বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও সবাইকে তাক লাগিয়েছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আগেই প্রথম হয়েছেন। এবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায়ও প্রথম হলেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার রাতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন মেফতাউল। বগুড়া শহরের রহমাননগর এলাকার বাসিন্দা মেফতাউলের বাবা খোরশেদ আলম অবসরপ্রাপ্ত এনজিও কর্মকর্তা আর মা মুনজিলা আলম গৃহিণী।
সম্প্রতি প্রকাশিত দেশের তিনটি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন। এ ছাড়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম আর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯তম হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বগুড়ার এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
মেফতাউল বলেন, ‘ঢাবি আর আইইউটিতে প্রথম হলেও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হতে পারব কি না, সেটি নিয়ে সংশয় ছিল। জেলা শহরের কলেজ থেকে পাস করে দেশের নামকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে। তবে আমি সব সময় আত্মবিশ্বাস ধরে রেখেছিলাম।’
ভর্তি পরীক্ষায় এমন সাফল্যের পেছনের কারণ জানতে চাইলে মেফতাউল বলেন, কেউ মেধাবী হয়ে জন্মায় না। সবার ভেতরেই মেধা সুপ্ত ও ঘুমন্ত থাকে। জীবনের লক্ষ্য স্থির করে নিজের সুপ্ত মেধাকে জাগানোর জন্যে সাধনা করতে হবে। স্বপ্ন ছোঁয়ার জন্যে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সময়ের কাজ সময়েই করতে হবে। আর পাঠ্যবইয়ের বাইরেও পৃথিবীকে জানতে হবে। তাহলেই সাফল্য মিলবে বলে বিশ্বাস করেন মেফতাউল।
বুয়েটে প্রথম হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত মেফতাউল। তিনি জানান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগে পড়তে চান তিনি। এ বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণা করার পরিকল্পনা আছে তার।
যদিও শৈশব থেকে স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। তবে এক গৃহশিক্ষকের অনুপ্রেরণায় চিকিৎসকের বদলে একসময় প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। পঞ্চম শ্রেণির পর থেকেই ভালো ফলাফল করতে শুরু করেন মেফতাউল। এসএসসি ও এইচএসসি—দুই পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পান তিনি।
মেফতাউল জানান, এ সাফল্যের পেছনে মায়ের পরিশ্রম আর বাবার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। তবে চিকিৎসক-প্রকৌশলী হতেই হবে, পরিবার থেকে এমন কোনো চাপ ছিল না। মা-বাবা পড়াশোনার ব্যাপারে সব সময় স্বাধীনতা দিয়েছেন।
সূত্র : প্রথম আলো (২৬ নভেম্বর, ২০২১)