1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

তখন থেকে আমরা নিয়ম করেছিলাম- এখানে এসে কেউ যেন না খেয়ে না যায়

  • সময় রবিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ১১৬৯ বার দেখা হয়েছে

আল্লাহ যেমন তোমাকে অনুগ্রহ করেছেন, তেমনি তুমিও মানুষের প্রতি সদয় হও
সূরা কাসাসের ৭৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন যে, ‘আল্লাহ যেমন তোমাকে অনুগ্রহ করেছেন, তেমনি তুমিও মানুষের প্রতি সদয় হও।’ কারণ আমরা প্রতিনিয়ত আাহর অনুগ্রহ পাচ্ছি এবং অনুগ্রহ পাচ্ছি বলে আমরা এত ভালো আছি।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আমরা যেমন মানুষের কাছে ঋণী, তেমনি আমরা মানুষের কল্যাণেও কাজ করছি
এই যে টি-শার্টটা কেউ বানিয়েছে! কেউ এটার সূতো তৈরি করেছে। কেউ তারপরে এটাকে বয়ন করেছে তারপরে রং করেছে কেউ তারপরে আবার কেউ কোয়ান্টাম ছাপ্পা মেরেছে। তারপরে আমরা পরছি।

কত মানুষের কাছে আমার ঋণ!

তবে আমাদের একটা আনন্দ কী? আমরা যেরকম ঋণ করছি, আমরা মানুষের কল্যাণ করছি।

কোয়ান্টামমে আসলে আমরা নিজেরা বুঝতে পারি যে আমরা কাজ করছি মানুষের কল্যাণে।

খুব মায়া লাগল, মনে হলো ওদেরকে যদি শিক্ষার সুযোগ দেয়া যায় ওরা দেশকে অনেক কিছু দিতে পারবে
আমরা যখন প্রথম আসি এখানে… ইয়ংম্যান! তোমরা তো খাবার কী পাও? একদম রেডি। ডাইনিং টেবিল। ডাইনিং টেবিল ছিল না।

লম্বাখোলাতে লাস্ট স্টেশন। লম্বাখোলাতে এসে সমস্ত বাজার ফেলে দেয়া হতো। ওখান থেকে থং ইয়ারা, এত ছোট ছোট সেই ছোট্ট থং ইয়া এখন ইঞ্জিনিয়ার থং ইয়া। আমি যখন নয়াপাড়াতে গিয়ে ছিলাম বেড়াতে তখন থং ইয়া সুমথং আরেকটি বাচ্চা। খুব মায়া লাগল দেখে। খুব মায়া লাগল।

মনে হলো ওদেরকে যদি শিক্ষার সুযোগ দেয়া যায় ওরা দেশকে জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারবে।

কেউ এসে না খেয়ে যাওয়া মানে কেয়াজুপাড়া পর্যন্ত তার খাবারের আর কোনো ব্যবস্থা নাই
এই থং ইয়া। থং ইয়াকে জিজ্ঞেস করলাম যে থং ইয়া তোমার মনে আছে?

বলে যে মানে থাকবে না। আমার এখনো মনে আছে এবং খুব ভালো লাগত। এখান থেকে লাইন ধরে সব যেতাম।

যত বাজার লাউ কদু এটা সেটা হাবিজাবি সব কেউ লাউ নিয়ে কেউ অন্য বাজার নিয়ে কেউ চাল নিয়ে ওখান থেকে আসত হেঁটে। হেঁটে আসত।

তখনও আমরা নিয়ম করেছিলাম এখানে কোনো রাস্তা ছিল না। হাঁটা ছাড়া কোনো পথ ছিল না। আমরা বলতাম যে এখানে যে আসবে, দুপুরবেলা কেউ এসে যেন না খেয়ে না খেয়ে না যায়। কারণ এখান থেকে দুপুরবেলা না খেয়ে যাওয়া মানে কেয়াজুপাড়া না যাওয়া পর্যন্ত তার খাবারের আর কোনো ব্যবস্থা নাই।

আমরা বলেছিলাম যে আসুক, তাকে বলবেন যে ভাই আমাদের এই আছে একটু ডাল আছে একটু ভাত আছে। আমিরাবাদ গেলে অনেক ভালো খাবার খেতে পারবেন, এখন দুপুরবেলা, একটু দুমুঠো খেয়ে যান।

তখন থেকে এখানে এসে কেউ না খেয়ে যেতে পারে না।

সব ধর্মে সে অভাবী হিন্দু না মুসলমান বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান- কখনো এই প্রশ্ন বলা হয় নি, বলা হয়েছে ‘অভাবী’ ‘মানুষ’
একজন মানুষ আল্লাহকে ডাকছে ভগবানকে ডাকছে ঈশ্বরকে ডাকছে। ডাকার সাথে সাথে কী করছে? সে আবার মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। তার তো সবটাই ইবাদত। আল্লাহ তো সবটাই ইবাদত তার হিসেবে গ্রহণ করছেন, কবুল করছেন এবং তাকে সেভাবে পুরস্কৃত করছেন।

আমরা সূরা কাসাসের আয়াতটার কথা বলছিলাম- ‘আল্লাহ যেমন তোমাকে অনুগ্রহ করেছেন, তেমনি তুমিও মানুষের প্রতি সদয় হও।’ বাইবেলেও কিন্তু একই কথা বলা হয়েছে, সার্থক জীবন তাদের যারা দানশীল কারণ যারা দানশীল তারা দয়া পাবে। বেদে বলা হয়েছে, এসো প্রভুর সেবক হই গরিব ও অভাবীদের দান করি।

এবং সব জায়গাতেই সবধর্মে সে অভাবী হিন্দু না মুসলমান বৌদ্ধ না খ্রিষ্টান- কখনো এই প্রশ্ন এটা বলা হয় নি। বলা হয়েছে ‘অভাবী’ বলা হয়েছে ‘মানুষ’।

আমরা কোয়ান্টামে আমরা খুব ভাগ্যবান আমরা মানুষের জন্যে কাজ করছি। এবং মানুষের জন্যে কাজ করছি বলে আল্লাহ আমাদেরকে এত ভালো রেখেছেন!

ওরা যে শুধু পড়াশোনা করে তা না, ওরা যাবে করসেবা করার জন্যে
যেখানে ঢাকা নটরডেম কলেজ থেকে ঢাকা কলেজ থেকে ঐরকম জায়গায় পড়াশুনা করে অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে চান্স পায় না। সেখানে আমাদের এখান থেকে এবারও দুইজন মেডিকেলে এবং পাঁচজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পেয়েছে! এখনো তো আরো রেজাল্ট বেরোয় নি।

কেন? কারণ ওরা যে শুধু পড়াশোনা করে তা না। এই যে আজকে এখন তারা যাবে করসেবা করার জন্যে। এখন আপনারা যাচ্ছেন এখান থেকে করসেবা করার জন্যে। এবং এজন্যেই আল্লাহর রহমত আমাদের ওপর বর্ষিত হয়।

মানুষের কল্যাণ করার মধ্য দিয়ে নিজের কল্যাণ হয়
এবং কোয়ান্টামে আমরা কী বলি? আমাদের প্রত্যয়নটা কী? শেষ বাক্যটা কী? জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে মানুষের কল্যাণ করব। এই মানুষের কল্যাণ করার মধ্য দিয়ে নিজের কল্যাণ হয়। অর্থাৎ অন্যের কল্যাণে যত কাজ করবেন তত আপনি সুস্থ থাকবেন, তত সুন্দর থাকবেন তত সুখী জীবনের অধিকারী হবেন প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারেই।

[কোয়ান্টামম সাদাকায়ন, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »