আপনার মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয় এমন যে-কোনো কাজই আপনি পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। হতে পারেন উদ্যোক্তা।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!গত কয়েক বছরে ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডিজিটাল এন্ট্রেপ্রেনিওরশিপের জগতে তৈরি হয়েছে অসাধারণ সব কাজের সুযোগ। কিন্তু ঝুঁকিগ্রহণে সাহসের অভাব, পড়ালেখা শেষ করেই ভালো একটা চাকুরি আর অল্প শ্রমে বাড়ি-গাড়ির বাসনা এই সুযোগগুলো গ্রহণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অবশ্য ইদানিং স্বাধীন পেশা বা স্টার্ট আপের দিকে অনেক তরুণই ঝুঁকছে। তবে সেখানেও ঘাটতি আছে অভিনব আইডিয়ার।
এক ডিজিটাল উদ্যোক্তা এদেশের তরুণদের কাছ থেকে কিছু স্টার্ট-আপ আইডিয়া চেয়েছিলেন। হাজারখানেক পেয়েছেনও। তবে এগুলোর সাতশ’র বেশি ছিল অনলাইনে জামাকাপড় কিংবা গ্যাজেট কেনাবেচা!
আউট অফ দ্য বক্স’ ভাবনা সাফল্যের পথকে করে প্রশস্ত
দুনিয়াজুড়ে ব্যবসায় অঙ্গনে এখন আইডিয়ার জয়জয়কার। নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে গড়া অনেক স্টার্ট-আপই পেয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। আজকের দিনে গুগল অ্যাপল উবার ফুডপান্ডাসহ সফল অনেক প্রতিষ্ঠানই শূন্য থেকে পূর্ণতায় পৌঁছেছে সৃজনশীলতার গুণে।
রাইড শেয়ারিং স্টার্ট-আপগুলোর কথাই ধরুন। কী করছে এরা? অনলাইনে চালকের সাথে যাত্রীর যোগাযোগ করিয়ে দিচ্ছে। স্রেফ এটুকুর বিনিময়ে সার্ভিস চার্জ বাবদ তারা যা নিচ্ছে তাতে ফুলেফেঁপে উঠেছে তাদের আর্থিক স্বাস্থ্য। নতুন আইডিয়ার মাহাত্ম এটাই।
আসলে কেবল চাকুরি করে খুব বেশি দূর যাওয়া যায় না। চাকুরি করে কতটা আয় করতে পারবেন- মাসে এক লাখ? দু’লাখ? পাঁচ লাখ? বেতনের একটা সীমা তো আছে! তাই চিন্তা করুন গতানুগতিকতার চার দেয়ালের বাইরে।
ইতিহাস বলে, অনেক বড় বড় সফল প্রতিষ্ঠান শুরুতে ছিল নিছক ‘ক্রেজি’ বা খ্যাপাটে আইডিয়া!
ব্র্যাক, বিআইজিডি এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী চার হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর ওপর একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, এদের মধ্যে ইংরেজি ভাষা ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতায় আত্মবিশ্বাসী মাত্র ১৬ শতাংশ!
ইংরেজিতে দক্ষতা আছে তরুণ ও তরুণীদের যথাক্রমে ২৪ ও ১০ শতাংশের। কম্পিউটারে দক্ষতার ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ২১ ও ১৪ শতাংশ।
কাজেই লিখিত ও স্পোকেন ইংরেজি এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে যদি আপনি দক্ষ হতে পারেন তাহলে পেশাজগতের ‘ঘোড়দৌড়ে’ এগিয়ে থাকবেন অনেকের চেয়ে!