একদিনে রেকর্ড পরিমাণ ২ হাজার ২৬০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজে করে ভাসানচরে নেয়া হয় তাদের। আর উন্নত জীবনের আশায় স্বপ্রণোদিত হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা এখন ভাসানচর যেতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার (০৩ মার্চ) সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াশার কারণে জাহাজ ছাড়তে কিছুটা দেরি হলেও রোহিঙ্গাদের মধ্যে ছিল না বিন্দুমাত্র ক্লান্তি। অনেকটা আনন্দ-উচ্ছ্বাস রয়েছে তাদের ওই ভাসানচর যাত্রায়।
এর আগে মঙ্গলবার (০২ মার্চ) রাতে কক্সবাজার টেকনাফ এবং উখিয়া থেকে ৫০টির বেশি বাসে করে নগরীর পতেংগা বিএফ শাহীন কলেজে আনা হয় রোহিঙ্গাদের।
৬টি জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের এই যাত্রা তদারকি করতে বোট ক্লাব জেটিতে ছিলেন নৌবাহিনীর এরিয়া কমান্ডারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ভাসানচরের যাত্রী এসব রোহিঙ্গার দাবি, কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলোতে ছিল তাদের দুর্বিষহ জীবন। এখন তারা বাংলাদেশ সরকারের আশ্বাসে উন্নত জীবনের আশায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী হয়েছেন।
আগের ৪ দফায় ১০ হাজার রোহিঙ্গা স্থানান্তর হয়েছে ভাসানচরে। সেখানে রোহিঙ্গাদের জীবন ধারণের জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। সে সময় রোহিঙ্গাদের বিদায় জানাতে এসে সে কথাই স্মরণ করিয়ে দিলেন চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চল কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আরও দুই হাজার রোহিঙ্গার ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে।