1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

উত্তরায় দুই ভাইবোন একসাথে আত্মহত্যা একটি সতর্কবার্তা

  • সময় শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১
  • ১০২০ বার দেখা হয়েছে

উত্তরায় দুই ভাইবোন একসাথে আত্মহত্যা করল তাদের বাবা অন্যত্র বিয়ে করেছে সেই ক্ষোভ থেকে। যদিও তাদের মা চাকরি করে তাদের লালনপালন করছিল। তারা ছিল নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী। এ কেমন পরিবেশে আমরা বাস করছি, দয়া করে কিছু বলবেন।

ঘটনাটি সমাজ জীবনে আমাদের প্রতিটি সচেতন মানুষকে নাড়া দিয়েছে। আমরা অনেক আগে থেকেই নড়েচড়ে বসেছিলাম কিন্তু অন্যরা নড়েছেন ঘটনাটি ঘটার পর। ১৭ বছরের একটি মেয়ে ও ১৫ বছরের একটি ছেলে আপন ভাইবোন একসাথে আত্মহত্যা করেছে। এ বয়সের ছেলে তো আগে যুদ্ধযাত্রা করত, দিগ্বিজয় করত।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

মুহাম্মদ বিন কাসিম ১৭ বছর বয়সে সিন্ধু জয় করেছিল। সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিল। এই যে তরুণ প্রজন্ম—১৭/১৫ বছর, এই জীবন তো পাখির মতো উড়ে বেড়ানোর জন্যে। ১৫/১৬ বছরের একটি কিশোরী মেয়ে নিজেকে ডায়ানার চেয়ে কম ভাবে না—আমার কিসের অভাব? অর্থাৎ এটা হচ্ছে যৌবনের ধর্ম। তখন পৃথিবীর কিছুকেই কিছু মনে হয় না।

আর এই ছেলেমেয়েদের কত হতাশা! কত অধঃপতিত এখনকার চারপাশ যে, তারা আত্মহননের পথ খুঁজে নিল। এদের জন্যে যে-রকম মায়া হয়, এরা যে পরিবেশে বড় হয়েছে, সেই পরিবেশ নিয়ে আরো বেশি মায়া হয়। এরা হচ্ছে পরিবেশের শিকার।

তুরস্কের ওসমানীয় সাম্রাজ্যের রাজকুমারদের বিয়ে হতো না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নতুন অঞ্চল দখল করতে না পারত। একজন রাজকুমারকে পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হতো না, যদি সে একটা শহর দখল না করত। দখল করে এলে তাকে পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হতো। তারপরে তার বিয়ে হতো। যে কারণে তারা ১৩/১৪/১৫ বছর বয়স থেকে যুদ্ধে নেমে পড়ত। এখন এই সমস্ত যুদ্ধবিগ্রহের জামানা নেই। কিন্তু জীবন জয়ের যে যুদ্ধ সেটা কেন ১৫ বছরের একটি তরুণ, ১৭ বছরের একটি তরুণী করতে পারবে না?

বাবা ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু মা তো আছে। কেন আমি লড়াই করতে পারব না? কেন আমরা আমাদের সন্তানদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে পারব না যে, সন্তান যে-কোনো পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পারে? যে-কোনো পরিস্থিতিকে জয় করতে পারে? নিজেকে সামলে নিতে পারে?

খুব মায়া হয় এই দুই ভাইবোনের জন্যে। সামাজিকভাবেই আমরা আসলে তাদের কোনো জীবনদৃষ্টি দিতে পারি নি। তারা না যতটা দায়ী তার চেয়ে দায়ী আমাদের সমাজ। আমাদের সামাজিক অপসংস্কৃতি। স্বাভাবিকভাবে এই পুরুষটি আরেকজন মহিলাকে বিয়ে করেছে, সে-তো পরকীয়া করেই করেছে। পরকীয়াপ্রবণ সিরিয়ালগুলো দেখিয়ে এই পরকীয়াকেই উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এই সামাজিক অবক্ষয় থেকে আমরা যেন আমাদের পরিবারগুলোকে রক্ষা করতে পারি সেজন্যেই আমাদের কোয়ান্টাম মেথড, সেজন্যেই আমাদের পারিবারিক কার্যক্রম। সেই ১৯৯৭ সালে আমরা আমাদের প্রথম পারিবারিক ওয়ার্কশপ করলাম। তখন থেকে পরিবারকে কীভাবে সুন্দর করা যায় সেজন্যে আমরা প্রোগ্রাম করছি। আমরা সবসময় আমাদের কাজ করে গেছি। কেন?

এই মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্যে। পরিবারগুলোকে বাঁচানোর জন্যে। যত বাইরের পরিবারগুলোকে আমরা মেডিটেশনে নিয়ে আসতে পারব, যতগুলো পরিবারে আমরা পারিবারিক মেডিটেশন চালু করতে পারব ততগুলো পরিবার বেঁচে যাবে।

যে ভাইবোন দুজন আত্মহত্যা করেছে এই পরিবারেও যদি মেডিটেশন থাকত, তাহলে তারা এমনটি করতে পারত না। তারা যদি সৎসঙ্ঘে থাকত তাহলে এমনটি ঘটত না। আত্মশক্তির জাগরণ ঘটিয়ে তারাই নিজেদের জন্যে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করতে পারত।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »