1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
ইফতার বিতরণ করলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশ আরএমজি প্রফেশনালস্ এর উদ্যোগে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ- গাজীপুরে এতিম শিশুদের সাথে বিডিআরএমজিপি এফএনএফ ফাউন্ডেশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিল গ্রীষ্মকাল আসছে : তীব্র গরমে সুস্থ থাকতে যা করবেন ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল তাইওয়ান, সুনামি সতর্কতা ঈদের আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি এবি পার্টির সালমান খান এবার কি বচ্চন পরিবার নিয়ে মুখ খুলতে যাচ্ছেন ঐশ্বরিয়া? আমার ও দেশের ওপর অনেক বালা মুসিবত : ইউনূস লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন?

প্রতিষ্ঠান প্রধান/ বস/ ম্যানেজার হিসেবে করণীয়

  • সময় শনিবার, ১৫ মে, ২০২১
  • ১২৫৯ বার দেখা হয়েছে

কর্মজীবীদের সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় কর্মক্ষেত্রে। বস সহকর্মী সহযোগী প্রতিযোগী অধীনস্থ অভ্যাগত পরিচিত অপরিচিত–বহু মানুষের সাথে প্রতিদিন আলাপ-আলোচনা ও লেনদেন করতে হয়। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি, সুন্দর আচরণ, কুশলী ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংযোগায়নের ওপরই নির্ভর করে আপনার কর্মজীবনের এ পর্বে রয়েছে কর্মক্ষেত্রে সার্বিকভাবে করণীয়-বর্জনীয় বিষয়ে দিক-নির্দেশনা। স্থান-কাল-পাত্রের প্রেক্ষিতে আন্তরিকভাবে এ নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন। কর্মক্ষেত্রে আপনি হয়ে উঠবেন নির্ভরযোগ্য ও সফল।

প্রতিষ্ঠান প্রধান/ বস/ ম্যানেজার হিসেবে

প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে অধীনস্থ মনে না করে সহকর্মীর মর্যাদা দিন।
অধীনস্থদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত আনুগত্য প্রত্যাশা করবেন না।
প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে সকল বৈষয়িক বা অফিসিয়াল কৃতিত্ব স্বাভাবিকভাবে আপনি পেলেও নিজেকে জাহির করবেন না। বরং কাজের কৃতিত্ব সহকর্মীদের প্রতি উৎসর্গ করুন।
অহেতুক দেরি না করে মাস শেষে/ কাজ শেষ হলে দ্রুত পারিশ্রমিক পরিশোধ করুন।
সম্ভব হলে প্রতিটি কাজের নির্দেশনা লিখিতভাবে দিন। এতে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা কমবে, কাজে গতিশীলতা বাড়বে।
খুঁটিনাটি কারণে শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাবেন না।
প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি নয়; বরং প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দিন।
কোনো কর্মীর কৃতিত্বের জন্যে সবার সামনে তার যৌক্তিক ও পরিমিত প্রশংসা করুন। তাহলে অন্যেরাও কাজে উৎসাহিত ও মনোযোগী হবে।
সমমর্মী নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে অফিসের সবার ভালবাসা ও শ্রদ্ধা অর্জনে সচেষ্ট হোন।
প্রতিষ্ঠানকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে না করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সবাইকে এর অংশীদার মনে করুন। মিটিংয়ে বা পারস্পরিক আলাপকালে সবার অবদানের কথা উল্লেখ করুন।
প্রতিষ্ঠান যেহেতু সবার; তাই এর ভালো-মন্দ, লাভ-ক্ষতি, প্রবৃদ্ধি দেখার দায়িত্বও সবার–এটিও সবসময় উল্লেখ করুন।
নিয়ম মেনে চলুন। আপনি নিয়ম মেনে চললে তা অন্যদেরকেও অনুসরণে উৎসাহ জোগাবে।
আপনার সাথে দেখা করা, কথা বলা, পরামর্শ ও মতামত জানানোর সুযোগ প্রতিষ্ঠানের সবার জন্যে উন্মুক্ত রাখুন।
কারো কোনো অভিযোগ/ অনুরোধ থাকলে মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কখনো কখনো শুধু অভিযোগ জানাতে পারার মাধ্যমে হালকা বোধ করলে অঙ্কুরেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
কানকথা শুনেই কারো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন না। তার জীবনাচার এবং অতীত রেকর্ড অনুসন্ধান করুন। অভিযোগকারীর উদ্দেশ্য বুঝতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে অভিযুক্তের সাথে সরাসরি কথা বলুন।
কেউ আগ্রহ নিয়ে কিছু বলতে এলে তথ্যটি আপনার জানা থাকলেও তাকে বলবেন না যে, আপনি ইত:পূর্বে তা জেনেছেন, যদি না তিনি নিজে থেকে জিজ্ঞেস করেন।
কর্মীদের ব্যক্তিগত নথি সংরক্ষণ করুন। নথিতে তার ব্যক্তিগত পছন্দ, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী ও তার বিশেষ পারদর্শিতা-সংক্রান্ত তথ্য লিখে রাখুন। দায়িত্ব বণ্টনের সময় এই তথ্য বেশ কাজে দেবে।
অফিসের এসাইনমেন্টে আপনিও অধস্তনদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করুন। তারা যেন বোঝে, তাদের সাফল্য-ব্যর্থতা সবকিছুর সাথেই আপনি আছেন। আপনি চাচ্ছেন তারা কাজটিতে সফল হোক। তাহলে কর্মীরাও প্রতিষ্ঠানের কাজে মনপ্রাণ ঢেলে দেবে।
প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়া নবীন সদস্যের সাথে আলাপ করে তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে জানুন, তার পছন্দ-অপছন্দের কথা শুনুন। এতে প্রতিষ্ঠান এবং আপনাকেও তিনি আপন ভাবতে শুরু করবেন।
যে প্রতিষ্ঠানে সদাচারী, ঠান্ডা মাথার ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কর্মী যত বেশি, সে প্রতিষ্ঠান তত বেশি সাফল্য ও সুনাম অর্জন করে। তাই সহকর্মীদের ইতিবাচক রাখতে সবাইকে মেডিটেশন চর্চায় শামিল করুন।
কোনো সিদ্ধান্ত ভুল হলে তা স্বীকার করতে দ্বিধা করবেন না। দু:খ প্রকাশ করতেও দেরি করবেন না।
নিয়মিত মেডিটেশন চর্চাকারীরা বেশি সুস্থ, কর্মক্ষম, প্রো–একটিভ, সদাচারী ও সহনশীল হয়ে ওঠেন, যা কর্মীদের ব্যক্তিগত পারফরমেন্স ভালো করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের পথ সুগম করে। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে মেডিটেশন চর্চাকারীদের অগ্রাধিকার দিন।
বদমেজাজি, উগ্রভাষী, নেতিবাচক এবং মাদকাসক্ত কর্মী নিয়োগ দেয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভাবুন। ইতোমধ্যে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকলে তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। জনসংযোগ কম এমন দায়িত্বে রাখুন।
সিকিউরিটি গার্ডের কাজ শুধু দাঁড়িয়ে/ বসে থাকা/ স্মার্টফোনে সময় অপচয় করা নয়; বরং অন্যদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তার এ কাজের ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজ রাখুন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে গেট-টুগেদারের প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগান। তারা যে প্রতিষ্ঠানের জন্যে পরিশ্রম করছেন এবং প্রতিষ্ঠানও তাদের যেভাবে মূল্যায়ন করছে, তা ইতিবাচকভাবে তুলে ধরুন।
গেট-টুগেদারের সময়–বিশেষত মঞ্চে অনুভূতি প্রকাশের সুযোগ পেলে সহকর্মী বা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করবেন না। কারো নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা থেকেও বিরত থাকুন। কেউ ভালো কোনো পারফরমেন্স দেখালে তাকে ও তার টিমের সবাইকে অভিনন্দিত করুন। মন্দ বিষয় যত কম উল্লেখ করবেন তত নেতিবাচকতা ও ক্ষয়ানুরণন কমতে থাকবে, বাড়তে থাকবে জয়ানুরণন।
নতুন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির সাথে পরামর্শ করুন। তাহলে তারা সম্মানিত বোধ করবেন এবং সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নিজেকে একজন ফাদার ফিগার বা মাদার ফিগার মনে করুন এবং নিজ সন্তানের মতো সবার প্রতি হৃদয় থেকে মমতা অনুভব করুন।
নতুন কোনো প্রক্রিয়া জোর করে চাপিয়ে দেবেন না। সবাইকে আগে উদ্বুদ্ধ করুন, তারপর তা শুরু করুন। সময় নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না।
আয়-ব্যয়ের বিষয়টি নিয়মিত তদারকি করুন। অসঙ্গতি দেখলে সংশ্লিষ্টদের সাহায্য নিয়ে কারণ বুঝতে চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে কীভাবে আয় বাড়ানো ও ব্যয় কমানো যায়, সে-সম্পর্কে তাদের প্রস্তাবনা আহ্বান করুন।
প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় খরচের ব্যাপারে উদার হোন। আর অপচয় কঠোরভাবে রোধ করুন।
প্রাতিষ্ঠানিক কোনো নিয়ম অমানবিক বা অনর্থক জটিল হচ্ছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। তবে ঢিলেঢালা নীতি ও ব্যবস্থাপনা থেকে বেরিয়ে আসুন।
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাফল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করুন। তাহলে স্বাভাবিকভাবে তারা আপনার ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন এবং কাজে আন্তরিক হবেন।
সফল প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকেও অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীর দায়িত্ব, কর্মপরিধি, দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে তাদের কাজের মান আরো বাড়াতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠান পরিচালনা-সংক্রান্ত নীতিমালা পড়ুন। সে অনুসারে নিজের পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির সকল সুযোগকে গ্রহণ করুন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »