1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দীর্ঘজীবনের রহস্য জানুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস! Tiger 3 BO Prediction: শাহরুখকে টেক্কা, প্রথমদিনই ১০০ কোটি ছোঁবে সলমনের ‘টাইগার ৩’! দিওয়ালিতে মহাধামাকা জয়-পরাজয়ের রহস্য সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে? যে-কোনো কাজ ভালোভাবে করবেন কীভাবে? টাইগার 3 রিলিজের আগে, YRF স্পাই ইউনিভার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করবে এক থা টাইগার, টাইগার জিন্দাহ্যায়, পাঠান এবং ওয়ার বড় পর্দায় ফিরে আসছে! বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে *হালাল জীবিকার উপর সন্তুষ্ট থাকা।*  “হুসনুল খুলুক”সুন্দর চরিত্র এবং চরিত্রবান হওয়ার উপায়  

ইতিহাসে আগস্ট ৩ – বাঙালি সাহিত্যিক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী এর মৃত্যুদিন

  • সময় মঙ্গলবার, ৩ আগস্ট, ২০২১
  • ৮০২ বার দেখা হয়েছে

 

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২১৫তম (অধিবর্ষে ২১৬তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৪৯২ : ইতালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস তার সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন।
১৮৫৮ : জন স্মিক কর্তৃক নীল নদের উৎস আবিষ্কার।
১৯১৪ : পানামা খালের মধ্য দিয়ে প্রথম জাহাজ চলতে শুরু করে এবং এই খালের উদ্বোধন হয়।
১৯৫৬ : তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ)নির্মিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ মুক্তি পায়।

জন্ম

১৮৮৬ : মৈথিলীশরণ গুপ্ত, প্রখ্যাত আধুনিক হিন্দি কবি।
১৯১৬ : শাকিল বাদায়ুনি, ভারতীয় উর্দু কবি, লেখক ও গীতিকার।
১৯৩০ : নির্মল সেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ।

মৃত্যু

১৯৫৭ : মহাত্মা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র এবং খ্যাতনামা সাংবাদিক দেবদাস গান্ধী
১৯৭৫ : ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী অমর বসু
১৯৭৮ : সাংবাদিক ও লেখক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ
১৯৮২ : বাঙালি সাহিত্যিক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী

সাহিত্যিক জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ছিলেন একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের ছোটগল্প, উপন্যাসের ব্যতিক্রর্মী জ্যোতিষ্ক। মানুষটি ছিলেন সাদামাটা। আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন লেখকই হবেন। শুধুমাত্র লেখার প্রয়োজনে বস্তিতে থাকতে পর্যন্ত কার্পণ্য করেননি। বাস্তব অভিজাতার আলোকে উপলব্ধিগুলো ফুটে ওঠে তার রচনায়।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১২ সালের ২০ আগস্ট অধুনা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায়। ডাকনাম ছিল ধনু। বাবা অপূর্বচন্দ্র নন্দী ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। মায়ের নাম চারুবালা দেবী। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৩০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৩২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে আইএসসি পাস করেন। ১৯৩৫ সালে প্রাইভেটে বিএ পাস করেন।

কর্মসূত্রে কলকাতায় যান প্রথম চাকরি পান বেঙ্গল ইমিউনিটিতে। এরপর টাটা এয়ারক্রাফ্ট, জে ওয়ালটার থমসন-এর পাশাপাশি কাজ করেছেন যুগান্তর সংবাদপত্রের সাব এডিটর হিসেবে এবং মৌলানা আজাদ খান সম্পাদিত দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। তার কর্মক্ষেত্রে ছিল ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মুখপত্র মজদুর ও জনসেবক পত্রিকা।

সাহিত্যচর্চা

ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চা করতেন। স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এক বছর গৃহবন্দী থাকাকালীন তার সাহিত্যচর্চার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ‘জ্যোৎস্না রায়’ ছদ্মনামে সোনার বাংলা ও ঢাকা থেকে প্রচারিত বাংলার বাণী পত্রিকায় তার লেখা কয়েকটি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়। কলকাতায় তিনি সাগরময় ঘোষের সান্নিধ্যে আসেন ও দেশ পত্রিকায় ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় ছোটগল্প ‘রাইচরণের বাবরি’। এছাড়াও মাতৃভূমি, ভারতবর্ষ, চতুরঙ্গ কিংবা পরিচয় পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হতে থাকে।

তার লেখা ছোটগল্প ভাত ও গাছ, ট্যাক্সিওয়ালা, নীল পেয়ালা, সিঁদেল, একঝাঁক দেবশিশু ও নীলফুল এবং বলদ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯৪৮ সালে দেশ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস ‘সূর্যমুখী’ প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে তিনি সাহিত্যচর্চাকেই জীবিকা হিসাবে বেছে নেন। তার উপন্যাসগুলো হলো সূর্যমুখী, মীরার দুপুর, গ্রীষ্ম বাসর, নিশ্চিন্তপুরের মানুষ, হৃদয়ের রং, প্রেমের চেয়ে বড়, সর্পিল, তিন পরী ছয় প্রেমিক, নীল রাত্রি, বনানীর প্রেম ইত্যাদি।

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ১৯৬৫ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ও ১৯৬৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাকে কল্লোল যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটগল্পকার বলে মনে করা হয়। তার উপন্যাসের সংখ্যা ২০টি ও গল্পগ্রন্থ আছে ৫৩টি।

সাদামাঠা জীবনই ছিল তার আজীবন সঙ্গী। নিয়মানুবর্তিতাও মেনে চলতেন। চূড়ান্ত আর্থিক কষ্ট, অনটনেও তার নিয়মানুবর্তিতায় কোনো খাদ ছিল না। সে এক মেয়ে ও দুই ছেলের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালনই হোক কিংবা লেখাই হোক না কেন। লেখা আসুক আর না আসুক, রোজ নিয়ম করে লেখার খাতার সঙ্গে তার সময় কাটানো চাই-ই চাই।

স্ত্রী পারুল নন্দী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘লেখার সময়ও ছিল অত্যন্ত বাঁধা। যখনই মনে হলো তখনই লিখতে বসলাম একদম পছন্দ করতেন না। যখনই মনে হলো রাতে বাড়ি ফিরলাম একদমই পছন্দ করতেন না। আমার স্বামী নিজেই ঘড়ি হয়ে যেন নিজেকে এবং সেই সঙ্গে সংসারটিকে চালনা করতেন।’

সকাল ও বিকেল দু’বেলা নিয়ম করে হাঁটতে যেতেন। কিন্তু ওই হাঁটার সময়ে খুব একটা কথাবার্তা পছন্দ করতেন না। মনে করতেন, সাধারণ কথা-গল্পের চেয়ে ওই সময়ে যদি কোনো গল্প-উপন্যাসের ভাবনা তার মাথায় আসে, তাতেই অনেক লাভ। লেখার জন্যে এভাবেই নিজেকে একা করেছেন, বিযুক্ত করেছেন সকল কিছুর থেকে।

জ্যোতিরিন্দ্র আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন লেখকই হবেন। হয়েছিলেনও তাই। সবসময় ভেতরে ছিল আরো ভালো লেখার তাগিদ। বাংলার নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত নরনারীর জীবনচিত্র অঙ্কন করেছেন তার গল্প-উপন্যাসে। বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে অমর হয়ে থাকা এই মানুষটি ১৯৮২ সালের ৩ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »