শুক্রবার ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থার প্রধান মোহসিন ফাকরিজাদেহকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসী ও তার দেহরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত ফাকরিজাদেহকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুর্ভাগ্যক্রমে চিকিৎসক দল তাকে বাঁচাতে সবরকম চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আর কিছুক্ষণ আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেহাগান বজ্রের শক্তিতে হামলাকারীদের পাল্টা আঘাত করার অঙ্গীকার করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ একে আন্তর্জাতিক অপরাধ আখ্যা দিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এর নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
টুইটারে জারিফ লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা আজ প্রখ্যাত এক ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে’। এ ঘটনায় ইসরায়েলের ‘বড় ধরনের সংযোগ’ রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
পরমাণু বিজ্ঞানী ফাকরিজাদেহ এমন এক সময়ে হত্যার শিকার হলেন যখন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমৃদ্ধকৃত ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়াচ্ছে দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করছে কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। অবশ্য ইরান বারবারই জোর দিয়ে বলে আসছে তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ইরানের চারজন পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার শিকার হন। এসব হত্যায় আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েল জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংক্রান্ত এক উপস্থাপনায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিশেষভাবে মোহসিন ফাকরিজাদেহ’র নাম উল্লেখ করেন।