একজন শহিদ নিহত হওয়ার সময় কোনো মৃত্যুকষ্ট অনুভব করে না। একটা পিঁপড়া কামড় দিলে তোমরা যতটুকু কষ্ট অনুভব করো, শহিদের কষ্টও ঠিক ততটুকুই।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী
জান্নাতে প্রবেশ করার পর শহিদ ছাড়া কেউই পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইবে না। শহিদ যখন শাহাদাতের কারণে জান্নাতে তার মর্যাদা দেখবে, তখন সে পৃথিবীতে ফিরে এসে আরো ১০ বার আল্লাহর পথে শহিদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করবে।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); বোখারী, মুসলিম
নিজস্ব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে যে নিহত হলো, তার মৃত্যু শহিদী মৃত্যু।
—আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); বোখারী, মুসলিম
পাঁচ শ্রেণির মানুষ শহিদের তালিকাভুক্ত হবে—১. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জেহাদে নিহত হলো, সে শহিদ। ২. যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জেহাদে গিয়ে স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করল, সে শহিদ। ৩. যে ব্যক্তি মহামারিতে মারা গেল, সে শহিদ। ৪. যে ব্যক্তি পেটের পীড়ায় মারা গেল, সে শহিদ। ৫. যে ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা গেল, সে শহিদ।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
মহামারির সময় কেউ যদি নিঃশঙ্কচিত্তে সবরের সাথে নিজ এলাকায় থাকে এবং বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া তার কোনো ক্ষতিই হবে না, তার মর্যাদা হবে শহিদের সমান।
—আয়েশা (রা); বোখারী
সন্তান প্রসবকালে মারা গেলে তার মর্যাদা হবে শহিদের মর্যাদা।
—উকবা ইবনে আমীর (রা); নাসাঈ
আত্মরক্ষা করতে গিয়ে যদি কেউ নিহত হয়, তবে তার মৃত্যু শহিদী মৃত্যু। পরিবারকে রক্ষা করতে গিয়ে যদি কেউ নিহত হয়, তবে তার মৃত্যুও শহিদী মৃত্যু। —সাঈদ ইবনে জায়েদ (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী
মহাবিচার দিবসে একজন শহিদ ৭০ জনের জন্যে আল্লাহর কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
—উসমান ইবনে আফফান (রা); ইবনে মাজাহ
যদি কেউ শহিদ হওয়ার জন্যে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে এবং পরবর্তীতে বিছানায় শুয়ে মারা যায়, তবুও আল্লাহ তাকে শহিদের মর্যাদা দান করবেন।
—সহল ইবনে হুনাইফ (রা); মুসলিম, আবু দাউদ