প্রশ্ন : আমার গ্রাজুয়েশন শেষ বর্ষ চলছে। আমি বুঝতে পারছি, আমি যা চাই তার জন্যে প্রস্তুতিও শুরু করেছি আগেই। কিন্তু আমি সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছি না। যে কারণে কাজ সবসময় এগিয়ে থাকে, আর আমি পিছিয়ে। আমার কী করা উঠিৎ?
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!উত্তর :
আপনার একবারে দৌড়ে গিয়ে সময়টাকে ধরা উচিৎ। কারণ সময়কে যদি ধরতে না পারেন, কিচ্ছু ধরতে পারবেন না। কিচ্ছু ধরতে পারবেন না।
যে রকম কিছু মানুষ আসে, আমাকে একদিন বলছে যে না বিরতি আর একটু লম্বা দিলে ভালো হয়। আমি বললাম যে বিরতি যত দেই। যদি দুপুরের বিরতি তিন ঘণ্টাও দেই, যে লেট করে আসার সে লেট করেই আসবে।
তিন ঘণ্টা পরও দেখা যাবে যে ১০ মিনিট পরে সে আসছে। আর যে ঠিক সময়মতো আসার, সে এক ঘণ্টা বিরতিতেও ঠিক সময়ে চলে আসবে।
আজকে কোয়ান্টাম যে এই পর্যায়ে এসছে এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সময়। কারণ সময় হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামত। এবং এই নেয়ামতটাকে ঠিকভাবে আমরা ব্যবহার করেছি সবসময়।
আমরা কখনো সময়ের ব্যপারে আপস করি নাই। সময়ের সাথে কোনো আপস করি নাই।
তো অতএব সবসময় কী করবেন? সময়টাকে ধরতে হবে।
আপনার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস, সবচেয়ে প্রিয় সে মানুষ হতে পারে কোনো জিনিস হতে পারে, সবচেয়ে প্রিয় কিছু যদি আপনার কাছ থেকে চলে যাচ্ছে আপনি দেখতে পাচ্ছেন, আপনি যেরকম কী করবেন?
আপনি তার গিয়ে হাতটা ধরবেন, না তাকে ধরবেন না?
যে রকম আকুতি নিয়ে তাকে ধরতেন, বা জিনিস যেটাতে যেরকম আকুতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন, সময়ের ওপর ওরকম আকুতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
যে সময়মতো প্রত্যেকটা কাজ করতে হবে। যদি এই একটা পয়েন্ট যে না আমি কাজকে আমার থেকে এগিয়ে থাকতে দেবো না, কাজ আমার পেছনে থাকবে, আমি কাজ থেকে এগিয়ে থাকব।
অর্থাৎ সময়মতো প্রত্যেকটা কাজ করব। তাহলে কাজ আপনাকে ছেড়ে এগোতে পারবে না। কাজ সবসময় আপনার পেছনে থাকবে। এবং আপনি বিজয়ী হবেন।
[শিক্ষার্থী অন্বেষায়ন, ০৩ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ০৭ জানুয়ারি, ২০২০]