কক্সবাজারের হিমছড়ির পাহাড়ে আটকে পড়া চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে বিমান বাহিনীর উদ্ধারকারী একটি দল। আজ শনিবার বিকেলে হিমছড়ির দরিয়ানগর পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!উদ্ধার হওয়া চার যুবক হলেন মিজবাহ উদ্দীন, রাফসান, অধিক পাল ও আবির সাহা। তাদের সবার বাড়ি কক্সবাজার শহরের রুমালিয়াছড়া এলাকায়।
হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘুরতে গিয়ে হিমছড়ির দুর্গম দরিয়ানগর পাহাড়ে আটকা পড়েন ওই চার শিক্ষার্থী। পরে ৯৯৯ এ কল করলে স্থানীয় প্রশাসন খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে তৎপরতা চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে ৯৯৯ এর নির্দেশনা মতে চট্টগ্রাম থেকে বিমান বাহিনীর একটি বিমান ওই চার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে।
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শনিবার সকালে চারজন শিক্ষার্থী বেড়াতে এসে হিমছড়ি এলাকার দরিয়ানগর দুর্গম পাহাড়ে পথ হারিয়ে ফেলে। এরপর তারা ৯৯৯ (ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস) এ কল করে। পরবর্তীতে ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্তে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্রগ্রাম সার্চ অ্যান্ড একটি রেসকিউ টিম গঠন করে এবং বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি এডব্লিউ-১৩৯ সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ হেলিকপ্টার দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে পাঠায়। হেলিকপ্টারটি সন্ধ্যা ৫টা ৬ মিনিটে কক্সবাজার এসে পৌঁছায় এবং সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিটে বিমান বাহিনী ঘাঁটি শেখ হাসিনা, কক্সবাজারের সহায়তায় সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিমের মাধ্যমে দুর্গম পাহাড়ে আটকে পড়া চারজন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বিমান বাহিনী কক্সবাজার বিমানবন্দরে আনে।
আইএসপিআর আরো জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাতীয় যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সর্বদা জরুরি সহায়তা প্রদান করে আসছে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারের আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিশ্চিতকল্পে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জরুরি বিমান পরিবহণ এবং মেডিক্যাল ইভাকোয়েশন সেবা পেশাদারিত্বের সঙ্গে অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনায় উক্ত সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ মিশন পরিচালনা করা হয়।