1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

নামাজ হোক আপনার মেরাজ

  • সময় শনিবার, ৮ মে, ২০২১
  • ১০৩১ বার দেখা হয়েছে

প্রিয় সুহৃদ! আসসালামু আলাইকুম। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আজকের মাসিক সাদাকায়নে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজ পবিত্র জুমাতুল বিদা।

জুমাতুল বিদা রমজানের শ্রেষ্ঠ ‘জুমআ’!

রোজাদারদের জন্যে জুমাতুল বিদা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। নবীজী (স) বলেছেন, সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমআর দিন হচ্ছে সর্বোত্তম। এবং তিনি জুমআর দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ার জন্যে বলেছেন।

এবং বলেছেন যে, গোসল করে তোমরা জুমআর নামাজ পড়তে যাও। জুমআর নামাজকে অবহেলা করবে না। যারা অবহেলা করবে তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

আর রোজাদারদের জন্যে জুমাতুল বিদা হচ্ছে রমজানের শ্রেষ্ঠ জুমআ। জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়েই রমজান মাসের সমাপ্তির সূচনা হয়।

জুমাতুল বিদার দিনে বুদ্ধিমান ইবাদতকারীরা রমজানের ইবাদত এবং সৎকর্মের হিসাবনিকাশ করেন। ইবাদত এবং সৎকর্মে কোনো ঘাটতি থাকলে এই ঘাটতি পূরণের জন্যে অবহেলা পূরণের জন্যে অবশিষ্ট দিনগুলো তারা কাজ করার সুযোগ পান।

স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রত্যেক নামাজীর সতর্ক থাকা উচিৎ যে দুটি বিষয়ে…

জুমআর নামাজ স্বাভাবিকভাবেই জামে মসজিদের নামাজ। এবং যখন মসজিদে যাবেন তখন স্বাভাবিক পরিবেশে কী করতে হবে সেটাও নবীজী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন।

তিনি বলেছেন, “নামাজের জন্যে সারিবদ্ধ হও। কাঁধের সাথে কাঁধ মেলাও। দুজনের মধ্যে যেন কোনো দূরত্ব না থাকে। যখন কেউ কাঁধের সাথে কাঁধ লাগিয়ে সারি ঠিক করে দাঁড়ায় আল্লাহ তাকে রহমতের সাথে সংযুক্ত রাখেন। আর যে ব্যক্তি সারি থেকে বিযুক্ত হয় আল্লাহ তাকে রহমত থেকে বিযুক্ত করেন।”

স্বাভাবিক সাধারণ পরিবেশে এটি নবীজীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

আর কাতারের ক্ষেত্রে নবীজীর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমাদেরকে সজাগ করে দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, নামাজের জন্যে মসজিদে আগে এলে সামনের কাতারে দাঁড়াও। যারা পরে আসবে পরের কাতারে দাঁড়াবে। আগে এসে পেছনে বসার অভ্যাস সৃষ্টি করো না। যদি কোনো ব্যক্তি বা জনগোষ্ঠী আগে এসে পেছনে বসতে অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন আল্লাহ তাদেরকে পেছনেই ফেলে রাখেন।

অতএব নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে বিশেষত জুমার নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি থাকবে তখন এ দুটি বিষয়ে প্রত্যেক নামাজীর সতর্ক থাকা উচিৎ।

সত্য অস্বীকারকারী ও মুনাফেকের মধ্যে বিভাজন রেখা হলো ‘নামাজ’!

প্রিয় সুহৃদ! জুমআর নামাজে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ততা তখন আসবে যখন আপনি আপনার জীবনে নামাজের গুরুত্বকে অনুধাবন করতে পারবেন।

কেন নামাজ আপনার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ?

নবীজী (স) খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, নামাজ হচ্ছে বিশ্বাসীর সাথে শরিককারী, সত্য অস্বীকারকারী ও মুনাফেকের মধ্যে বিভাজন রেখা। এবং তিনি বলেছেন, যে নামাজ ত্যাগ করল সে কুফরি করল।

নবীজী (স) আরো বলেছেন, দেহমনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, একাগ্রচিত্তে নামাজ এবং ধৈর্যের সাথে আল্লাহর ইবাদত আল্লাহর পথে জেহাদ করার মতোই সওয়াবের কাজ।

এত নামাজী! কিন্তু কেন এত অন্যায় ও অশ্লীলতা?

নামাজের গুরুত্ব কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে নানানভাবে নানান উদাহরণ দিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।

সূরা আনকাবুত, ৪৫ আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, “হে নবী! তোমার ওপর নাজিলকৃত কিতাবের বাণী সবার কাছে পৌঁছে দাও। নামাজ কায়েম করো। মনে রেখো, নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণ (জিকির) সবচেয়ে ভালো কাজ। তোমাদের সকল কাজ সম্পর্কে আল্লাহ জানেন।”

প্রিয় সুহৃদ! আল্লাহতায়ালা যেখানে বলছেন, নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করে, আমরা যদি আজকে এই জুমাতুল বিদার এই দিনে একটু চিন্তা করি যে, নামাজ কি আমাদেরকে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করছে?

যদি আমরা নিজেদেরকে প্রশ্ন করি-

আমরা এত নামাজী মসজিদ উপচে ওঠে। জুমআর দিন রাস্তাও বহু জায়গায় বন্ধ হয়ে যায় নামাজীর ভিড়ে। এত নামাজী তারপরেও চারপাশে এত অন্যায় এত অশ্লীলতা কেন? এত অস্থিরতা এত অসহিষ্ণুতা এত হিংসা এত বিদ্বেষ কেন?

একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী লিখেছেন, যে “আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবসার পরিধি গ্রামে গ্রামে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় বিনোদনের জন্যে। এবং এই ৮০ শতাংশের মধ্যে অন্তত ৬০ শতাংশ ব্যবহার হওয়ার পরিবর্তে অপব্যবহার হচ্ছে পর্ণগ্রাফিতে।

টেলিকম কোম্পানিগুলো ৪২০ টাকার ইন্টারনেট ৮,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করছে। গ্রামের বয়স্ক মানুষরা বুঝতে পারছে কিন্তু তরুণদের থামাতে পারছে না।”

আসলে ব্যবহৃত ইন্টারনেটের ৮০ শতাংশ যদি বিনোদনে ব্যয় হয় আর সেই ৮০ শতাংশের মধ্যে ৬০ শতাংশ অশ্লীলতার পেছনে, পর্ণগ্রাফির পেছনে ব্যয় হয় তাহলে আমাদের আমাদের অবস্থা কী দাঁড়ায়?

এই পরিসংখ্যান যদি সত্য হয় তাহলে আমাদের সমাজের জন্যে আমাদের সবার জন্যেই বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

অবশ্য মোবাইলে কে কোন সাইট ভিজিট করছেন, ভিজিট করার পরে তিনি সেটা ডিলিট করেন আর যাই করেন, মুছে ফেলেন মেমোরি থেকে, কিন্তু পোস্টমর্টেম করলে তার পায়ের ছাপ ট্রেস করা যায়। যে তিনি এই ইন্টারনেট দিয়ে কী কী করেছেন, কী কী দেখেছেন, কোথায় কোথায় গিয়েছেন এবং এই ৬০ শতাংশ মধ্যে যারা নামাজ পড়েন, তাদের কোনো অংশ নাই এ কথা বলা কঠিন।

নামাজও পড়ছি; অন্যায় এবং অশ্লীলতার মধ্যেও ডুবে আছি; কারণটা কী?

প্রিয় সুহৃদ! স্বাভাবিকভাবেই যে কারো মনে প্রশ্ন জাগতে পারে- নামাজ আমাদের অনেককে অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারছে না কেন?

আমরা নামাজ পড়ছি আবার অন্যায় এবং অশ্লীলতার মধ্যে ডুবে যাচ্ছি, কারণটা কী? আসলে যদি আমরা একটু অনুসন্ধান করি তাহলে প্রধানত দুটি কারণ আমরা শনাক্ত করতে পারি।

প্রথমত, নামাজের যে পার্টনার সেই পার্টনারের প্রতি অবহেলা।

নামাজের এই পার্টনার এই অংশীদার হচ্ছে যাকাত।

হিজরি নবম শতকের বিশিষ্ট ইমাম ইমাম আল আয়ানী সুস্পষ্টভাবে যাকাতকে নামাজের অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, যাকাত ছাড়া নামাজ নিষ্ফল।

আসলে অধিকাংশ নামাজী নামাজকে যেভাবে গুরুত্ব দেন, যাকাতের গুরুত্বকে তারা সেইভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হন। কোরআনে ইসলামের তিনটি স্তম্ভ ঈমান বা বিশ্বাস, নামাজ ও যাকাতের কথা বার বার একসাথে বলা হয়েছে। নামাজ ও যাকাতের কথা কোরআনের ১৬টি সূরায় ২৮ বার একসাথে বলা হয়েছে।

এবং এজন্যে হিজরি অষ্টম শতকের বিখ্যাত আলেম ইমাম আল ইরাকি খুব সুন্দরভাবে বলেছেন যে, যারা ঈমান নামাজ ও যাকাত এই তিনটি স্তম্ভের আন্তরিক যত্ন নেবে তারা রোজা ও হজ পালন করতে পারবেন অনায়াসে।

আমরা একটু আগেও বলেছি- আমরা অনেক নামাজী নামাজের সাথে সাথে যাকাতের যে গুরুত্ব এই গুরুত্ব অনুধাবন করি না। এবং যাকাত ঠিকভাবে আদায় না করলে নামাজ যে নিষ্ফল এটাও আমরা বুঝি না।

অথচ আপনি যদি ইতিহাসের দিকে তাকান, নবীজী (স) এর ওফাতের পরে আরবের বিভিন্ন অংশের অনেক ইসলাম গ্রহণকারী যাকাত দিতে অস্বীকার করেছিল। তারা বলেছিল আমাদের ঈমান ঠিক আছে। আমরা নামাজ কায়েম করব কিন্তু যাকাত দেবো না।

খলিফা আবু বকর (র) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এবং সাহাবীরা তাদেরকে মুসলমান বলে গণ্য করেন নি।

অন্যায় ও অশ্লীলতায় জড়িয়ে থাকলে একটু খেয়াল করুন…

প্রিয় সুহৃদ! এবার আপনি নিজের দিকে তাকান। নামাজ পড়ার পরেও যদি আপনি অন্যায় ও অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে থাকেন তাহলে প্রথমত খেয়াল করুন যাকাত আদায় করার মতো সম্পদ অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ সম্পদ আপনার আছে কি না।

সেটা যথাযথভাবে হিসাব করে আপনি যাকাত দিচ্ছেন কি না। আর যাকাতদাতা হয়ে থাকলেও দান খয়রাতের মতন করে যাকাত বিতরণ করছেন কি না।

আপনার যাকাত শরীয়াহ নির্ধারিত আটটি খাতে ব্যয় করছেন কি না। এবং যাকাত আপনি সঙ্ঘবদ্ধভাবে আদায় করছেন কি না।

এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে দিচ্ছেন কি না যা শরীয়ত নির্ধারিত আটটি খাতে সেই অর্থ ব্যয় করে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করে সেই আলোকে যথাযথভাবে যাকাত আদায় করে আপনি প্রথম কারণটি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।

এবং যাকাত সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে আপনি কোয়ান্টাম ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। প্রয়োজনীয় তথ্য পেলে আপনার জন্যে সিদ্ধান্ত নেয়াটা অনেক সহজ হবে এবং যথাযথ যাকাতদাতা হওয়াটাও খুব সহজ হবে।

তুমি যদি দেখতে নাও পাও নিশ্চিতই তিনি (আল্লাহ) তোমাকে দেখছেন! – রসুলুল্লাহ (স)

নামাজের অংশীদার যাকাত। এই অংশীদারের হক আপনি যথাযথভাবে আদায় করতে পারবেন। এবং নামাজ সুরক্ষা দিতে না পারার প্রথম কারণটি আপনি দূর করতে পারবেন।

নামাজ আপনাকে অন্যায় এবং অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করতে না পারার কারণ হতে পারেন আবার আপনি নিজেই।

রসুলুল্লাহ (স) খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, একাগ্রচিত্ততা অর্থাৎ হুদরিল ক্বালব ছাড়া নামাজ আল্লাহ গ্রহণ করেন না।

এবং তিনি পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে, ‘প্রতিটি কাজ তুমি সবচেয়ে ভালোভাবে করবে এটাই আল্লাহর নির্দেশ’। নামাজের ক্ষেত্রেও তিনি এই এহসানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।

এবং সবচেয়ে ভালোভাবে কীভাবে নামাজ পড়বে এটাও তিনি বলে গেছেন।

তিনি বলেছেন, তুমি এমনভাবে নামাজ পড় যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ কারণ তুমি যদি দেখতে নাও পাও নিশ্চিতই তিনি তোমাকে দেখছেন।

নামাজে তাড়াহুড়া করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না!

আসলে একাগ্রচিত্ততা হুদরিল ক্বালব নামাজের জন্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এছাড়া আল্লাহ নামাজ গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ যদি নামাজ গ্রহণ না করেন তাহলে অন্যায় এবং অশ্লীলতা থেকে নামাজের যে সুরক্ষা সেই সুরক্ষা থেকেও স্বাভাবিকভাবেই আপনি বঞ্চিত হবেন।

তাই আপনার কাজ হবে যখনই নামাজে দাঁড়াবেন নিজেকে ধীর স্থির করবেন শান্ত করবেন। মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করে দাঁড়াবেন।

এবং নামাজে তাড়াহুড়া করবেন না। আধাঘণ্টা একঘণ্টা আমরা সিরিয়াল দেখে যাচ্ছি। দুঘণ্টা সিরিয়াল দেখে যাচ্ছি আমাদের ব্যস্ততা থাকে না সময় নষ্ট হয় না। অথচ তিন মিনিটের নামাজে আমরা তাড়াহুড়া করতে যাই!

আসলে যে জিনিস একজন বিশ্বাসীর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফরজ তা নিয়ে তাড়াহুড়া করতে যাওয়া বোকামি ছাড়া কিছু নয়।

যে নামাজ আপনাকে অন্যায় এবং অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করবে…

অতএব যখন জায়নামাজে দাঁড়াবেন স্থিরভাবে দাঁড়ান। একটু চোখ বন্ধ করুন। মনটাকে শান্ত এবং স্থির করার জন্যে কোয়ান্টাম যে প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়াকে প্রয়োগ করুন। মনটাকে স্থির করে নিজেকে অনুভব করুন- কাবা শরীফের, আল্লাহর ঘরের সামনে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন যে, আল্লাহ আমাকে দেখছেন। এই অনুভূতি আসার পরে চোখ মেলুন।

তারপর যথানিয়মে নামাজ আদায় করুন।

আপনার চিত্ত যখন একাগ্র হবে তখন যখন আপনি সেজদা দেবেন আপনার সেজদা যে-কোনো সময়ে মেরাজে রূপান্তরিত হতে পারে। নামাজে সত্যিকারের তৃপ্তি আপনি তখন পাবেন। সেই নামাজ আপনাকে অন্যায় এবং অশ্লীলতা থেকে রক্ষা করবে। এবং আপনি অনুভব করবেন কেন আল্লাহর রসুল বলেছেন নামাজ হচ্ছে জান্নাতের চাবি।

প্রার্থনায় যা চাইবেন একাগ্র বিশ্বাস নিয়ে চাইবেন…

প্রিয় সুহৃদ! রমজানের অবশিষ্ট কয়েকটি দিন চেষ্টা করুন যখন জায়নামাজে দাঁড়াবেন চিত্তকে প্রবলভাবে একাত্ম করতে। আল্লাহ মহামহিম তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন যে, দয়াময় তুমি আমার সেজদাকে মেরাজে রূপান্তরিত করো।

যখন প্রার্থনা করবেন যা চাইবেন একাগ্র বিশ্বাস নিয়ে চাইবেন। কারণ আপনার চাওয়া আল্লাহ যদি পূরণ করতে চান তাঁর কারো কাছে কোনো অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন নাই। তিনি মুহূর্তেই আপনার একাগ্রচিত্তে চাওয়াকে কবুল করতে পারেন।

এবং আপনি মেরাজের আনন্দে মুহূর্তে সেজদায় ডুবে যেতে পারেন।

ঈদের আগাম শুভেচ্ছা এবং সুখবর!- গুরুজী

প্রিয় সুহৃদ! আগামী সপ্তাহে ঈদ। সবাইকে আমার তরফ থেকে আপনাদের মা-জীর তরফ থেকে ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আর ঈদের পরের শুক্রবার ২১শে মে ব্যাপারে আপনাদের আগাম সুখবর দিচ্ছি যে, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো ২১শে মে ২০২১ সাল শুক্রবার বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন করবে ইনশাল্লাহ।

দিবসের নানা ধরনের কার্যক্রম থাকবে। তো মূল কার্যক্রম সকাল ৯:৩০ মিনিটে মেডিটেশন। বিশ্বের যেখানে থাকুন যে প্রান্তে থাকুন বাংলাদেশ সময়ের সাথে সময় মিলিয়ে সেদিন সে সময়ে বিশেষ ধ্যানে আপনি সপরিবারে একাত্ম হোন লাখো মানুষের সাথে।

ধ্যানের কল্যাণশক্তিতে অবগাহন করুক পৃথিবীর সকল মানুষের হৃদয়। অসহিষ্ণুতা হিংসা দূর হয়ে শান্তি ও সমমর্মিতায় অবগাহন করুক প্রতিটি অন্তর।

সবাই ভালো থাকুন। পরম করুণাময়ের রহমতের ছায়ায় থাকুন।

খোদা হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম। আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক।

[০৭ মে ২০২১ সাদাকায়নের জন্যে ০৩ মে ২০২১ তারিখে গুরুজীর প্রদত্ত বক্তব্য]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »