১৮২৫ : ল্যাটিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া স্বাধীনতা লাভ করে
১৯০৬ : বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায় বন্দে মাতরম্ (সংবাদপত্র) প্রথম প্রকাশিত হয়
১৯১৪ : কলকাতা থেকে ‘দৈনিক বসুমতী‘ প্রথম প্রকাশিত হয়
১৯৪৫ : মিত্র শক্তি আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা শহরে পারোমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়
১৯৬২ : পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপ জ্যামাইকা স্বাধীনতা লাভ করে
১৮০৯ : লর্ড আলফ্রেড টেনিসন, ইংরেজ কবি
১৮৮১ : স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, নোবেলজয়ী স্কটিশ জীবাণুতত্ত্ববিদ বিখ্যাত বিজ্ঞানী
১৮৮৪ : কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
১৯২৯ : আবদুল গফুর হালী, বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও লোকশিল্পী
১৯৫৯ : ভারতীয় সঙ্গীতজ্ঞ মোহাম্মদ হোসেন খসরু
২০০৪ : সাংবাদিক, সাহিত্যিক সন্তোষ গুপ্ত
হিরোশিমা দিবস
কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত ছিলেন বাঙালি শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক। শিশুসাহিত্য রচনার জন্যে তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। শিশুসাহিত্যে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য; বিশেষত সাবিত্রী, তাই তাই, ফুলঝুরি, চরকাবুড়ি, তেপান্তরের মাঠ, তে-রাত্তিরের, তাইরে নাইরে না, এ বেলা ওবেলার গল্প, য়্যাং-ব্যাং, ঝলমল ইত্যাদি শিশুসাহিত্যগুলো সত্যি বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য স্থান দখল করে রেখেছে।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৪ সালের ৬ আগস্ট বরিশালের ফুল্লশ্রী গ্রামে। বাবা মহেশচন্দ্র দাশগুপ্ত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও নাট্যকার। কার্তিকচন্দ্র কুচবিহার কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর আইন বিষয়ে পড়তে থাকেন। কিন্তু শেষ না করেই তৎকালীন জাতীয় দৈনিক `নবশক্তি` পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে যোগ দেন। এরপর একই সঙ্গে `দেবালয়` প্রতিষ্ঠানের ও `দেবালয়` মাসিক পত্রের সম্পাদকের কাজ করেন।
কিছুকাল তিনি `বিশ্বকোষ` এর লেখকগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এবং প্রাচ্য সাহিত্যের পুনরুত্থনের জন্যে সমিতি, হিন্দুস্থান বিমা কোম্পানি ও ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এক সময় `বার্ষিক শিশুসাথী` সম্পাদনার ভার তার উপর ন্যস্ত হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের সুপারিনটেন্ডন্ট হিসেবেও তিনি কাজ করেন। পরে ইউনিভার্সিটির অফিস সুপারিনটেন্ডন্ট ও কয়েকবার সাময়িকভাবে সহকারী রেজিস্ট্রারের কাজ করে অবসর নেন।
সাহিত্যক্ষেত্রে শিশুসাহিত্য রচনা ছাড়াও তিনি মিল্টনের কবিতা Lycidas অনুবাদ করেছেন। কার্তিকচন্দ্র প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবিত্রী, তাই তাই, ফুলঝুরি, চরকাবুড়ী, তেপান্তরের মাঠ, তে-রাত্তিরের তাইরে নাইরে না, এ বেলা ওবেলার গল্প, য়্যাং-ব্যাং, ঝলমল, আমার দেশ, পূজা, ইতিহাসের পড়া, ভূ-পরিচয়, মালঞ্চের ফুল, বিষের হাওয়া এবং হিমালয়ের হিমতীর্থে ইত্যাদি।
কার্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত ১৯৬৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত