1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন

ইতিহাসে সেপ্টেম্বর ৮ – স্বনামধন্য ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা এর জন্মদিন

  • সময় মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৯৫২ বার দেখা হয়েছে

স্বনামধন্য ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা এর জন্মদিন

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫০তম (অধিবর্ষে ২৫১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯৫১ : সান ফ্রান্সিসকোতে ৪৯টি দেশ জাপানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে।
১৯৭৩ : বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জায়ারে।

জন্ম

১৮৩০ : ফ্রেদেরিক মিস্ত্রাল, নোবেলজয়ী ফরাসি কবি।
১৮৯২ : বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী
১৯১৮ : ডেরেক রিচার্ড বার্টন, নোবেলজয়ী জৈবরসায়নবিদ বিজ্ঞানী।
১৯১৯ : নিরঞ্জন ধর, যুক্তিবাদী সমাজবিজ্ঞানী ও মানবতাবাদী ঐতিহাসিক।
১৯২৬ : ভূপেন হাজারিকা, স্বনামধন্য ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৩৩ : আশা ভোঁসলে, ভারতীয় গায়িকা।
১৯৫৫ : ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার।

মৃত্যু

১৯৬৫ : নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ হেরমান স্টাউডিংগার

দিবস

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা

ভূপেন হাজারিকা ছিলেন একজন স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী ও ভারতীয় সঙ্গীত জগতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। অত্যন্ত দরাজ গলার অধিকারী ছিলেন। তার জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। অসমিয়া চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে গানের জগতে প্রবেশ করেন। পরবর্তীকালে বাংলা ও হিন্দি ভাষায় গান গেয়ে ভারত এবং বাংলাদেশে অসম্ভব জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামের সদিয়ায়। বাবা নীলকান্ত হাজারিকা। মায়ের নাম শান্তিপ্রিয়া হাজারিকা। বাবা-মায়ের দশ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

মাত্র ১০ বছর বয়স থেকেই গান লিখে সুর দিতে থাকেন। আসামের চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের সূচনা হয় এক শিশুশিল্পী হিসেবে। ১৯৩৯ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি অসমীয়া ভাষায় নির্মিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা পরিচালিত ইন্দুমালতী ছবিতে ‘বিশ্ববিজয় নওজোয়ান’ শিরোনামের একটি গান গেয়েছিলেন। পরে তিনি অসমীয়া চলচ্চিত্রের একজন নামজাদা পরিচালক হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশ, আসাম ও তার প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গে তার জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক ও বিশাল। অসমীয়া ভাষা ছাড়াও বাংলা ও হিন্দি ভাষাতেও তিনি সমান পারদর্শী ছিলেন এবং অনেক গান গেয়েছেন। অবশ্য এসব গানের অনেকগুলোই মূল অসমীয়া থেকে বাংলায় অনূদিত।

১৯৪২ সালে গুয়াহাটির কটন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট আর্টস, কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৪ সালে বি.এ এবং ১৯৪৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এ পাস করেন। ১৯৫২ সালে নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘প্রাপ্তবয়স্কদের শিক্ষায় শ্রবণ-দর্শন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভারতের মৌলিক শিক্ষাপদ্ধতি প্রস্তুতি-সংক্রান্ত প্রস্তাব’। অল্প সময়ের জন্যে তিনি বিজেপি বা ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।

ড. ভূপেন হাজারিকা তার ব্যারিটোন কণ্ঠস্বর ও কোমল ভঙ্গির জন্যে বিখ্যাত ছিলেন। তার রচিত গানগুলো ছিল কাব্যময়। গানের উপমাগুলো তিনি প্রণয়-সংক্রান্ত, সামাজিক বা রাজনৈতিক বিষয় থেকে তুলে আনতেন। তিনি আধুনিকতার ছোঁয়া দিয়ে লোকসঙ্গীত গাইতেন।

ভূপেনের গানগুলোতে মানবপ্রেম, প্রকৃতি, ভারতীয় সমাজবাদের, জীবন-ধর্মীয় বক্তব্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। এছাড়াও, শোষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ প্রতিবাদী সুরও উচ্চারিত হয়েছে বহু বার।

ভূপেন হাজারিকার কয়েকটি গান:

মানুষ মানুষের জন্য

আমি এক যাযাবর

বিস্তীর্ণ দুপারের অসংখ্য মানুষের

হে দোলা হে দোলা

সবার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনাতে নজরুল

সহস্র জনে মোরে প্রশ্ন করে মোর প্রেয়সীর নাম

আজ জীবন খুঁজে পাবি

ও মালিক সারা জীবন কাঁদালে যখন

গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা

সাগর সংগমে সাঁতার কেটেছি কত

সম্মাননা

ভূপেন হাজারিকা ২৩তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক চলচ্চিত্র ‘চামেলী মেমসাহেব’ ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ‘পদ্মশ্ৰী’ লাভ করেন ১৯৭৭ সালে। ‘শ্রেষ্ঠ লোকসঙ্গীত শিল্পী’ হিসেবে ‘অল ইন্ডিয়া ক্রিটিক অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার’ পান ১৯৭৯ সালে। এছাড়াও অসম সরকারের শঙ্করদেব পুরস্কার (১৯৮৭), দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার (১৯৯২), জাপানে এশিয়া প্যাসিফিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে রুদালী ছবির শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার অর্জন। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসেবে এ পুরস্কার পান ১৯৯৩ সালে। পদ্মভূষণ (২০০১), অসম রত্ন (২০০৯), সঙ্গীত নাটক অকাদেমি পুরস্কার (২০০৯) এবং ভারতরত্ন (২০১৯)সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

এছাড়াও ১৯৯৩ সালে ড. ভূপেন হাজারিকা অসম সাহিত্য সভার সভাপতি হন। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে অল আসাম স্টুডেন্টস্‌ ইউনিয়নের উদ্যোগে গুয়াহাটির দীঘলিপুখুরী (ঐতিহাসিক দীঘি) জিএসবি রোডে একটি স্মারক ভাস্কর্য তৈরি করে। আসামের ভাস্কর্যশিল্পী বিরেন সিংহ ফাইবার গ্লাস ও অন্যান্য পদার্থ সহযোগে চমকপ্রদ ‘ড. ভুপেন হাজারিকা ভাস্কর্য’ তৈরী করেন।

কিডনি বৈকল্যসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় জর্জরিত হয়ে গুণী এই শিল্পী ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »