দেশে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ টন পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে আরো পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩০ টাকা কেজি দরে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশব্যাপী খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। টিসিবির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ না কেনার জন্যও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ক্রয়কৃত পেঁয়াজ যেগুলো সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে, সেগুলো দু-একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে বলে জানা গেছে। তুরস্ক ও মিসর থেকে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। অল্পদিনের মধ্যে এগুলো দেশে পৌঁছাবে। টিসিবি এবার বড় ধরনের পেঁয়াজের মজুদ গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের আগেই আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে টিসিবি। এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। ভোক্তারা পেঁয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে কোনো সমস্যা হবে না।
পেঁয়াজের মজুদ, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কূটনীতিক মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত বছরের মতো অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশের বৃহৎ কোম্পানিগুলো এবারও প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করবে। পেঁয়াজ সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবে না। পেঁয়াজ নিয়ে অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই।