1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন

মা নিজেই ছেলেকে বাধা দিচ্ছেন বাবার মুখাগ্নি করতে!

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১ জুলাই, ২০২১
  • ৮১৬ বার দেখা হয়েছে
তিন-চার দিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫৫ বছর বয়সী একজন পেশাজীবী। মানুষটি ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
হাসপাতাল থেকে ফোন এলো কোয়ান্টাম দাফন টিমের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে। তারা দ্রুত তৈরি হয়ে পৌঁছে গেলেন ঘটনাস্থলে। মৃতের স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়ে হাসপাতালে ছিলেন। অবশ্য তারা সবকিছুর দেখভাল করছিলেন দূর থেকেই। তারা থাকাতে সুবিধা হলো, ডেথ সার্টিফিকেট পেতে কোনো বেগ পেতে হয় নি বা সময়ও বেশি লাগে নি।
হাসপাতাল চত্বরেই পর্দা দিয়ে লাশ পরিচ্ছন্ন করা হলো। যথারীতি ধর্মীয় নিয়মনীতি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবাণুমুক্ত করে লাশ ব্যাগে ভরা হলো। এবার শ্মশানে নিয়ে গিয়ে চিতায় তোলার পালা।
চিতায় লাশ তোলার পর উদ্ভব হলো এক জটিল পরিস্থিতির। সনাতন হিন্দু ধর্মের শেষকৃত্যে মুখাগ্নি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মৃতের পুত্র থাকলে পিতাকে মুখাগ্নি করাটা পুত্রের জন্যে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।
স্বাভাবিকভাবেই এ ভদ্রলোককে মুখাগ্নি করতে তার ছেলে যেতে চাচ্ছেন নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু ভদ্রলোকের স্ত্রী তার ছেলেকে কোনোভাবেই করোনায় মৃত বাবার কাছে যেতে দেবেন না। কতটা আতঙ্কিত হলে বাবার মুখাগ্নি করার ক্ষেত্রে মা নিজেই তার ছেলেকে বাধা দিচ্ছেন!
এরকম আবেগঘন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবীরা সেই ভদ্রমহিলাকে বিষয়টি বোঝালেন—যেহেতু লাশ জীবাণুমুক্ত করে ওয়াটারপ্রুফ ও এয়ারটাইট ব্যাগে ঢোকানো হয়ে গেছে, এখন মুখাগ্নি করতে আসাটা ঝুঁকিপূর্ণ নয়। কিছুক্ষণ বোঝানোর পরে অবশ্য তিনি বুঝতে পেরেছেন এবং ছেলেকে সম্মতি দিয়েছেন। সব কাজ ভালোভাবে শেষ হওয়ায় তারা খুশি হয়ে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীদের।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »