1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দীর্ঘজীবনের রহস্য জানুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস! Tiger 3 BO Prediction: শাহরুখকে টেক্কা, প্রথমদিনই ১০০ কোটি ছোঁবে সলমনের ‘টাইগার ৩’! দিওয়ালিতে মহাধামাকা জয়-পরাজয়ের রহস্য সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে? যে-কোনো কাজ ভালোভাবে করবেন কীভাবে? টাইগার 3 রিলিজের আগে, YRF স্পাই ইউনিভার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করবে এক থা টাইগার, টাইগার জিন্দাহ্যায়, পাঠান এবং ওয়ার বড় পর্দায় ফিরে আসছে! বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে *হালাল জীবিকার উপর সন্তুষ্ট থাকা।*  “হুসনুল খুলুক”সুন্দর চরিত্র এবং চরিত্রবান হওয়ার উপায়  

ইতিহাসে সেপ্টেম্বর ২৯ – গুরুপ্রসাদ সেন মৃত্যুবরণ করেন

  • সময় বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ৭৮৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৭২ তম (অধিবর্ষে ২৭৩ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯৩৫ : ছাপাখানায় প্রথম বাংলা লাইনোটাইপ ব্যবহৃত হয়।
১৯৩৯ : ব্রিটেনে পরিচয়পত্র প্রথা চালু হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জন্ম

১৮৪১ : দুর্গাচরণ রক্ষিত, ভারতে প্রথম সর্বোচ্চ ফরাসি সম্মান- ‘লেজিয়ঁ দনার’-এ সম্মানিত বাঙালি উদ্যোগপতি।
১৯১৪ : মনি গুহ, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি তেভাগা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা।
১৯৪৩ : লেস ওয়ালেসা, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পোল্যান্ডের শ্রমিক নেতা।

মৃত্যু

১৯০০ : পূর্ববঙ্গের অধুনা বাংলাদেশের প্রথম এম.এ. এবং বিহারের প্রথম ইংরেজি দৈনিক ‘বিহার হেরল্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা গুরুপ্রসাদ সেন
১৯৪২ : ভারতীয় বিপ্লবী, স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা
১৯৭৩ : অ্যাংলো-আমেরিকান কবি ডব্লিউ এইচ অডেন

দিবস

আন্তর্জাতিক কফি দিবস।
বিশ্ব হার্ট দিবস।

গুরুপ্রসাদ সেন

গুরুপ্রসাদ সেন ছিলেন প্রখ্যাত বাঙালি আইনজীবী, প্রাবন্ধিক ও বিহারের প্রথম ইংরেজি পত্রিকা ‘বিহার হেরল্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি তৎকালীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম এম.এ।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ পরগনার ঢাকার ডোমসারে। বাবা কাশীচন্দ্র সেন ও মায়ের নাম সারদাসুন্দরী দেবী। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যু হলে মা সারদাসুন্দরী তাকে নিয়ে চলে যান তার ভ্রাতা রাধানাথ সেনের আশ্রয়ে বিক্রমপুরের কাঁচাদিয়া গ্রামে এবং সেখানে তিনি মাতুল কর্তৃক প্রতিপালিত হন।

সেসময় বিক্রমপুরে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল না থাকায় তার মাতুলই তাকে ইংরেজি শেখাতেন। পরে ভর্তি হন ঢাকা পোপোজ স্কুলে। গুরুপ্রসাদ অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে বৃত্তিসহ প্রবেশিকা পরীক্ষা পাস করেন। এরপর ঢাকা কলেজ থেকে ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে এফ.এ.পরীক্ষায় প্রথম হন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে বি.এ এবং ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাস করেন।

পড়াশুনা শেষে প্রেসিডেন্সি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে বি.এল পরীক্ষা পাশ করে ডেপুটি ম্যাজিসেট্রট পদে প্রথমে কৃষ্ণনগর ও পরে বাঁকিপুরে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু সেখানে ইংরেজ ম্যাজিসেট্রটের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় সরকারি পদ ত্যাগ করে বাঁকিপুরেই স্বাধীনভাবে ওকালতি শুরু করেন।

সেখানেই কর্মজীবনের ত্রিশ বছর কাটান এবং বহু জনহিতকর কাজে লিপ্ত ছিলেন। বিহারের প্রধান প্রধান জমিদারদের আইনি-উপদেষ্টাও ছিলেন। তার জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীলচাষিদের পক্ষ নেয়া এবং তাদের সংগ্রামে সামিল হওয়া। তার চেষ্টাতে বিহারের নীলচাষিরা ইংরেজ নীলকর সাহেবদের অত্যাচারমুক্ত হন।

১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিহারে প্রথম ইংরেজি সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘বিহার হেরল্ড’ প্রকাশ করেন। এই পত্রিকার সাহায্যে তিনি জনসাধারণের সপক্ষে সংগ্রাম করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হয়ে ওঠেন। দরিদ্র ছাত্রদের জন্যে হোস্টেল এবং বাঁকিপুর ও ঢাকায় দুটি স্কুল স্থাপন করেন। ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বিহার ল্যান্ড-হোল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা তার চেষ্টায় সম্ভব হয়েছিল এবং তিনি এর আজীবন সম্পাদক ছিলেন।

১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার সদস্য হন এবং পরের বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলো হন। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা ‘সোম প্রকাশ’ পত্রিকায় তিনি অনেক প্রবন্ধ লিখতেন। জুরির বিচারব্যবস্থা ওঠানোর চেষ্টা হলে তার রচিত ইংরেজি পুস্তিকা বিলাতে প্রশংসিত হয়েছিল। ইংরেজি ভাষায় তিনি কয়েকটি বই রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে- অ্যান ইনেট্রাডাকশন টু দ্য স্টাডি অফ হিন্দুইজম (প্রবন্ধ সংকলন), নোটস্ অন সাম কোয়শচেন অফ অ্যাডমিনিস্টেশন ইন ইন্ডিয়া ইত্যাদি।

বাঁকিপুরে অবস্থানকালে বিধানচন্দ্র রায়ের বাবা প্রকাশ চন্দ্র রায় ও মা অঘোরকামিনী দেবীর সাথে তার পরিচয় ছিল। তাদের মতো তিনিও একসময় ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হন। পরে তার ধর্মবিশ্বাসে উদারপন্থী মনোভাব দেখা যায়। বিধবাবিয়ের উৎসাহী সমর্থকও ছিলেন তিনি। বিপথগামী মেয়েদের বিয়ে ও পুনর্বাসনের পক্ষে নিবন্ধ লেখেন।

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১৯০০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »