1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:০১ অপরাহ্ন

আল্লাহ ও আল্লাহ-সচেতনতা

  • সময় সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ১১২৪ বার দেখা হয়েছে

৪২৪.
আল্লাহ বলেন, বান্দার ধারণা অনুসারেই আমি তার সামনে প্রতিভাত হই। সে যখন প্রার্থনা করে, আমি তার সাথেই থাকি। সে যদি মনে করে—আমি তাকে অনুগৃহীত করব, আমি তাকে তখন অনুগৃহীত করি। আর যদি সে মনে করে—আমি তার প্রতি বিরূপ, তবে সে বিরূপতারই সম্মুখীন হবে।
—আবু হুরায়রা (রা); আহমদ

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

৪২৫.
আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে যেভাবে কল্পনা করে, আমি তার জন্যে সে-রকমই। যখন সে আমাকে স্মরণ করে, আমি তার সাথে থাকি। সে যখন মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, আমিও তখন তাকে স্মরণ করি। যখন সে কোনো সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, আমি তখন তার চেয়ে ভালো সমাবেশে তাকে স্মরণ করি।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

৪২৬.
আল্লাহ বলেন, যখন কোনো বান্দা আমার পথে এক বিঘত অগ্রসর হয়, আমি তার দিকে একহাত এগিয়ে যাই। যখন সে আমার দিকে একহাত এগিয়ে আসে, আমি তখন তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তখন তার দিকে দৌড়ে যাই।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); বোখারী, মুসলিম

৪২৭.
আল্লাহ বলেন, বান্দা যদি আমার সাথে মিলিত হতে ভালবাসে, আমিও তার সাথে মিলিত হতে ভালবাসি। বান্দা যদি আমার সাথে মিলিত হওয়াকে অপছন্দ করে, আমিও তার সাথে মিলিত হওয়াকে অপছন্দ করি।
—আয়েশা (রা), আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

৪২৮.
আল্লাহর মতো এত বেশি সহনশীল আর কে আছে! মহামহান স্রষ্টা সব শোনেন, সব দেখেন। তাঁর সাথে শরিক করা কিংবা তাঁর সন্তান আছে বলে মিথ্যা অপবাদ দেয়ার পরও তিনি শরিককারীদের নিরাপত্তা ও জীবনোপকরণ দানে কোনো কার্পণ্য করেন নি।
—আবু মুসা আশয়ারী (রা); আহমদ

৪২৯.
আল্লাহ বলেছেন, আমি যা ফরজ করেছি তা পালন করলে বান্দা আমার নিকটবর্তী হয়। নফল ইবাদতের মাধ্যমে যখন সে আমার অনুগ্রহ প্রার্থনা করে, তখন আমি তাকে ভালবাসতে শুরু করি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান চোখ হাত পা হয়ে যাই—যা দিয়ে সে শোনে, দেখে, কাজ করে, হাঁটে। তখন সে যা চায়, আমি তাকে তা-ই দেই।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী

৪৩০.
যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে পরস্পরকে ভালবাসে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে পারস্পরিক বৈঠকে মিলিত হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় পরস্পর দেখাসাক্ষাৎ করে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে নিজেদের সম্পদ ব্যয় করে, আল্লাহও তাদেরকে ভালবাসেন।
—আবু ইদ্রিস আল খাওলানী (র); মুয়াত্তা

৪৩১.
আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন। আল্লাহর হক আদায় করো, তাঁকে তোমার সাথেই পাবে।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); তিরমিজী

৪৩২.
হে আল্লাহর রসুল! একজন মানুষ আল্লাহওয়ালা মানুষকে ভালবাসে। কিন্তু সে তার মতো অত আমল করতে পারে না, (মহাবিচার দিবসে) তার কী হবে? নবীজী (স) বললেন : আবু যর! তুমি তাদের সাথেই থাকবে, যাদের তুমি ভালবাসো। আবু যর (রা) বললেন, আমি আল্লাহ ও আল্লাহর রসুলকে ভালবাসি। নবীজী (স) বললেন, তুমি যাকে ভালবাসো তার সাথেই থাকবে।
—আবু যর গিফারী (রা); বোখারী, মুসলিম

৪৩৩.
একজন সংবেদনশীল মা তার সন্তানের প্রতি যে-রকম সদয় ও মমতাময়, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি তার চেয়েও অনেক বেশি সদয় ও অনুগ্রহশীল।
—ওমর ইবনে খাত্তাব (রা); বোখারী, মুসলিম

৪৩৪.
আল্লাহ সুন্দর। তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন।
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম

৪৩৫.
আল্লাহ তোমাদের তিনটি কাজ পছন্দ করেন : ১. এক আল্লাহর ইবাদত করা। ২. আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক না করা। ৩. আল্লাহর দ্বীনকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা এবং সঙ্ঘবদ্ধ থাকা।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

৪৩৬.
আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় জায়গা হচ্ছে মসজিদ। আর সবচেয়ে অপছন্দনীয় জায়গা হচ্ছে বাজার।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

৪৩৭.
আল্লাহর ব্যাপারে কোনো উৎপীড়কের উৎপীড়নকে ভয় কোরো না।
—আবু যর গিফারী (রা); বায়হাকি

৪৩৮.
দুনিয়ার পেছনে ছুটো না, তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন। আর সাধারণ মানুষ যা নিয়ে মত্ত থাকে তা কামনা কোরো না, তাহলে তারা তোমাকে ভালবাসবে।
—সহল ইবনে সাদ (রা); ইবনে মাজাহ

৪৩৯.
আল্লাহ-সচেতন মানুষকে ধনসম্পদ প্রভাবিত করতে পারে না। আল্লাহ-সচেতন মানুষের জন্যে সুস্বাস্থ্য ধনসম্পদের চেয়ে উত্তম। আর হৃদয়ের প্রফুল্লতা আল্লাহর বিশেষ রহমত।
—আবদুল্লাহ ইবনে খুবাইব (রা); ইবনে মাজাহ

৪৪০.
কেউ আল্লাহর নামে সুরক্ষা চাইলে তাকে সুরক্ষা প্রদান করো। আল্লাহর নামে কোনোকিছু চাইলে (সামর্থ্য থাকলে) তা দান করো। কেউ তোমার উপকার করলে তারও উপকার করো। আর উপকার করার সামর্থ্য বা সুযোগ না থাকলে তার জন্যে এমনভাবে দোয়া করো, যাতে তুমি স্বস্তি পাও যে, তুমি যতটুকু করতে পারতে তা তুমি করেছ।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); আবু দাউদ, নাসাঈ

৪৪১.
আল্লাহ বলেন : ‘হে মানুষ! আমি কারো ওপর জুলুম করি না। এবং তোমাদের পরস্পরের ওপর জুলুম করাকে নিষিদ্ধ করেছি। অতএব তোমরা পরস্পরের ওপর জুলুম কোরো না। হে মানুষ! তোমরা তো দিনরাত পাপ করো। আমি তোমাদের পাপমোচন করি। এতে আমার কিছু যায়-আসে না। অতএব তোমরা আমার কাছে ক্ষমা চাও। আমি তোমাদের ক্ষমা করে দেবো। হে মানুষ! আমি না খাওয়ালে তোমরা অভুক্ত থাকবে। অতএব আমার কাছে জীবনোপকরণ চাও। আমি তোমাদের জীবনোপকরণ দেবো। হে মানুষ! আমি পরিধেয় বস্ত্র দান না করলে তোমরা সবাই বস্ত্রহীন থাকবে। অতএব আমার কাছে চাও। আমি তোমাদের পোশাক দেবো। হে মানুষ! তোমরা যদি সবাই সর্বোচ্চ মাত্রার ধর্মপরায়ণ হয়ে যাও, তবুও তাতে আমার সাম্রাজ্যের কিছু বৃদ্ধি পাবে না। তোমাদের সবার অন্তর যদি চরম পাপিষ্ঠ হয়ে যায়, তবুও তা আমার সাম্রাজ্যে কোনো ঘাটতি সৃষ্টি করবে না। আর তোমরা যদি সবাই সমবেত হয়ে চাইতে থাকো এবং তোমাদের সব চাওয়া যদি আমি পূরণ করে দেই এবং তা যদি তোমরা নিয়ে যেতে থাকো, তবুও তোমরা শুধু ততটুকুই নিতে পারবে—সমুদ্রে একটি সুচ ডুবিয়ে তা তুললে যতটুকু পানি সুচের গায়ে লেগে থাকে। অতএব হে মানুষ! এই হচ্ছে তোমার কর্ম। বিচার হবে তোমাদেরকে প্রদত্ত বিধান অনুসারে। অতএব যারা সৎকর্ম করেছ, তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো। আর যারা এর বিপরীত কাজ অর্থাৎ অপকর্ম করেছ তারা সেজন্যে নিজেদেরকেই দোষারোপ করো।’
—আবু যর গিফারী (রা); মুফরাদ (বোখারী)

৪৪২.
বঞ্চিত অবহেলিত মানুষ যদি আল্লাহর ওপর ভরসা করার শপথ নেয়, তবে আল্লাহ অবশ্যই তার শপথ পূরণের সুযোগ করে দেবেন। এরা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
—হারিসা ইবনে ওয়াহাব (রা); বোখারী, মুসলিম

৪৪৩.
আল্লাহর নামে অর্থাৎ আল্লাহর দোহাই দিয়ে জান্নাত ছাড়া কিছু চাওয়া উচিত নয়।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); আবু দাউদ

৪৪৪.
তোমরা কেউই বোলো না, হায়! সর্বনাশা সময়! কারণ আল্লাহ বলেছেন, আমিই সময় (নিয়ন্ত্রণকারী)। আমিই দিন ও রাত প্রেরণকারী। যখন আমার ইচ্ছা—সব থেমে যাবে!
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম, আহমদ

৪৪৫.
কখনো বোলো না যে, আল্লাহ এবং অমুক যা ইচ্ছা করেন। সবসময় বলবে, আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। তারপর অমুকের ইচ্ছা।
—হুজাইফা ইবনে ইয়ামন (রা); আবু দাউদ

৪৪৬.
আল্লাহ ছাড়া গায়েব বা অদৃশ্যের পাঁচটি বিষয় কেউ জানে না : ১. আগামীকাল কী ঘটবে। ২. মাতৃগর্ভে কী আছে। ৩. বৃষ্টি কখন হবে। ৪. সে কোথায় মারা যাবে। ৫. কখন কেয়ামত হবে।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); বোখারী, মুসলিম

৪৪৭.
আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদের সবার চেয়ে আমি বেশি জানি। এজন্যেই আমি সবচেয়ে বেশি আল্লাহ-সচেতন, আল্লাহর (বিরাগভাজন হওয়াকে) ভয় পাই।
—আয়েশা (রা); বোখারী

৪৪৮.
আল্লাহ তাঁর করুণার একশ ভাগের একভাগ মাত্র মহাবিশ্বের সকল সৃষ্টিকে দিয়েছেন। নিরানব্বই ভাগ রেখেছেন নিজের কাছে। এই একভাগ নিয়েই সৃষ্টির সবকিছু দয়া, সমমর্মিতা, প্রেম-মমতার প্রকাশ ঘটায়। আল্লাহর শাস্তির পরিধি সম্পর্কে যদি কোনো বিশ্বাসী পুরোপুরি ধারণা লাভ করত, তাহলে সে কখনো নিজেকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ মনে করত না। আর সত্য অস্বীকারকারীরা যদি আল্লাহর করুণার সীমা সম্পর্কে পুরোপুরি জানত, তাহলে সে কখনো জান্নাত প্রাপ্তির ব্যাপারে নিরাশ হতো না।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

৪৪৯.
আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করার পর তাঁর আরশের ওপর রাখা কিতাবে লিখে রেখেছেন—‘আমার করুণা আমার ক্রোধের ওপর বিজয়ী হবে’।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »