1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :

দোয়া

  • সময় বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ১০৩১ বার দেখা হয়েছে

৫০০.

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

দোয়া সকল ইবাদতের নির্যাস।
—আনাস ইবনে মালেক (রা), নোমান ইবনে বশীর (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫০১.
দোয়া হচ্ছে বিশ্বাসীর হাতিয়ার, ধর্মের মূলধারা, দুনিয়া ও আখেরাতের আলো।
—আলী ইবনে আবু তালিব (রা); হাকেম

৫০২.
যখন তোমরা প্রার্থনা করো, তখন প্রথমে আল্লাহ মহামহিমের মহিমা ঘোষণা করো। তারপর নবীর ওপর দরুদ পড়ো। তারপর ইচ্ছেমতো দোয়া করো।
—ফাদালা ইবনে ওবায়েদ (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫০৩.
দোয়া করো। কখনো অধৈর্য হয়ো না। কখনো তাড়াহুড়ো কোরো না। (কখনো বোলো না যে, এত দোয়া করলাম, কই, কবুল তো হতে দেখলাম না!) ধৈর্য হারালে দোয়ায় আগ্রহ কমে যাবে। হতাশা তোমাকে আচ্ছন্ন করবে। আসলে অস্থির হয়ে নেতিবাচক কথা না বললে বিশ্বাসীর দোয়া সবসময় কবুল হয়।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম, বোখারী

৫০৪.
নিজের জন্যে প্রার্থনা করা উত্তম ইবাদত।
—আয়েশা (রা); মুফরাদ (বোখারী), হাকেম

৫০৫.
আল্লাহর কাছে চাও। না চাইলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী, মেশকাত

৫০৬.
আল্লাহ বলেন, তোমরা আমার ইবাদতের জন্যে আন্তরিকভাবে সময় অন্বেষণ করো। তাহলে তোমার অন্তর তৃপ্ত হবে, তোমার অভাব দূর হবে। তা না হলে তোমার কর্মব্যস্ততা বাড়বে, কিন্তু তুমি অভাবী ও সমস্যাগ্রস্তই থেকে যাবে।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী

৫০৭.
তুমি যদি কোনো বিপদে পড়ো, আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। তিনি বিপদ দূর করে দেবেন। খরা ও অজন্মার কারণে যদি দুর্ভিক্ষে পড়ো, তাঁর কাছে দোয়া করবে। তিনি খাদ্যশস্যের ব্যবস্থা করবেন। যদি জনমানবহীন বা পানিবিহীন প্রান্তরে হারিয়ে যাও, বাহনও যদি নিখোঁজ হয়, তুমি তাঁর কাছেই দোয়া করবে। তিনিই বাহনের ব্যবস্থা করবেন।
—জাবির ইবনে সুলাইম (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫০৮.
কোনো দুর্ভোগ বা বিপদ-মুসিবতের সময় যখন কেউ বলে, ‘ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন (আমরা সবাই আল্লাহর। তাঁর কাছ থেকে এসেছি। আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব)’ এবং প্রার্থনা করে, ‘বিপদের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দাও। যা হারিয়ে গেছে তার চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার পথ করে দাও।’ আল্লাহ তখন তার ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দেন এবং যা চলে গেছে তার চেয়ে ভালো কিছুর ব্যবস্থা করে দেন।
—উম্মে সালামা (রা); মুসলিম

৫০৯.
কেউ অন্যের দ্বারা উপকৃত হলে উপকারকারীকে যেন বলে, ‘জাযাকাল্লাহু খায়রান’ (আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন)। এই দোয়া উপকৃতের তরফ থেকে উপকারকারীর উপকারের উত্তম প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা।
—উসামা ইবনে জায়েদ (রা); তিরমিজী

৫১০.
যখন তুমি দোয়া করবে কখনো বলবে না যে, আল্লাহ! ইচ্ছা হলে আমাকে ক্ষমা করো, ইচ্ছা হলে দয়া করো, ইচ্ছা হলে রিজিক দাও। যখন তুমি চাইবে, প্রবল বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে চাইবে। তোমাকে কিছু দেয়ার ব্যাপারে আল্লাহকে বাধা দেয়ার কেউ নেই।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

৫১১.
অরাজক ও কঠিন পরিস্থিতিতে কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, হিজরত করে নবীজীর (স) কাছে আসার সমান।
—মাকিল ইবনে ইয়াসর (রা); মুসলিম

৫১২.
বান্দার দিনের পাপের তওবা কবুলের জন্যে আল্লাহ রাতে তাঁর হাত প্রসারিত করে রাখেন। আর রাতের পাপের তওবা কবুলের জন্যে তিনি দিনের বেলা হাত প্রসারিত করে রাখেন।
—আবু মুসা (রা); মুসলিম

৫১৩.
প্রত্যেক রাতে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে যখন একজন বিশ্বাসী আল্লাহর কাছে দুনিয়া বা আখেরাতে তার কল্যাণের জন্যে যে প্রার্থনাই করুক, আল্লাহ তা কবুল করেন।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); মুসলিম

৫১৪.
যখন একজন দাস হৃদয় উন্মুক্ত করে তার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করে, তখন তিনি তার ডাকে সাড়া দেন।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); তিরমিজী

৫১৫.
যখন তোমরা দোয়া করবে, তখন পরিপূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করবে। অন্তর থেকে চাইবে। কারণ আল্লাহ বান্দাকে যা দেবেন, তা তাঁর কাছে বিশাল কিছু নয়।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

৫১৬.
তিন ধরনের দোয়া আল্লাহর কাছে সরাসরি পৌঁছে যায়—১. মজলুমের দোয়া। ২. মুসাফিরের দোয়া। ৩. (সন্তানের জন্যে) পিতামাতার দোয়া ও বদদোয়া।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ

৫১৭.
আল্লাহ বান্দার প্রার্থনায় সাড়া দিতে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে অন্যায় কিছু চায় বা কোনো সম্পর্কচ্ছেদ প্রার্থনা করে।
—উবাদা ইবনে সামিত (রা), আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজী

৫১৮.
একজন বিশ্বাসী যখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তখন তিনি তা কবুল করেন। সে যা চায় তিনি তাকে তা দান করেন অথবা সমপরিমাণ বিপদ-মুসিবত-অকল্যাণ দূর করে দেন। অবশ্য সে যদি অন্যায় কিছু চায় বা কোনো আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তাহলে ভিন্ন কথা।
—উবাদা ইবনে সামিত (রা); তিরমিজী

৫১৯.
যখন কোনো বিশ্বাসী অপর বিশ্বাসী ভাইয়ের জন্যে তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করে, তখন তা কবুল হয়। সে যখনই অন্যের জন্যে দোয়া করে তখন সেখানে উপস্থিত ফেরেশতা তার সাথে ‘আমিন’ বলে এবং বলে, ‘তোমারও এরকম কল্যাণ হোক’।
—আবু দারদা (রা); মুসলিম

৫২০.
আমি একবার রসুলুল্লাহর (স) কাছে ওমরাহ করার অনুমতি চাইলাম। তিনি অনুমতি দিয়ে বললেন, ‘হে ভ্রাতা! তোমার দোয়ার মধ্যে আমাদেরকে ভুলে যেও না’।
—ওমর ইবনে খাত্তাব (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

৫২১.
নবীজী (স) দোয়ার জন্যে হাত তুললে দুই হাত মুখে বুলিয়ে তারপর নিচে নামাতেন।
—ওমর ইবনে খাত্তাব (রা); তিরমিজী, আশকালানী

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »