আজ ২রা মার্চ ২০২৫ বেলা ১১ টায় তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তন , জাতীয় প্রেসক্লাব ঢাকায় সাংবাদিক সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখে হাব ঐক্য ফোরাম এর সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ তিনি বলেন –
অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আপনাদের সামনে আজ উপস্থিত হয়েছি। দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, মিথ্যা মামলা ,হামলা , অত্যাচার- নির্যাতন, খুন -গুম সহ সহস্রাধিক শহীদের রক্তে আমরা গত ৫ আগস্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করলাম , ছাত্র-জনতার রক্তের বন্যায় ভেসে গেল ফ্যাসিবাদের তক্ত তাউস ।
সর্বস্তরের বৈষম্য দূর করে একটি ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যান্যদের মতো আমিও দীর্ঘ প্রায় ১৬ টি বছর ঘর-বাড়ি ছাড়া কখনো ভবঘুরে, কখনো কারাগারে, কখন কখনো আয়না ঘরে এক অবর্ণনীয় দুর্বিষহ জীবন হতে গত 6 আগস্ট মুক্তি পেলাম।
কিন্তু অত্যান্ত দুঃখ পরিতাপের সাথে আপনাদেরকে জানাচ্ছি যে ,বিশেষ কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীকে হজ্জ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (হাব) এর ক্ষমতা দিতে সম্পন্ন অবাধ ও সৃষ্ট নির্বাচনে নির্বাচিত হাব এর কমিটিকে ভেঙ্গে ২০১৮ সনের ফ্যাসিষ্ট হাসিনার জালিয়াতির রাতের ভোটের ৩৩ ডিসির অন্যতম কুখ্যাত রিটার্নিং অফিসার ( তৎ কালীন ডিসি ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হাব এর প্রশাসক জনাব মোঃ দাউদুল ইসলাম নির্বাচন কমিশনার ফিরোজ আল মামুন ( উপ সচিব), চেয়ারম্যান মোর্শেদা জামান (যুগ্ম সচিব ) এদের পরস্পরের যোগ সাজসে বিশেষ কিছু বাক্তিকে হাব এর ক্ষমতায় বসানোর জন্য নির্বাচন নামে এই প্রহসনের আয়োজন করা হয়েছে।
ফ্যাসিষ্ট হাসিনার ভোট চুরির কারিগর হাব এর প্রশাসক নিয়োগ পাওয়ার পর হতেই সুপরিকল্পিত ভাবে একটি গোষ্ঠীকে হাব এর ক্ষমতায় বসাতে তৎপর হয়ে ওঠে ।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সরকারি এক আদেশে উক্ত দাউদুল ইসলামকে ওএসডি করা হয় ।
নির্বাচনের সর্বময় ক্ষমতা ও দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনারের হলেও পুরো নির্বাচনটি কুখ্যাত এই দাউদুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ ,পরিচালনা ও তার পছন্দের প্রার্থীদের জিতিয়ে ভোট ও ফলাফল ঘোষণার মহা জালিয়াতি করে সম্পণ বেআইনি ভাবে হাব এর দায়িক্ত তার পছন্দের ব্যক্তিদের হাতে গতকাল তুলে দেয়। সুষ্ঠ হজ্জ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ঐতিহ্যবাহী হাব আজ তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।
২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতে করার মহাকারীঘর কুখ্যাত দাউদুল ইসলাম ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশন, আপিল বোর্ড হাব এর নির্বাচনে মহা জালিয়াতির কিছু চিত্র তথ্য প্রমান সহ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আইন, নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন করে আগে ফলাফল ঘোষণা করে ফলাফলের আলোকে ব্যালট রেডি করে এক নজীরবিহীন কারচুপির নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলেন হাব সদস্যগণ দিনের ভোট রাতে হয়নি: ভোট কেন্দ্রের ফলাফল মন্ত্রণালয়ে তৈরি করা হয়েছে ।
১. কোন ব্যালট পেপার চেক করতে দেয়া হয়নি।
২. ম্যাশিনে বিদ্যুৎ গতিতে ম্যাশিনারিজ তাৎক্ষণিক ফলাফল ঘোষিত হয়, আর বৃহস্পতিবার বিকালে ২২/২/২৫ ও ২৩/২/২৫ তারিখে বেক ডেটে স্বাক্ষরিত ফলাফল হাব এর নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়।
৩. আজ শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল হাব এর অফিসিয়াল ওয়াটসপ গ্রুপে প্রকাশ করেছে। ঢাকা আঞ্চলিক ভোট এর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এখনো দেয়নি, তা নাকি এখনো রেডি হয়নি।
৩. পুন গননা, ব্যালট পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। কয়টি ব্যালট বাতিল হয়েছে তা জানানো হয়নি।
৪. নির্বাচন কমিশনকে ঠুটু জগন্নাথ বানিয়ে দিনের ভোট রাতে করার অসাধারণ কারিগর ওএসডিতে থাকা হাব এর প্রশাসক অবৈধ হস্তক্ষেপ করে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির অতীত সব রেকর্ড ভঙ করেছেন।
৫. হাব এর সংঘবিধির ৪০ ধারা, নির্বাচনী আচরণ বিধির ৯, ১৪, ১৮,২২,২৩,৩১,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬ ধারা চরম ভাবে লঙ্ঘন করেছে।
৬. আপিল শোনানী নিষ্পত্তি না করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা ও পোর্ট পোলিও নির্বাচন সম্পন্ন করেছে।
৭. আপিলের রায় এখনো আপিলকারীরা পায়নি।
৮. ব্যালট পেপার কোথায় কার কাছে আছে, মুড়ি কোথায় কার কাছে আছে, এগুলো কার সামনে সীলগালা করা হয়েছে কেউ জানে না।
৯. বিধি অনুযায়ী প্রার্থী বা তার পোলিং এজেন্ট এর স্বাক্ষর নিতে হয় ফলাফল সীটে তাও করা হয়নি।
১০. হাব সদস্যরা যাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন তারাই দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা তাদের ভালো কাজে সহযোগিতা করব।
১১. কিন্তু টাকা আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন তেন ভাবে হাব দখলকারীরা একদিন এর উপযুক্ত জবাব পাবেই পাবে ।
এমন জালজালিয়াতের নির্বাচন জগৎবাসী আর কখনো দেখেছেন কিনা তা আমাদের বোধগম্য নয় অতএব অনতিবিলম্বে এই জালিয়াতি নির্বাচন বাতিল করে একজন সৎ নিষ্ঠাবান প্রশাসক অনিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে পুনরায় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং এসব বেআইনি কাজের সাথে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের ব্যবস্থা নিস্তেজ করার জন্য মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টার মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ করেন হাব ঐক্য ফোরাম এর সদস্য সচিব মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ এ সময় উপস্হিত ছিলেন ঐক্য ফোরাম এর অনন্য সদস্য বৃন্দ ।