নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি ও আমার পরিবারকে হত্যা করার জন্য কিলিংআমাকে হত্যা করতে কিলিং স্কোয়াড গঠিত হয়েছে: কাদের মির্জা স্কোয়াড গঠিত হয়েছে। ওই নেতারা এখন দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ তারা বিদেশে থেকে আমিসহ আমার পরিবারকে হত্যা করবেন। রোববার সাড়ে ৯টায় সহযোগী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন কাদের মির্জা। তিনি বলেন, অপশক্তিদের (প্রতিপক্ষ) সঙ্গে বৈঠক করার পর আমাকে একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ফোন দিয়েছেন। আমি বলেছি— আমি এখন আর আওয়ামী লীগ করি না। এর পর মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছি। এটি হলো সত্য কথা। আমি মিথ্যা বলতে পারব না। তিনি বলেন, ফেনীতে কোনো হত্যা হলে নিজাম হাজারী বিদেশে থাকেন। সেই ধারাবাহিকতায় কোম্পানীগঞ্জে কিলিং মিশন করার জন্য বাদল-মঞ্জুরা একরামের (সংসদ সদস্য) সঙ্গে মিটিং করতে দুবাই যাচ্ছে। তখনই ঘটনা ঘটতে পারে। শুনেছি একরাম ২৬ তারিখ দেশে আসার কথা রয়েছে। না এলে ওরা যাবে, আর এলে ঢাকাতে বৈঠক হবে। এটার সমন্বয় করছে মন্ত্রীর সহকারী জুয়েল। কাদের মির্জা বলেন, সচিব বেলায়েতের নির্দেশে নোয়াখালীর ডিসি, এসপি, ডিবির ওসি, এএসপি শামীম, কবিরহাটের ইউএনও, ওসি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি জেলা প্রশাসকের বাসায় মিটিং করেছে। সারা এলাকায় একযোগে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। ফেনীর বিভিন্ন এলাকায়ও তাতে একাত্মতা প্রকাশ করে মিছিল করা হবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
তিনি কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে বলেন, এরা মন্ত্রীর পিআরও নাসেরের নেতৃত্বে যে কোনো ঘটনা তাদের (প্রতিপক্ষ) পক্ষে নেওয়ার জন্য কাজ করে। নোয়াখালী ও ঢাকার সাংবাদিকদের তথ্য পাচার করে। কাদের মির্জা বলেন, আমার ছেলেকে আহত করেছে। আমার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করেছে। ৯ মার্চ কালোরাত্রিতে আমার পৌরসভায় আক্রমণ করেছে কাউকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু ওরা (প্রতিপক্ষ) ঠিকই অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করছে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিয়াউল হক মীর ও এসিল্যান্ড সুপ্রভাত চাকমাকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়েছে, যাতে আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জেল দিতে পারে। এটা ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বলেও দাবি করেন তিনি। কাদের মির্জা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি মানবতার নেত্রী, আপনি এসব ঘটনার তদন্ত করেন। আপনার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করলে সব সত্য বেরিয়ে আসবে। তিনি তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতাসহ নোয়াখালী ও ফেনীর বেশ কিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বলেন, এরাই কিলিং মিশনের সদস্য। এদের কাছে অস্ত্র আছে। অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন কাদের মির্জা।