1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন

জানাজা/ কবর

  • সময় রবিবার, ৬ জুন, ২০২১
  • ১০৫০ বার দেখা হয়েছে

ইসলামিক নিয়মে জানাযা ও কবর জিয়ারত একটি ইসলামিক অ্যাপলিকেশন। প্রত্যেক মানুষকেই একদিন মৃত্যুর সাধ ভোগ করতে হবে। জীবন যেমন সত্য ঠিক তেমনি মৃত্যুও তেমন সত্য। কোন মানুষ আজীবন বেঁচে থাকবে না। আমাদের মুসলিমদের মৃত্যুর পরে কাফন দাফন জানাযা ও কবর জিয়ারত প্রয়োজন হয়। মৃতব্যক্তির কাফন দাফনের ক্ষেত্রে আমাদের মহা নবী (সাঃ) যে নিয়ম দেখিয়ে গেছেন সে গুলো বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের থেকে আলাদা।

রাসূল (সাঃ) এর দেখিয়ে যাওয়া সুন্নতই হল সর্বোত্তম ও পূর্ণাঙ্গ নিয়ম-কানুন। যে মারা যান তার জানাযা, কাফন, দাফন এই সুন্নতের অর্ন্তভুক্ত। মৃতব্যক্তির জানাযার নামায হচ্ছে সে মৃতব্যক্তির প্রতি সর্বোত্তম সম্মান প্রদর্শন করা। আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) ও তার সাহাবীরা যখন কারো যানাযার নামার আদায় করতেন তখন তারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয় আল্লাহর নিকট দোয়া করতেন ও এবং ইখলাসের সঙ্গে ঔ মৃত ব্যক্তির জন্য় ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিশ্বনবী (সাঃ) মৃতব্যক্তির কাফনের জন্য ভাল এবং সাদা কাপড়ে কাফন পরানোর আদেশ দিতেন আর সেই দিকে ও খেয়াল রাখতে বলেছেন যে বাড়াবাড়ি ও বাড়তি আপচয় না হয়। আমাদের সমাজে এমন অনেক দেখা যায় যে আমরা মৃতব্যক্তির জন্য অনেক টাকা খরচ করে কাফনের কাপড় কিনে আনি এমনটা করা মোটে ও ঠিক নয়। আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছে যারা মৃত ব্যক্তির কবরে মাটি দেওয়ার দোয়া জানি না সে ক্ষেত্রে আমাদের এটি জানা খুবই জরুরি।

১২৪৭.
অনন্ত বা মহাজাগতিক সফরে কবর হলো প্রথম সোপান।
—উসমান ইবনে আফফান (রা); তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আহমদ

১২৪৮.
কোনো বিশ্বাসী মারা গেলে দ্রুত তার দাফনের ব্যবস্থা করো। কোনো বিশ্বাসীর লাশ (অকারণে) তার পরিবারবর্গের মাঝে আটকে রাখা উচিত নয়।
—হোসেইন ইবনে ওয়াহ ওয়াহ (রা); আবু দাউদ

১২৪৯.
যখনই শবযাত্রা তোমার পাশ দিয়ে যাবে, তখন উঠে দাঁড়াবে।
[এক জায়গায় নবীজী (স) কয়েকজন সাহাবীসহ বসে আলাপ করছিলেন। এমন সময় তাদের সামনে দিয়ে শবযাত্রা যাচ্ছিল। নবীজী (স) উঠে দাঁড়ালেন। সাহাবীরাও উঠে দাঁড়ালেন। একজন সাহাবী বললেন, শবযাত্রা তো একজন ইহুদির। তখন নবীজী (স) একথা বলেন।]
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); বোখারী, নাসাঈ, আবু দাউদ

১২৫০.
যে ব্যক্তি কোনো মৃতকে গোসল করানোর পর তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য গোপন রাখে, আল্লাহ তাকে ৪০ বার ক্ষমা করবেন।
—আবু রাফি আসলাম (রা); হাকেম

১২৫১.
তোমরা কোনো মৃতের জানাজায় অংশ নিলে তার জন্যে আন্তরিকভাবে দোয়া কোরো।
—আবু হুরায়রা (রা); আবু দাউদ, মেশকাত

১২৫২.
কোনো মুসলমান মারা গেলে তার জানাজায় যদি আল্লাহর সাথে শরিক করে নি এমন ৪০ ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে তার জন্যে দোয়া করে, আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); মুসলিম

১২৫৩.
কারো জানাজায় শরিক হয়ে শতাধিক বিশ্বাসী ব্যক্তির সবাই যদি আন্তরিকভাবে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে, তবে তাদের প্রার্থনা কবুল হবে।
—আয়েশা (রা); মুসলিম, নাসাঈ

১২৫৪.
কবরের পথে মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করে।  ১. আত্মীয়পরিজন। ২. তার ধনসম্পদ। ৩. তার কাজ। আত্মীয়পরিজন ও ধনসম্পদ ফিরে যায়। তার সাথে থাকে শুধু তার কাজ (সৎ হোক বা অসৎ)।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); বোখারী, মুসলিম

১২৫৫.
আমাদেরকে (নারীদেরকে) শবযাত্রায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া হতো না, তবে এই নিষেধাজ্ঞা পালনে আমাদের ওপর কোনো কড়াকড়ি করা হয় নি।
—উম্মে আতিয়া (রা); বোখারী, মুসলিম

১২৫৬.
লাশ দাফনে গড়িমসি কোরো না। এক ছন্দময় গতিতে লাশ কবরের দিকে নিয়ে যাও। নেককার সৎকর্মশীল ব্যক্তির লাশ হলে তুমি তাকে দ্রুত পৌঁছে দিচ্ছ অনন্ত কল্যাণের মাঝে। আর লাশ যদি অসৎ দুরাচারী ব্যক্তির হয়, তাহলে তুমি তোমার কাঁধ থেকে অকল্যাণ নামিয়ে দিচ্ছ দ্রুত।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম

১২৫৭.
জানাজা শেষে লাশ যখন কবরস্থ করার জন্যে কাঁধে বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সৎকর্মশীল বান্দার লাশ বলতে থাকে, ‘আমাকে দ্রুত নিয়ে চলো, আমাকে দ্রুত নিয়ে চলো।’ আর পাপাচারীর লাশ আর্তনাদ করতে থাকে, ‘হায়! আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?’ মানুষ ছাড়া সবাই তার আওয়াজ শুনতে পায়। মানুষ যদি তা শুনত, তাহলে আর্তনাদের তীব্রতায় সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলত।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); বোখারী

১২৫৮.
তোমরা কখনো কবরের দিকে মুখ করে নামাজ পড়বে না এবং কবরের ওপর বসবে না।
—আবু মারশাদ কান্নাজ (রা); মুসলিম, আবু দাউদ

১২৫৯.
কবরের ওপর বসবে না, কবর পাকা করবে না এবং কবরের ওপর কোনো নির্মাণ কাজ করবে না।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); মুসলিম, আবু দাউদ, নাসাঈ

১২৬০.
স্বামী ছাড়া কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা যাবে না। অবশ্য স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস ১০ দিন শোক পালন করা যাবে।
—উম্মে হাবিবা (রা); বোখারী, মুসলিম

১২৬১.
লাশ দাফন করার পর নবীজী (স) কবরের পাশে দাঁড়িয়ে বলতেন, আল্লাহর কাছে মৃতের জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করো এবং সে যেন দৃঢ়চিত্তে সকল প্রশ্নের জবাব দিতে পারে সেজন্যে দোয়া করো। কারণ এখনই তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে।
—উসমান ইবনে আফফান (রা); আবু দাউদ, হাকেম

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »