আমেরিকায় প্রতি বছর আত্মহত্যা করে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। এদের একটা বড় অংশই ভুগছিলেন বিষণ্নতায়। বিষণ্নতার এই প্রভাব শুধু আত্মহত্যাতেই সীমিত নেই। বিষণ্নতার কারণে আমেরিকার উৎপাদনশীলতায় ক্ষতি হয় প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। পরিবার পরিজনদের ওপর যে মানসিক চাপ এর কারণে পড়ে বা এই রোগীদের নিজেদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও যে কয়েক গুণ বেড়ে যায় এই বিষণ্নতার কারণে তা তো বলাই বাহুল্য। যেমন, সাধারণ একজন মানুষ যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তার তুলনায় যে মানুষটি ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তিনি যদি হৃদরোগে আক্রান্ত হন তো তার মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৪ থেকে ৬ গুণ বেশি। ব্যাপারটা শুধু যে সে হৃদরোগে ভুগছে এই হতাশার কারণে বা অপরিমিত খাচ্ছে বা ব্যয়াম করছে না , কিংবা ধূমপান ছাড়ছে না, সেই কারণে ঘটে তা নয়। আসলে ডিপ্রেশন নিজেও হৃদরোগের একটা কারক। শুধু তাই না, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস বা মৃগীরোগ বা অস্টিওপোরেসিসের মতো যেসব অসুখের কারণে মানুষ অনেক দ্রুত তার চলচ্ছক্তি হারিয়ে ফেলে বা মারা যায়, তা অনেক বেশি ত্বরান্বিত হয় যখন তারা বিষণ্নতায় আক্রান্ত থাকে। এ নিয়ে আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি-তে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সম্মেলনে বাঘা বাঘা সব বিশেষজ্ঞরা ক্যান্সার, এইডস, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আরো বহু রোগের সাথে বিষণ্নতাকে একের পর এক জুড়ে দিচ্ছিলেন। আর তারা এতে একমত হন, বিষণ্নতা সারাতে পারলে এমন বহুতর রোগের প্রকোপ থেকেও মানুষকে মুক্ত করা যাবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!এখন প্রশ্ন হলো, বিষণ্ণতা থেকে মুক্তির উপায় কী? ড্রাগস, শক থেরাপি থেকে শুরু করে এ বিষয়ক যত ধরনের উপশম আছে, দেখা গেছে তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর হলো মেডিটেশন।