1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইফতার বিতরণ করলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ আরএমজি প্রফেশনালস্ এর উদ্যোগে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ- গাজীপুরে এতিম শিশুদের সাথে বিডিআরএমজিপি এফএনএফ ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল গ্রীষ্মকাল আসছে : তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান, সুনামি সতর্কতা ঈদের আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি এবি পার্টির সালমান খান এবার কি বচ্চন পরিবার নিয়ে মুখ খুলতে যাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া? আমার ও দেশের ওপর অনেক বালা মুসিবত : ইউনূস লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন?

ইয়াবাসেবী ছেলেকে নিয়ে বিপর্যস্ত বাবার কাহিনী

  • সময় সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ১২১৮ বার দেখা হয়েছে

আমরা হাজবেন্ড ওয়াইফ দুজনই কোয়ান্টাম প্রো-মাস্টার। একটা সময় ছিলো যখন সজ্ঞা জালালি বা বিভিন্ন প্রোগ্রামে সবার আগে আসার জন্য প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

পরবর্তীতে বাসের সময় পরিবর্তন এবং চাকরিতে ছুটি না পাওয়ার কারণে প্রোগ্রামে নিয়মিত আসতে পারিনি। আজকে দুজনই উপস্থিত আছি। দুজনই শারীরিক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমাদের দুটি সন্তান। ছেলে এবং মেয়ে। তারা আমাদের অনুমতি ছাড়াই প্রেম করে বিয়ে করেছে।

আসলে প্রেম করে বিয়ে করলে অনুমতি দিয়ে দেয়াটাই সবসময় ভালো।

অনেক সময় আমরা দেখি যে, অফিসে বিভিন্ন ফাইল থাকে। সেগুলো প্রয়োরিটি অনুযায়ী কোনটা আগে কোনটা পরে অনুমোদন দেয়া হয়। এক্ষেত্রেও তাই। প্রেম করছে যখন বুঝলেন। এবং আপনি বললেও ফিরবে না। তো কি করবেন? আগেই অনুমোদন দেয়া ভালো।

অর্থাৎ ঘটার পরে পোস্ট ফ্যাক্টো অনুমোদন, পোস্ট ফ্যাক্টো অনুমোদন দিয়ে দেবেন সবসময়।

কারণ মা-বাবার কখনোই উচিত না ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে কোনো নেতিবাচক জিনিস নিজের মধ্যে ধারণ করা। কারণ এটার প্রভাবটা ছেলেমেয়ের ওপরে গিয়ে পড়বে।

এবং ছেলেমেয়ের ওপরে নেতিবাচক প্রভাব পড়লে আবার সেই প্রভাবটা ফিরে এসে আপনার ঘাড়েই পড়বে। এবং আপনাদের ক্ষেত্রেও ঘটনা ঘটেছে তাই।

একটা জিনিষ আমি প্রত্যেক মা-বাবাকেই বলি। বিয়ে করে ফেলেছে পোষ্ট ফেক্টো অনুমোদন দিয়ে দেন। যা যা করার করে দেন। এবং বলেন, আসো, তোমরা আসো, ঠিক আছে। ফাইন। ভুলে গেলেন।

কারন আপনারা যখন সন্তানের প্রতি নেতিবাচক চিন্তা রাখবেন, রাগ রাখবেন সন্তানের ক্ষতি হবে। এবং সন্তানের ক্ষতিটা আল্টিমেটলি আপনারই ক্ষতির কারণ।

এবং আপনি আপনার চিঠিতে আরও একটি প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন যে, ছেলে খুব ভালো ব্যবসা ট্যবসা করে অনেক টাকাপয়সার মালিক হওয়ার পরে অন্যদের প্ররোচনায় পড়ে। ইয়াবা আসক্ত হয়ে যায়। আসক্ত করার কারণে আমার জীবনে সীমাহীন কষ্ট নেমে আসে। আমি সিগারেটে আসক্ত হয়ে পড়ি। জীবনে বাঁচার প্রতি আগ্রহ কমে আসে। আমরা খুব কষ্টের মাঝে দিনযাপন করছি। ছেলেটা ইয়াবা ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু অর্থনাশ করে শূন্য হাতে আছে। তো আমার জন্যে প্রার্থনা করুন, আমি যেন আপনার নির্দেশিত পথে চলতে পারি, ধূমপান ত্যাগ করতে পারি।

অন্যরা তাকে ইয়াবা আসক্ত করেছে- এটা মনে করার কোনো কারণ নাই। আমরা আসলে নিজের

ছেলেমেয়ের দোষ দেখি না।

অন্য কীভাবে করে! প্রেমও কি অন্যে আরেকজন করিয়ে দিয়েছে! মানে ছেলেমেয়েদের নাবালক ভাবা উচিত নয়।

ইয়াবা আসক্ত করার কারণে, মানে ‘হওয়ার কারণে’ কিন্তু উনি লিখছেন না, করার কারণে।

ছেলে কি নাবালক দুধের শিশু যে ফিডার দিয়ে খাইয়ে দিয়েছে?

ছেলে তো দুধের শিশু না। অনেক টাকা হয়ে গেছে! অনেক টাকা হলে কি করবে সে? কারণ টাকা ব্যয় করার জন্যে তো ব্রেন দরকার। সে-তো ব্রেন খাটায় নি।

শূন্য হাতে আছে, থাকুক দোয়া করুন তার জন্যে। ছেলে তো বড় হয়েছে। ছেলে যতক্ষণ নাবালক ছিল আপনার বাবা হিসেবে দায়িত্ব ছিল।

ছেলে যখন নিজে পড়তে শিখল নিজে উপার্জন করতে শিখল নিজে বিয়ে করতে শিখল, নিজে বিয়ে করল। তারপরে তো মানে এই সন্তান আসক্তি আসলে অপ্রয়োজনীয়।

সন্তানের জন্যে এখন কাজ হচ্ছে আপনার দোয়া করা। সে খারাপ করছে- সেই চিন্তায় আপনি মানে কী হচ্ছে? জীবনে বাঁচার প্রতি আগ্রহ কমে আসবে কেন? কী কারণে?

আগ্রহ কমে আসলেও আপনি মারা যাবেন। আগ্রহ বেশি থাকলেও আপনি মারা যাবেন। যখন মৃত্যু আসবে তখন মারা যাবেন।

জীবনটাকে তো ধরে রাখা যাবে না। যেটা ধরে রাখা যাবে না সেটা ধরে রাখার দরকারটা কি?

আরেকজনে জোর করে নেয়ার চেয়ে, কষ্ট করে দেয়ার চেয়ে ইচ্ছা করে দিয়ে দেন, বলেন যে, আহ জান। তুই যখন থাকবিই না জান, যাহ মনের আনন্দে যা! জীবন দিয়ে দেন মনের আনন্দে।

আমরা প্রার্থনা করছি। আমরা কিন্তু খুব সিমপ্যাথেটিক। এই যে আগের কথাটুকু বললাম এটা আসলে কষ্ট থেকে বললাম।

আমাদের অনেকে এই ভুলটা করেন। যখন সময়টা ভালো হতে শুরু করে, এখানে অর্থাৎ কোয়ান্টামের প্রোগ্রামে আসার কারণে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবং ব্যস্ত হয়ে তারা এখানে আসাটাকে কমিয়ে দেন।

কী কারণে ব্যস্ততা বাড়ল, কী কারণে সুযোগ বাড়ল সেটা ভেবে দেখেন না। তখন মনে করেন যে সবকিছু আপনার জন্যেই হয়েছে।

আল্লাহর রহমতের কারণে এই কাজগুলো সহজ হয়েছে- এইটা তখন ভুলে যান।

যার ফলে কাজের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন, আল্লাহকে ডাকতে ভুলে যান।

এবং যখন আল্লাহকে ডাকতে ভুলে যান। ধরুন আপনি একটা পাওয়ার পেলেন, কিছু টাকা পেলেন। এই টাকা যদি ইনকাম হতে না থাকে ক্রমাগত যদি আসতে না থাকে ফ্লো। তাহলে এই টাকাতো একদিন শেষ হয়ে যাবে!

যখন শেষ হয়ে যাবে তখন টের পাচ্ছেন যে আরে মানে আমার তো শেষ হয়ে গেছে!

এই যে সুখ ছিল, ভালো ছিল এই যে সবার আগে আসার প্রতিযোগিতা করতেন। আপনি তো ভালো ছিলেন। তখন ব্যস্ত হয়ে গেলেন।

যখনই আপনি অনিয়ম করতে শুরু করলেন, ব্যস্ততা কমে গেল, আপনি সিগারেট ধরলেন, আপনার ছেলেমেয়েরা প্রেম করে বিয়ে করল। ছেলেমেয়েরা অন্য জায়গায় চলে গেল এবং ছেলে ইয়াবা আসক্ত হয়ে গেল।

ছেলের ইয়াবা আসক্তিটা ছেড়েছে ঠিক আছে, কিন্তু যা হারানোর তো হারিয়ে গেছে। সে-তো শূন্য এখন। যে আপনি সিগারেট খেতেন না, সিগারেট ধরেছেন।

কেন? আরে আল্লাহ যা পারে, সিগারেট কি সেটা পারবে নাকি?

আপনাকে শান্তি আল্লাহ দিতে পারেন! সিগারেট কি শান্তি দিতে পারবে?

তাহলে তো সারা সারাদুনিয়ার সিগারেটখোর বিড়িখোররা শান্তিতে থাকত।

আমরা আসলে এখানে ভুলটা করি। দুশ্চিন্তা কমানোর জন্যে সিগারেট খাই। দুশ্চিন্তা কমানোর জন্যে মদ খাই।

মদ কি দুশ্চিন্তা কমাতে পারে? সিগারেট কি দুশ্চিন্তা কমাতে পারবে? ড্রাগস কি দুশ্চিন্তা কমাতে পারে?

কখনো তা পারে না। এগুলো ক্ষতি করা ছাড়া তো কিছু করতে পারবে না।

অতএব আবার নিয়মিত মেডিটেশন করেন। আল্লাহর কাছে তওবা করেন, কান্নাকাটি করেন। আল্লাহ যে-কোনো অবস্থা থেকে আপনার উত্তরণ ঘটাতে পারেন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »