Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেছেন, বাধা-বিপত্তি থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমবর্ধমান উন্নতি চোখে পড়ার মত।তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং পরিসংখ্যানেও এটার বাস্তবতা দৃশ্যমান।রাজাপাকসে আরো বলেন, ‘বিগত কয়েক দশক ধরে দু’দেশের মধ্যে মতবিনিময় দ্রুত বাড়ছে। এটি আমার দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অংশীদার হিসেবে রয়ে গেছে।’
শুক্রবার সম্মানিত অতিথি হিসেবে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বক্তব্য দেন।
রাজাপাকসে বলেন, ‘কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে দুর্দান্ত অগ্রগতি করেছে তা শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করে।’
তিনি বলেন, ঢাকার সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশ আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে। তিনি এ ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ভাগাভাগি করতে শেখ হাসিনার আনুকূল্য কামনা করেন।রাজাপাকসে বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বহু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও তিনি আজ শ্রীলঙ্কার জনগণের সংহতির বার্তা নিয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পর থেকে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রাণবন্ত বাণিজ্য বিনিময় ছিল। খুব স্বাভাবিকভাবেই, ১৯৭১ সালে শ্রীলঙ্কা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল।’
রাজাপাকসে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দুটি ঐতিহাসিক ঘটনা উদযাপন করছে এবং দুটিই উদযাপনের যোগ্য।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক নীতিবান ব্যক্তি ছিলেন যিনি তার পুরো জীবন বাঙালির জন্য, তাদের ভাষা ও তাদের মঙ্গলের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি একাত্তরে একটি নতুন জাতি ‘বাংলাদেশ’ গঠনের আগ পর্যন্ত তার স্বাধীনতা সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি