1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

স্বপ্নের ঠিকানায় নবযাত্রা! গৃহহীন ও ভূমিহীনদের স্বপ্ন পূরনের দিন

  • সময় রবিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২১
  • ১০৮০ বার দেখা হয়েছে

মুজিব বর্ষে ৬৬ হাজার ১৮৯ পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত প্রধানমন্ত্রী
বললেন এর চেয়ে বড় কোন উৎসব আর কিছুই হতে পারে না।
মুজিববর্ষেই সব গৃহহীন ও ভূমিহীনকে ঘর দেয়ার অঙ্গীকার পালন করেছে সরকার।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ‘স্বপ্নের স্থায়ী নীড়’ পেয়ে সবার মুখে ছিল আনন্দের হাসি। উচ্ছ্বাস ও আনন্দাশ্রু ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। ভিক্ষুক, ছিন্নমূল, বিধবা, দিনমজুর, বেদে, দলিত, হরিজন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ যুগ যুগ ধরে ভাসমান হয়ে চলা গৃহহীন-ভূমিহীন ৭০ হাজার পরিবারের প্রায় তিন লাখ মানুষের সত্যিই এক অন্যরকম দিন কাটছে এখন। যুগের পর যুগ ঠিকানাবিহীন মানুষগুলোর স্থায়ী নিবাস প্রাপ্তি উপলক্ষে সারাদেশের উপজেলা প্রান্তগুলোতেও ছিল রীতিমতো উৎসবের আমেজ, দেশজুড়ে বইছে আনন্দধারা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেটা প্রচুর শেয়ার হয়েছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবনের লালিত স্বপ্নই ছিল দেশের দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তাঁরই জন্মশতবার্ষিকীতে চলা মুজিববর্ষে সরকারীভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রায় ৭০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বপ্নের স্থায়ী ঠিকানা একখণ্ড জমির ওপর সুদৃশ্য বাড়ি নির্মাণ করে তা হস্তান্তরকালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও ছিলেন আবেগতাড়িত, একইসাথে এত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তিনি নিজেও উচ্ছ্বাস ঢাকতে পারেননি। এর মাধ্যমে শুধু দেশেই নয়, সারাবিশ্বের মধ্যে মানব কল্যাণে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।

অন্যন্য নজীর স্থাপন করা এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেও উঠে আসে মুজিববর্ষেই ধারাবাহিকভাবে দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে স্থানীয় স্বপ্নের নীড় গড়ে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয়। মুজিববর্ষে গৃহহীন-ভূমিহীনদের ঘর উপহার বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় উৎসব জানিয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে পারার চেয়ে বড় কোন উৎসব আর কিছুই হতে পারে না। আজকে সত্যিই আমার জন্য একটা আনন্দের দিন। ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি এবং ঘর প্রদান করতে পারা বড় আনন্দের। যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে, তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ এসব দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার (বঙ্গবন্ধু) লক্ষ্য। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সকলের সম্মিলিত প্রয়াসেই এত বড় অসাধ্য সাধন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেন বলেই একসঙ্গে এত মানুষকে ঘর দেয়া সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের জন্য নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করাই হবে মুজিববর্ষের লক্ষ্য, যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে। দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে পারার চেয়ে বড় কোন উৎসব আর কিছুই হতে পারে না। এভাবেই মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পুরো বাংলাদেশের গৃহহীনদের নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করে দেয়া হবে, যাতে দেশের একটি লোকও গৃহহীন না থাকে। তারা যেন উন্নত জীবন-যাপন করতে পারে।আমরা সে ব্যবস্থা করে দিব। যাদের থাকার ঘর নেই, ঠিকানা নেই আমরা তাদের যেভাবেই হোক একটা ঠিকানা করে দেব।

শনিবার মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয় এবং একই সঙ্গে ৩ হাজার ৭১৫ পরিবারকে একই সাথে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়। এসব পরিবার শুধু ঘর নয়, সঙ্গে পেয়েছেন জমির মালিকানাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সারাদেশের ৪৯২ উপজেলার মানুষ- যাদের হাতে দেয়া হলো মুজিববর্ষের সেরা উপহার স্বপ্নের স্থায়ী ঠিকানা। আগামী মাসে গৃহহীনদের মাঝে আরও প্রায় এক লাখ গৃহ বিতরণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সরকারের আশ্রায়ণ প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রাম, নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুর গ্রাম, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং তাদের হাতে সরকারীভাবে নির্মিত জমিসহ বাড়িগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ভিডিও কনফারেন্সটি পুরোটা সঞ্চালনা করেন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »