১৫৩৫ : ইংরেজি ভাষার প্রথম বাইবেল ছাপা সম্পন্ন হয়।
১৮৩০ : বেলজিয়াম তাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৫৮ : আটলান্টিক পারাপারে নিয়মিত বিমান চলাচল শুরু করে।
১৮৮৩ : অধ্যাপক পঞ্চানন নিয়োগী, প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী।
১৯০৬ : নির্মলচন্দ্র লাহিড়ী, খ্যাতনামা জ্যোতির্বিদ, গণিতাচার্য ও পঞ্জিকা-সংস্কারক।
১৯১৬ : ভিতালি গিঞ্জবার্গ, নোবেলজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ।
১৯১৮ : কেনিচি ফুকুই, নোবেলবিজয়ী জাপানি রসায়নবিদ।
১৯১৯ : মণীন্দ্র রায়, বিশিষ্ট বাঙালি কবি।
১৯৩১ : সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও চলচ্চিত্রের নেপথ্য গায়িকা।
১৯৬৭ : জাহিদ হাসান, বাংলাদেশি অভিনেতা।
১৬৬৯ : হল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পী এবং ইউরোপের ইতিহাসের সেরা চিত্রশিল্পী ও ছাপচিত্রশিল্পী রেমব্রন্ট ভান রেইন।
২০০০ : নোবেলবিজয়ী ইংরেজ কানাডিয়ান রসায়নবিদ মাইকেল স্মিথ।
বিশ্ব প্রাণী দিবস।
নির্মলচন্দ্র লাহিড়ী ছিলেন একজন খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি জ্যোতির্বিদ, গণিতাচার্য, পঞ্জিকা-সংস্কারক। তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৬ সালের ৪ অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের রংপুরে। বাবা হরিশ্চন্দ্র লাহিড়ী। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে বি.এ পাশের পর ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিশ্র গণিতে এম.এ পাশ করেন।
১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সরকারের বাণিজ্যিক সংবাদ ও সংখ্যাতত্ত্ব বিভাগে কাজ পান এবং ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ওখানেই কর্মরত ছিলেন। এরপর প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহার সভাপতিত্বে ক্যালেন্ডার রিফর্মস কমিটি গঠিত হলে, নির্মলচন্দ্র সেই কমিটির সম্পাদক হন এবং আলিপুরের অ্যালম্যানাক ইউনিটে কর্মরত হন।
রাষ্ট্রীয় পঞ্চাঙ্গের সংস্কার ছাড়াও কমিটির একটি উদ্দেশ্য ছিল, সময় গণনার ক্ষেত্রে প্রাচীন অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির বদলে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির প্রচলন ঘটানো।
১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে এই কমিটির কাজ শেষ হলে, ভারত সরকারের অন্য একটি পরিকল্পনায় ‘ভারতীয় পঞ্জিকা ও নৌ-সারণি’ প্রস্তুতির মতো মৌলিক গবেষণামূলক কাজের ও ভারতের বিভিন্ন ভাষায় জ্যোতিষভিত্তিক পঞ্জিকা প্রকাশনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি প্যারিসে আন্তর্জাতিক জ্যোতিবিদ্যা ইউনিয়নের পঞ্চাঙ্গ বা পঞ্জিকা কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই গৌরবের অধিকারী। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তবে অবসরের পরও তিনি জ্যোতিবিদ্যা চর্চাতেই ব্যাপৃত ছিলেন।
তিনি বিভিন্ন ধরনের বেশকিছু পঞ্জিকা ও গ্রন্থ প্রকাশ করেন। রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে- পঞ্চাঙ্গ দর্পণ, Tables of Ascendants, Tables of the Sun, Advance Ephermeris for 100 years (1951 – 2050), Tables of Sunrise, Sunset and Moonrise, Moonset ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রযুক্তিবিদ মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশিত বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে বাংলা পঞ্জিকার সাথে বিজ্ঞানসম্মত মিল পাওয়া যায়। কিন্তু তার প্রচলন ছিল না। মূলত তার উদ্যোগেই বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে বাংলা পঞ্জিকার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ছেলে অরুণকুমার লাহিড়ীকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতার ১৭ বৃন্দাবন মল্লিক ফার্স্ট লেনে ‘অ্যাস্ট্রো রিসার্চ ব্যুরো’ নামে এক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ষষ্ঠীচরণ জ্যোতির্ভূষণের সহায়তায় বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার প্রকশনার ভার গ্রহণ করেছিলেন। জ্যোতির্বিদ্যায় অবদানের জন্যে কাঞ্চীপুরমের শঙ্করাচার্য তাকে ‘গণিতকলানিধি’ উপাধি প্রদান করেন।
নির্মলচন্দ্র লাহিড়ী ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে ৩ জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য