নরসিংদীর পলাশে স্বামীকে পিস্তলের মুখে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কাউন্সিলরের ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্যাতিত গৃহবধূ গতকাল রবিবার সকালে পলাশ থানায় মামলাটি করেন। অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকার উপজেলার ভাগ্যেরপাড়া গ্রামের আবদুল ছাত্তার খন্দকারের ছেলে ও ঘোড়াশাল পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।
এদিকে গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় বাসটির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও নোয়াখালীতে শিশুসহ চারজনকে ধর্ষণ ও একজনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাতে বাকপ্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার আসামি কাঠমিস্ত্রি আবুল কালামকে (২৭) শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মোকবুল হোসেন মকুলের ছেলে।
পলাশ উপজেলায় নির্যাতিত গৃহবধূর পরিবার ও পুলিশ জানায়, গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত পাপ্পু খন্দকারের কাছে কয়েক মাসের বেতন পান। বেতন না দেওয়ায় কষ্টের জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাঁদের। একপর্যায়ে টাকা চাইতে গেলে গত ২৬ অক্টোবর রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে তাঁদের (গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী) ব্যক্তিগত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ডেকে নেন পাপ্পু। পরে সেখানে স্বামীকে পিস্তলের মুখে জিম্মি করে ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন পাপ্পু। পিস্তলের ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেওয়া হয়। ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাননি তাঁরা। কিন্তু কয়েক দিন ধরে পাপ্পু গৃহবধূকে তাঁর কাছে এনে দেওয়ার জন্য গৃহবধূর স্বামীকে চাপ দিচ্ছিলেন। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে পাপ্পু ও তাঁর সহযোগী শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে গতকাল মামলা করেন।
পলাশ থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানান, পলাতক পাপ্পু খন্দকার ও তাঁর সহযোগী শাহাদাতকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।