সম্প্রতি এক রিপোর্টে বিশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে নাসা।যে রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সাল ছিল সর্বাধিক উষ্ণ বছর ।অর্থাৎ উষ্ণতম বছর ২০২০ সাল। বিশ্ব ক্রমাগত উষ্ণ হচ্ছে,সারা পৃথিবী জুড়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রনে আনতে কম হইচই হয়নি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!কিন্তু ২০২০ সাল সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। গড় তাপমাত্রার তুলনায় ১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল উষ্ণতা,এবং এটা গোটা বছর ধরেই ছিল।
নাসার গোদার্দ ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের গবেষকরা জানাইয়েছেন, ২০১৬ সাল এতদিন পর্যন্ত উষ্ণতম বছর ছিল।তবে সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২০ সাল।
গোদার্দ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর গাভিন শমিড জানান, কোন বছর বেশি উষ্ণ, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা ও চিন্তার বিষয় হল পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়েই চলেছে। দিন দিন সেই রেকর্ড ভাঙছে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে রীতিমত চিন্তিত সারাবিশ্বের বিজ্ঞানী ও বিশ্ব নেতারা।
যদিও অনেকেই বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তবে উষ্ণায়ন যে একটা ভয়ঙ্কর রূপ ধারন করেছে, তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। সম্প্রতি আন্টার্কটিকায় উষ্ণতার পারদ যেখানে পৌঁছেছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলছে আবহাওয়াবিদদের।
আগে বছরে যে পরিমাণে বরফ গলত আন্টার্কটিকায়, ১৯৭৯ থেকে ২০১৭, এই ৩৯ বছরে তা ৬ গুণ বেড়েছে। জাতিসংঘের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন যে হারে বাড়ছে তাতে আর ৮০ বছরের মধ্যেই মেরুপ্রদেশের এক-তৃতীয়াংশ বরফ পুরোপুরি গলে যাবে। আন্টার্কটিকায় উষ্ণতম মাস ধরা হয় জানুয়ারিকে।
যেভাবে জলবায়ু বদলাচ্ছে, উষ্ণায়ন বাড়ছে, মেরুপ্রদেশের হিমবাহ দ্রুতহারে গলছে, তাতে নিম্ন অঞ্চলের দেশ গুলোতে বিপর্যয় আসতে আর বেশি দেরি নেই।