কাঙ্খিত ও উৎসবের আমেজেই হয় বিয়ে। এটি পারিবারিক, সামাজিক এবং এক জোড়া জীবনের মধুর বন্ধন। কিন্তু সে বিয়ে টিকল না এক দিনও। বরকে তালাক দিল কনে। এমন ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কবুল বলে তারা বিয়ে করেছিলেন। কনে ও তার পরিবারের ভাষ্যমতে, বর মো. হাসান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তথ্য গোপন করে হাসানের লোকজন প্রতারণা করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তেওয়ারীগঞ্জের চর মটুয়া গ্রামের মনা চৌকিদার বাড়ির কৃষক মনির আহমেদের মেয়ের (নাইমা আক্তার) সঙ্গে পারিবারিকভাবে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাপুর এলাকার হাসানের বিয়ের কথা হয়।
এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৫ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসে। দুপুরের খাবার শেষে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বর-কনের বিয়ে হয়। এরপরই কনে জানতে পারেন, বর চোখে দেখেন না। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কানা-ঘুষা চলে।
এ নিয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন দুইপক্ষ। এসময় বিয়ে বিচ্ছেদ এবং খরচ বাবদ বরপক্ষের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে বর ও কনের পক্ষের লোকজন কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
জানতে চাইলে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) মো. সফি উল্যাহ বলেন, ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর বিষয়টি কনে ও তার পরিবার জানতেন না। পরে বৈঠকে বিয়ে বিচ্ছেদ ও জরিমানা করা হয়।