গরা আমাদের মুনি-ঋষিরা আমাদের নবী-রসুলরা আল্লাহর প্রেরিত বাণীবাহকরা যে কাজগুলোর কথা বলে গেছেন সেই কাজগুলোই করেছি।
নবীজী (স) কী বলেছেন? ‘তোমার প্রতিবেশীর খোঁজ নাও। তোমার প্রতিবেশী যদি অভুক্ত থাকে এবং তুমি যদি পেটপুরে খাও তাহলে তুমি বিশ্বাসী নও’।
অর্থাৎ প্রতিবেশীর খোঁজ নেয়াটা হচ্ছে, সত্যিকারের বিশ্বাসীর গুণাবলির একটি গুণ। প্রতিবেশী কারা? নবীজী (স) বলেছেন, চারপাশে ৪০ ঘর।
তো আমরা আজ থেকে ১২ বছর আগে ২০১২ সালে আমাদের দীর্ঘসময়ের কর্মসূচি ছিল, চারপাশের ৪০ ঘরে প্রতিবেশীর সাথে একাত্ম হোন। এবং এটার বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব, শারীরিক-মানসিক গুরুত্ব আমরা উপলব্ধি করেছি বলেই আমরা এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম।
এবং আমরা যে এত সুস্থ ছিলাম করোনাকালে এটার কারণ হচ্ছে আমাদের এই সোশ্যাল কন্টাক্ট। আমাদের সামাজিক যোগাযোগ, পারস্পরিক যোগাযোগ, পারস্পরিক একাত্মতা।
গত তিন বছর ধরে, সবাইকে বলছি আমরা, যে আপনাদের প্রত্যেকের সোল রিলেটিভ থাকা উচিৎ। কেন? যাতে আপনি সুস্থ থাকতে পারেন। আপনার সোশ্যাল মাসল, যেটা আপনার শারীরিক সুস্থতার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
ধরুন, এই যে গার্ডিয়ান তাদের গবেষণা রিপোর্টের শিরোনাম করেছে যে, ‘সামাজিক যোগাযোগ’ সুস্বাস্থ্যের জন্যে খাবার এবং পানির মতোই গুরুত্বপূর্ণ। একজনকে সুস্থ থাকতে হলে খাবার এবং পানি যেরকম গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ সামাজিক যোগাযোগ আন্তরিক সামাজিক যোগাযোগ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এটা আপনাকে সুস্থ রাখবে যাদের সামাজিক যোগাযোগ যত বেশি হবে, যাদের সোল রিলেটিভ যত বেশি হবে আরকি তিনি তত সুন্দর সুস্থ এবং চমৎকার জীবনযাপন করবেন।
এবং সোল রিলেটিভ হলে একজন মানুষ যদি সঙ্ঘের সাথে থাকে, একজন মানুষ যদি মানুষের সাথে থাকে, ধরুন তার মৃত্যুটা কীরকম হতে পারে?
সাম্প্রতিককালে আমাদের ১৬ ব্যাচের প্রো-মাস্টার মো: আবুল খায়ের তার মহাজাগতিক সফর দেখেন, টোটাল প্ল্যান! মৃত্যু কীভাবে হবে তিনি বলে গেছেন।
মৃত্যুর সময় ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে তার স্ত্রী সন্তান পুত্রবধূ পরিবেষ্টিত অবস্থায় ছিলেন। তার বড় সন্তান তাকে নিজ হাতে রাতের খাবার খাওয়ান এবং এই সময় খতমে কামালির অডিও চলছিল কোরআনের আয়াতের অংশ।
পরিবারের সবাই কোয়ান্টামের সাথে সংযুক্ত, তাই পরিবারের সবাই তার জন্যে গভীরভাবে প্রার্থনা করছিলেন। তার মুখে ফুটে উঠে ছিল প্রশান্তির আভা আর কোরআনের আয়াত শুনতে শুনতে তিনি মহাজাগতিক সফরে যাত্রা করেন।
এবং মৃত্যুর অনেক আগেই মরহুম আবুল খায়ের সন্তানদেরকে অসিয়ত করে যান কোথায় কোথায় জানাজা হবে দাফন হবে। এমনকি শেষ বিদায়ের যাবতীয় ব্যয়ের বন্দোবস্ত করে যান তিনি যেখানে যেখানে যেভাবে বলেছেন সেইভাবে হয়েছে।
এটাও বলে গিয়েছেন যে, কোয়ান্টামমে তার জানাজা হবে এবং কোয়ান্টামমই তার শেষ ঠিকানা হয়েছে। সেই জানাজা নিয়েও বলেছেন যে, ওখানে ইমামতি করবে তার বড় ছেলে। অর্থাৎ মৃত্যুটা কত তৃপ্তির এবং সুন্দর।
দনিয়া সেল প্রথম তার বাসাতেই শুরু হয় এবং সেটা পরে শাখায় রূপান্তরিত হয়।
অর্থাৎ একজন মানুষের সোশ্যাল মাসল যত সুস্থ থাকবে, আন্তরিক সামাজিক যোগাযোগ যত ভালো থাকবে, তার মৃত্যুও তত তৃপ্তির হবে!
তো আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি যে, আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে এত সুন্দর সুযোগ দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের জন্যে।
আর সাদাকায়নে যারা উপস্থিত হয়েছেন নিঃসন্দেহে আমরা কী? আমাদের আন্তরিক সামাজিক যোগাযোগ এবং সামাজিক স্বাস্থ্য যেটাকে ‘সোশ্যাল মাসল’ বলা হয়, আমাদের দেশের প্রথম সারিতে পড়বে।
প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা সাদাকায়ন করি, প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা মিলিত হই, প্রত্যেক সপ্তাহে আমরা আমাদের খোঁজখবর নেই।
অতএব আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে, এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের শারীরিক সুস্থতা মানসিক সুস্থতা এবং সামাজিক স্বাস্থ্য (সোশ্যাল মাসল) আমাদের সবচেয়ে সুগঠিত সবচেয়ে বিস্তৃত। এবং যে কারণে আমাদের যে ভাবনা এই ভাবনার সামাজিক প্রভাব এত বেশি আরকি।
আমরা যা ভাবি সেই ভাবনাটাই কালে কালে শুধু আমাদের সমাজ না কালে কালে সারা পৃথিবীর ভাবনার ক্ষেত্রে একটা অনুরণন সৃষ্টি করে।
আমরা কোয়ান্টাম মেথড কোর্স চালু করেছিলাম এখন থেকে ৩২ বছর আগে আরকি। সেই কোর্সের বিষয়বস্তুই এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রমের অংশ হচ্ছে। সেই কোর্সের বিষয়বস্তু নিয়ে ১০/১৫টা কোর্স হচ্ছে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যে উদ্যোগটা নিয়েছেন গত বছর, যদি আমরা বলি যে একেবারে সরাসরি সাংগঠনিকভাবে সেই উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম ১২ বছর আগে ‘চারপাশে ৪০ ঘরে একাত্ম হোন প্রতিবেশীর সাথে’ – এই ডাক দিয়ে।
এবং গবেষক ‘সোশ্যাল মাসল’ বাড়ানোর জন্যে, যে চারটা কাজের কথা বলেছেন, এই চারটা কাজ আমরা সবসময়ই করছি। কোয়ান্টামে স্বেচ্ছামূলক কাজে আমরা শরিক হচ্ছি এবং প্রতিদিন কারো না কারো উপকার করছি, খোঁজখবর নেয়া থেকে শুরু করে কারো না কারো উপকার আমরা প্রত্যেকদিন করছি।
আমাদের মাটির ব্যাংকের করসেবা স্বাস্থ্য করসেবা তারপরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করসেবা এটা তো আমাদের এই যে সামাজিক যোগাযোগ এবং সেবামূলক কাজেরই একটা বড় অংশ।
চমৎকার সুগঠিত সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার জন্যে আমরা পরম করুণাময়ের কাছে গভীর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তো আপনারা সবসময় সংযুক্ত থাকুন, কানেক্টেড থাকুন। ভালোর সাথে থাকুন আল্লাহর রহমতের ছায়ায় থাকুন।
খোদা হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম।
[আর্ডেন্টিয়ার ওয়ার্কশপ, ২৫ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২৪]