আসসালামু আলাইকুম। সবার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!প্রিয় সুহৃদ! মার্চ মাসের প্রথম শুক্রবার আজকের এই মাসিক সাদাকায়নে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এই মার্চ মাস আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। আমাদের জাতিসত্তার বাস্তব উন্মেষ ঘটেছিল এই মাসে।
এই মাসের ১৭ তারিখ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী পূর্তির এই ক্ষণে আমরা জাতির পিতার প্রতি অন্তরের গভীরতম প্রদেশ থেকে গভীর গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। পরম করুণাময়ের কাছে তার মাগফেরাত ও অনন্ত প্রশান্তি প্রার্থনা করছি।
আর আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর মাসও এই মার্চ মাস। আসলে এখন থেকে ৫০ বছর আগে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে যারা ঢাকায় ছিলেন না, ৭ই মার্চ যারা রেসকোর্স ময়দানে ছিলেন না তাদের পক্ষে মার্চের আবেগ-উত্তেজনা কোনোভাবেই উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার জন্যে রেসকোর্স ময়দানে এখন যেটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান তখন এই রেসকোর্স ময়দানে লাখ মানুষ লাঠি বৈঠা নিয়ে সমবেত হয়েছিলেন।
তাদের যে আবেগ এবং উত্তেজনা আসলে যিনি নিজের চোখে দেখেন নি নিজের কানে শোনেন নি তার পক্ষে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু যখন আমাদের সংগ্রামকে ‘মুক্তির সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে ঘোষণা দিলেন সাথে সাথে সারা মাঠে মানুষের যে আবেগ যে উত্তেজনা যে প্রত্যয় যে হুংকার যে উচ্ছ্বাস যে স্বস্তি সেটি কারো পক্ষেই ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়!
৭ই মার্চের ঘোষণার মধ্য দিয়েই প্রত্যক্ষ সংগ্রামের শুরু। তারপর ২৬শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের নতুন পর্যায় শুরু হলো। মুক্তিযুদ্ধ পেল নতুন মাত্রা!
এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দখল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্ত করলেন স্বদেশকে।
আসলে মনছবি হয় কি হয় না, স্বপ্ন বাস্তব রূপ নেয় কি নেয় না তার প্রমাণ বাংলাদেশ নিজেই! ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন পরিপূর্ণভাবে দানা বাঁধে। এবং সেই স্বপ্ন ২৬শে মার্চ প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের অন্তরে গেঁথে যায়।
এবং বঙ্গবন্ধুর ডাকে মানুষ যা আছে তা নিয়েই সংগ্রাম শুরু করে। ট্যাঙ্কের বিরুদ্ধে লাঠি পাথর এয়ারগান নিয়ে নেমে পড়ে।
আসলে যখন মানুষ বিশ্বাস করে এবং তার চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তরিত করার জন্যে স্বর্বস্ব ত্যাগে প্রস্তুত হয় তখন করুণাময় তার চলার পথকে সহজ করে দেন। উপকরণের অভাব দূর করে দেন। লক্ষ্য অর্জনের পথ খুলে দেন।
আসলে বাংলার ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষ স্বাধীনতার দূর্গ গড়ে তুলেছিল। প্রতিটি মানুষ একে অপরের সহযোগিতায় একে অপরের দুঃখে একে অপরের কষ্টে পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছিল। এবং যে-কোনো ত্যাগ স্বীকারে তারা প্রস্তুত ছিল। এবং সেজন্যে দ্রুততম সময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম।
আসলে মানুষ যখন লক্ষ্য স্থির করে এবং লক্ষ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে তখন মস্তিষ্ক স্বয়ক্রিয়ভাবেই সেই লক্ষ্য অর্জনের জন্যে কাজ করতে শুরু করে।
আর জাতিগতভাবেই আমাদের মস্তিষ্ক বিশ্বের প্রথম সারির মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্কের কোনো তুলনা হয় না। যার ফলে শুধু মুক্তিযুদ্ধের সময়ই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের উত্তরণ ঘটেছে অসাধারণ দ্রুত গতিতে!
আসলে আমরা যখনই লক্ষ্য স্থির করেছি- সেটা ব্যক্তি পর্যায়ে হোক বা জাতীয় পর্যায়ে, লক্ষ্য স্থির করার পরে লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আন্তরিকভাবে নেমে পড়ার পরে আমাদের কাজ হয়েছে সবচেয়ে দ্রুত গতিতে।
আমরা দেখি স্বাধীনতার জন্যে জাতি যখন মনছবি করল তখন স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো চিন্তা জাতির মননে জাতির ভাবনায় স্থান পায় নি।
আসলে মনছবিকে যদি পাথর বানানো যায়, পাথরের মতন সুদৃঢ় শক্ত অনড় জমাট বানানো যায় এবং পাথর যেভাবে পানিতে পড়লে তলায় ডুবে যায়, মনছবিকে যদি সেভাবে ছেড়ে দেয়া যায় অর্থাৎ মনছবির বিপরীত সবকিছু থেকে যদি নিজেকে নিবৃত্ত রাখা যায় এবং মনছবির লক্ষ্যে অবিচল কাজ করা যায় তাহলে পাথর যেভাবে পানির তলদেশে গিয়ে সরাসরি পৌঁছায়, মনছবিও সরাসরি তার লক্ষ্যে পৌঁছায়।
আমাদের স্বাধীনতাই তার প্রমাণ। এত অল্প সময়ে পৃথিবীর আর কোনো জাতি রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে নি! এবং আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের রহস্য এইখানেই। যে আমরা আর কোনোদিকে তাকাই নি; শুধু স্বাধীনতা স্বাধীনতা ছাড়া।
তো আসলে কোনো মানুষ বা কোনো জাতি যদি তার লক্ষ্যে অবিচল থাকে এবং লক্ষ্যের বিপরীত সকল কাজকর্ম বর্জন করে লক্ষ্য অনুরাগী কাজে নিজের সবকিছু ঢেলে দেয়, সেই ব্যক্তি বা জাতির সেই ব্যক্তি বা সেই জাতির লক্ষ্য অর্জনের পথে কোনো শক্তি কোনোকিছুই অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে না। সে তার লক্ষ্যে পৌঁছায়ই।
আমরা যদি জাতিগত লক্ষ্যে সোনার বাংলার লক্ষ্যে অটল থাকি তাহলে মাত্র তো পাকিস্তানের পার্লামেন্টে একজন পার্লামেন্টারিয়ান বলেছেন যে, পাকিস্তানকে ‘সুইজারল্যান্ড’ বানাতে হবে না; পাকিস্তানকে ‘বাংলাদেশ’ এর মতো বানিয়ে দিলেই তারা খুশি!
এই কথা তো শুধু মাত্র পাকিস্তানিরা বলেছে!
আমাদের জাতীয় লক্ষ্য সোনার বাংলার লক্ষ্যকে স্থির করে আমরা যদি নিরলসভাবে কাজ করে যাই এবং লক্ষ্যের বিপরীত সবকিছুকে বর্জন করি তাহলে এই শতাব্দীর দ্বিতীয় অর্ধে এখনকার যারা নেতৃস্থানীয় জাতি তাদের পার্লামেন্টে বলা হবে যে- আমাদেরকে ‘বাংলাদেশ’ এর মতন দেশ বানিয়ে দাও। তাহলেই আমরা সন্তুষ্ট।
আমরা সারা বিশ্বের জন্যে মানবিকতা এবং উন্নয়নের মডেল হয়ে যেতে পারি যদি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন. সেই স্বপ্নকে আমরা লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করি এবং লক্ষ্যের বিপরীত সবকিছু থেকে নিজেকে বিরত রাখি। লক্ষ্যের অনুকূল কাজে নিজেদেরকে উৎসর্গ করি।
আসলে এই স্বপ্ন এই সুউচ্চ লক্ষ্য মানুষ তখনই অর্জন করতে পারে যখন সে তার মাথাটাকে ঠান্ডা রাখতে পারে, যখন সে আত্মনিমগ্ন হতে পারে, নিজের শক্তিকে অনুভব করতে পারে।
আসলে ধ্যান একজন মানুষকে এই শক্তিই দান করে! ধ্যান মানুষকে প্রশান্ত হতে শেখায়, প্রত্যয়ী হতে শেখায়, বিনয়ী হতে শেখায়, স্বাবলম্বী হতে শেখায়, সমমর্মী হতে শেখায়। এবং ধ্যান মানুষকে শুদ্ধাচারী করে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের যে অর্জন সে অর্জনের সুফল শুধু গুটিকয়েক মানুষ নয়, সে অর্জনের সুফল দেশের ১৬ কোটি মানুষ ২০ কোটি মানুষ ভোগ করতে পারে যদি আমরা শুদ্ধাচারী হই। যদি আমরা শুদ্ধাচারকে ভূষণ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। শুদ্ধাচারকে আমরা আমাদের সমস্ত কাজকর্মের মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
এবং নৈতিক গুণাবলি বিকাশের মাধ্যমেই একজন মানুষ আসলে যথার্থ শুদ্ধাচারী হতে পারে। আর ধ্যান মানুষের এই শক্তিকেই বিকশিত করে।
ধ্যান মানুষকে কতটা প্রশান্ত প্রত্যয়ী বিনয়ী সমমর্মী এবং শুদ্ধাচারী করতে পারে এর একটি আন্তর্জাতিক উদাহরণ পাই ২০১৮ সালে ২৩শে জুন থাইল্যান্ডে ১২ জন কিশোরসহ এক যুবক দুর্গম গুহায় পানির মধ্যে আটকা পড়ে যায়।
এই ১২ জন কিশোর ফুটবল খেলোয়াড় যাদের বয়স ১৩/১৪/১৫। এবং কোচ হিসেবে যুবক ধ্যান চর্চা করতেন। ধ্যানী ছিলেন।
এবং ধ্যানী একাপল ফুটবল কোচ হওয়ার পরে এই কিশোরদের ধ্যান শিখিয়েছিলেন।
তারা যখন গুহায় আটকা পড়ে গেল তখন কোচ একাপল তাদেরকে প্রশান্ত রাখলেন। তাদেরকে ধ্যানে নিমগ্ন রাখলেন। তাদের মধ্যে প্রত্যয় সৃষ্টি হলো। এবং সেই গুহা থেকে তারা একদিন বেরিয়ে আসতে পারবে- এই বিশ্বাস তাদের মধ্যে প্রবলভাবে ছড়িয়ে গেল।
এবং তারা সবচেয়ে বিপন্ন অবস্থায়ও নির্জন জায়গা, দুর্গম বিপজ্জনক এবং কোনোরকম যোগাযোগশূন্য জায়গায় পরস্পরের আত্মার আত্মীয় হয়ে গেলেন।
খাবার যেটুকু ছিল সব ভাগাভাগি করে খেলেন। একাপল কোচ তাদের লিডার পানি ছাড়া কিছু খান নাই!
এবং নয়দিন পর্যন্ত এই কিশোররা বাইরের জগতের সাথে কোনো যোগাযোগ তাদের ছিল না। নয়দিন পর প্রথম তারা একজন ডুবুরীর দেখা পেল সেই অন্ধকার গুহায়!
এবং গুহা কত দুর্গম ছিল সেটা বোঝা যায় এই ১৩ জন মানুষকে ওখান থেকে বের করে আনতেও নয়দিন লেগেছিল!
এবং যখন বাইরের মানুষ মনে করছিল এই কিশোররা এই যে দুর্যোগজনিত বিপদজনিত আতঙ্কজনিত ট্রমায় বিপর্যস্ত হয়ে যাবে তারা বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে গেল। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখল যে তাদের মধ্যে ট্রমা তো নেইই, বরং পিকনিক করে আসার যে আনন্দ সেই আনন্দ এবং সেই সুস্থতা সবার মধ্যে বিরাজ করছে।
আসলে ধ্যান মানুষকে সমমর্মী অন্যের দুঃখে দুঃখী এবং অন্যের ব্যথায় সমব্যথী এবং শুদ্ধাচারী করে। এবং এর প্রমাণ তো আসলে আপনারাই। ধ্যানের এই শক্তির প্রমাণ তো আপনারাই।
করোনাকালে গত এক বছর আমরা ধ্যানীরা সবচেয়ে নির্ভার ছিলাম! আমরা সচেতন ছিলাম, সতর্ক ছিলাম, কিন্তু সবচেয়ে আতঙ্কমুক্ত ছিলাম। বরং ভীত আতঙ্কিত মানুষের পাশে আমরা সবসময় ছিলাম।
রক্তদান কার্যক্রম নিয়ে এবং মনোবল অটুট রাখার প্রোগ্রাম নিয়ে এবং মৃতের পাশে স্বজনের মতো আমরা ছিলাম। অতএব ধ্যানের যে শক্তি প্রত্যয় প্রশান্তি স্বাবলম্বী সমমর্মী শুদ্ধাচারী সবকিছুর প্রতীক হিসেবে কোয়ান্টাম দেশবাসীর পাশে ছিল।
মার্চ মাসের ৩০ তারিখে স্কুল কলেজ খোলার ঘোষণা দেয়া হয়েছে- এইজন্যে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমরা অভিনন্দন জানাই।
কারণ আমরা জ্ঞানী ধ্যানী ধনী এবং শুদ্ধাচারী দেশে রূপান্তরিত হতে চাই। এবং তরুণ প্রজন্মের জন্যে এই জ্ঞান এবং ধ্যানের কোনো বিকল্প নাই।
এক বছর পরে আবার তারা স্কুল-কলেজে আসবেন। স্বাধীনতার এই মাসে এর চেয়ে আনন্দের আর কোনো বিষয় নেই।
আর শিক্ষার্থীরা যেহেতু স্কুলে যাচ্ছে অভিভাবকদের এখন দায়িত্ব অনেক। একবছর তারা স্কুল কলেজ ছাড়া রয়েছে। এক বছর পরে স্কুলে যাওয়ার জন্যে কলেজে যাওয়ার জন্যে মানসিকভাবে তাদেরকে প্রস্তুত করার দায়িত্ব এখন অভিভাবকদের।
প্রিয় অভিভাবক! সন্তানের মধ্যে যদি অস্থিরতা, বিক্ষিপ্ততা, লক্ষ্যহীনতা, হতাশা, নিঃসঙ্গতা, পরিবারের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ এবং বিমর্ষতা দেখেন আপনি অস্থির বা বিরক্ত হবেন না। রাগারাগি চেঁচামেচি করবেন না।
আসলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই খুব নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে! এবং তাদের অনেকেই কম বেশি ভার্চুয়াল ভাইরাসের আগ্রাসনের শিকার হয়েছে।
এদের এখন দরকার মমতা, আদর। এখন দরকার ‘বাবা-মা’ বলে বুকে টেনে নেয়া।
কারণ এই বয়সে যখন স্কুলের বন্ধুবান্ধবদের সাথে কাটানোর কথা, সেই বয়সে পরিস্থিতির কারণে সে ঘরে এক ধরনের বন্দি জীবন কাটিয়েছে।
অতএব যে লক্ষণগুলোর কথা বললাম, সেগুলো এই ধ্যানহীন বন্দি জীবনের স্বাভাবিক পরিণতি।
এখন যেহেতু আবার সুযোগ এসছে স্কুল কলেজে যাওয়ার; তাই তাকে প্রস্তুত করতে হবে নতুন করে।
তাকে ধ্যানে উদ্বুদ্ধ করুন। ধ্যান শেখান এবং ধ্যান চর্চা করতে উদ্বুদ্ধ করুন। তাকে সাদাকায়নে নিয়ে আসুন। ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়ে আসুন।
নিজে ধ্যান করুন। নিজে তার জন্যে দোয়া করুন।
ধ্যান তাকে স্থিরতা দেবে প্রশান্তি দেবে আত্মবিশ্বাস দেবে প্রত্যয় দেবে লক্ষ্য দেবে মনোযোগ দেবে। তাকে পরিবারের প্রতি সমাজের প্রতি সমমর্মী করবে এবং সবার সাথে শুদ্ধাচারী হতে উদ্বুদ্ধ করবে।
অতএব সন্তানকে তার জীবন গড়ার নতুন সংগ্রামের জন্যে প্রস্তুত করতে হবে। এবং এই প্রস্তুতির পর্বে অভিভাবক হিসেবে আপনার প্রত্যয় আপনার সহিষ্ণুতা আপনার ধৈর্য তার ভেতরে স্থিরতা এবং বিশ্বাস বাড়াবে।
নিজে ধ্যানচর্চা করে এবং সন্তানকে ধ্যানচর্চায় উদ্বুদ্ধ করে আপনি তার সমস্ত অস্থিরতা কাটিয়ে তাকে লক্ষ্যাভিসারি করে সমমর্মী শুদ্ধাচারী মানুষে রূপান্তরিত করে পৃথিবীর নেতৃস্থানীয় দেশে পরিণত হওয়ার জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
স্বাধীনতার এই মাসে আসুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্যে আত্মত্যাগী সকল শহীদ সকল যোদ্ধা সকল নির্যাতিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যে জ্ঞানী ধ্যানী ধনী শুদ্ধাচারী মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ার অঙ্গীকার করি।
পরম করুণাময় সবসময় আমাদের তাঁর রহমতের ছায়ায় রাখুন। খোদা হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম।
[০৫ মার্চ ২০২১ সাদাকায়নের জন্যে ০১ মার্চ ২০২১ তারিখে গুরুজীর প্রদত্ত বক্তব্য]