1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
দীর্ঘজীবনের রহস্য জানুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস! Tiger 3 BO Prediction: শাহরুখকে টেক্কা, প্রথমদিনই ১০০ কোটি ছোঁবে সলমনের ‘টাইগার ৩’! দিওয়ালিতে মহাধামাকা জয়-পরাজয়ের রহস্য সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে? যে-কোনো কাজ ভালোভাবে করবেন কীভাবে? টাইগার 3 রিলিজের আগে, YRF স্পাই ইউনিভার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করবে এক থা টাইগার, টাইগার জিন্দাহ্যায়, পাঠান এবং ওয়ার বড় পর্দায় ফিরে আসছে! বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে *হালাল জীবিকার উপর সন্তুষ্ট থাকা।*  “হুসনুল খুলুক”সুন্দর চরিত্র এবং চরিত্রবান হওয়ার উপায়  

প্রতিবেশী সাফ জানিয়ে দিল—কোদাল নেই!

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১২ আগস্ট, ২০২১
  • ৯১৯ বার দেখা হয়েছে
৮০ বছরের একজন প্রবীণ চিকিৎসক। করোনা পজেটিভ ছিলেন তিনি। মৃত্যুবরণ করলেন নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তার এক ছেলে চিকিৎসক। অন্য ছেলেমেয়েরাও সুপ্রতিষ্ঠিত। চিকিৎসক বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সবাই তাদের গ্রামে সৎকারের সিদ্ধান্ত নেন। খবর দেন কোয়ান্টাম দাফন/ সৎকার কার্যক্রমের স্বেচ্ছাসেবীদের।
মৃত চিকিৎসক ছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী। স্বেচ্ছাসেবীরা হাসপাতালে লাশ সৎকারের যাবতীয় পূর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন। তারপর রওনা দেন গ্রামে। ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে তার সন্তানেরা এবং কিছুটা অসুস্থ বৃদ্ধা স্ত্রী-ও রওনা দিলেন সাথে। গ্রামে যেতে সময় লেগেছিল ২ ঘণ্টা।
গ্রামে তাদের অনেক জমিজমা। বেশ নামকরা জমিদার পরিবার বলা যায়। প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল বেশ। বাড়ির কাছেই যে স্কুল, সেটিও তৈরি মৃত চিকিৎসকের দান করা জমিতেই। সেই স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলছিল গ্রামের তরুণেরা! খেলোয়াড়দের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা তরুণদের হাসি এবং করতালি শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু এত বিশিষ্ট চিকিৎসকের শেষ যাত্রার মুহূর্তে কেউই আসে নি। গ্রামের সবাই নিজের কাজে মহাব্যস্ত।
গ্রামে যাওয়ার পর যখন গাড়ি থেকে নামবেন, তখন মৃতব্যক্তির স্ত্রী নামতে পারছিলেন না। ভদ্রমহিলার পায়ে ব্যথা ছিল। তিনি গাড়ি থেকে নামতে সাহায্য করার জন্যে ডাকছিলেন তার মেয়েকে। কিন্তু মেয়ে ইতস্তত করছিল মা-কে ধরে নামাতে। কিছুটা ভয় পাচ্ছিল। কারণ মা এতদিন বাবার সাথে ছিলেন। তাকে স্পর্শ করলে না জানি আবার মেয়েও আক্রান্ত হয় কিনা। অথচ তার মা করোনা পজেটিভ ছিলেন না। পরে অবশ্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তার ছেলের বউ। তিনি তার শ্বাশুড়ি মা-কে গাড়ি থেকে নামিয়ে চিতার কাছে নিয়ে এলেন।
গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে পুকুর সংলগ্ন স্থানে চিতা তৈরি করা হলো। আগেই দাহ করার জন্যে প্রয়োজনীয় কাঠ কেটে রাখার জন্যে লোকজন ঠিক করে রেখেছিল মৃতের ছেলে। কিন্তু তারা তাদের কাজ শেষ করল বেশ দেরিতে। তাই দাহ করার জন্যে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো।
স্বেচ্ছাসেবীদের একটি কোদাল প্রয়োজন হচ্ছিল চিতার নিচের অংশে মাটি খোঁড়ার জন্যে। প্রতিবেশীর কাছে কোদাল চাইলেন তারা। কিন্তু একটি কোদাল দিতেও অস্বীকৃতি জানালেন প্রতিবেশী। হয়তো তাদের আতঙ্ক কাজ করছিল—কোদালের সাথে যদি ভাইরাস চলে আসে! প্রথমে যে বাড়িতে কোদাল চাইল, সে বাড়ির কোদালটা দেখা যাচ্ছিল বাইরে থেকেই। অথচ প্রতিবেশী সাফ জানিয়ে দিল—কোদাল নেই! পরে তাদের বাজারে যেতে হলো কোদাল কেনার জন্যে!
Khaleda Akter Rashma, Mafuza Begum and 11 others
1 comment

Share

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »