আমাদের দেশে আতঙ্কবাদীরা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কেয়ামত হয়ে যাবে, এমন এক ধরনের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছিলেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আমরা পরম করুণাময়ের উপর ভরসা করে বলেছিলাম, যে আমাদের দেশে করোনা তেমন সুবিধা করতে পারবে না।
এবং আমরা যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকাই, আমাদের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে।
আমরা যদি দেখি করোনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা।
৩৩ কোটি ৩০ লক্ষ মানুষের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় মারা গেছেন ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৩৯ জন। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার ০.১৯ শতাংশ।
যুক্তরাজ্য জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৬ লক্ষ। করোনায় মারা গেছেন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ১৭২ জন।
অর্থাৎ জনসংখ্যার ০.১৯ শতাংশ।
ফ্রান্স – জনসংখ্যা ৬ কোটি ৭০ লক্ষ।
করোনায় মারা গেছেন ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৬৭ জন। অর্থাৎ জনসংখ্যার ০.১৬ শতাংশ।
ইটালি, জনসংখ্যা ৬ কোটি। করোনায় মৃত্যু ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৯৭১ জন। অর্থাৎ ০.২১ শতাংশ।
স্পেন, জনসংখ্যা ৪ কোটি ৭০ লক্ষ।
করোনায় মৃত্যু ৮১ হাজার ২৬৮ জন।
অর্থাৎ জনসংখ্যার ০.১৭ শতাংশ।
আমরা এই পাঁচটি দেশের জনসংখ্যা অনুপাতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান উল্লেখ করলাম এই কারণে, এই পাঁচটি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসার দেশ। পাশ্চাত্যের সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসার দেশ। সবচেয়ে উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা, সবচেয়ে সার্থক লকডাউন- সবকিছু করার পরেও মৃতের হার হচ্ছে এই।
আর আমরা যদি আমাদের দেশের দিকে তাকাই, আমাদের দেশের জনসংখ্যা হচ্ছে ১৬ কোটি ৪০ লক্ষ।
করোনায় মৃত্যু ১৯,৫২১ জন।
জনসংখ্যা অনুসারে মৃতের হার ০.০১ শতাংশ।
আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার কী হাল এটা তো আমরা সবাই জানি। চিকিৎসাব্যবস্থার এই হাল নিয়েও আমাদের করোনায় মৃতের সংখ্যা জনসংখ্যা অনুপাতে ০.০১ শতাংশ।