মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের সামরিক ও রাজনৈতিক যোগাযোগ ছিন্নের কথা জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মঙ্গলবারে তার এই ঘোষণা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করতে নেয়া প্রথম কোনো উদ্যোগ।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডার্ন বলেন, সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের সঙ্গে উচ্চ-পর্যায়ের সব রাজনৈতিক ও সামরিক যোগাযোগ স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে ফেসবুকের সরাসরি সম্প্রচার থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ দমনে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।
কিন্তু সামরিক অভ্যুত্থানের অবসানে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম টেলিভিশন ভাষণে নতুন করে অভ্যুত্থানের সাফাই গেয়ে ফের নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার করেছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
সোমবার তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন জান্তা আবার নতুন করে নির্বাচন দেবে এবং বিজয়ীর হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে।
গত নভেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল না অভিযোগ করে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেতা স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ অধিকাংশ আইনপ্রণেতাকে আটক করে সেনাবাহিনী।
এর প্রতিবাদে সেনাবাহিনীর নিন্দা-প্রতিবাদে মুখর হয়ে দেশজুড়ে শহরে-নগরে মানুষ বিক্ষোভে নেমেছে। রাস্তায় রাস্তায় সোমবার তৃতীয়দিনের মতো বিক্ষোভ করছে জনতা।
বন্দি সু চির মুক্তিরও দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাদের আন্দোলন স্তব্ধ করে দিতে খড়গহস্ত হয়েছে। আন্দোলন ছেড়ে চলে যাওয়া নয়ত কঠোর শাস্তির মুখে পড়ার হুমকি দিচ্ছে পুলিশ।