কিন্তু হাই কমোড লাগিয়ে কি আমরা জাতে উঠলাম, নাকি জাত হারালাম?
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!হাই কমোড কিন্তু বেশিদিন আগের আবিষ্কার নয়। ষোড়শ শতকে ব্রিটেনের টিউডর শাসক পরিবার প্রথম হাই কমোড গ্রহণ করে। তবে সাধারণ মানুষ হাই কমোড ব্যবহার শুরু করে আরো পরে।
১৭৭৫ সালে আবিষ্কৃত হয় এস-আকৃতির পাইপ, যা কমোডের জলাধারের (Cistern) নিচে সহজে বসে যায়। এতে টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করা হয় সহজ। এই আবিষ্কারে ঘটে বিপ্লব। মানুষ আস্তে আস্তে হাই কমোডের দিকে ঝুঁকতে থাকে।
বিশেষতঃ ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি কলেরা প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে লন্ডন সুয়ারেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করলে চেয়ারের মতো করে বসে মলত্যাগের পর সহজে ও পুরোপুরি ফ্লাশ করা যায় এমন টয়লেট জনমানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। শুরুটা স্রেফ প্রয়োজনের তাগিদে হলেও আরামদায়ক বিধায় মানুষ মলত্যাগে বেঁছে নিচ্ছে হাই কমোড।
আর আমাদের দেশে হাই কমোডের ব্যবহার শুরু হয় ৮০’র দশক থেকে।
কারণ সেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা গত পঞ্চাশ বছর ধরে গবেষণা করে দেখছেন যে, হাই কমোডে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে।
আমেরিকান কলেজ অব গেস্ট্রোএন্টারোলজির পরিসংখ্যান হচ্ছে, বয়স ৫০ হওয়ার আগেই আমেরিকার অর্ধেক মানুষ হেমোরয়েডে ভুগতে শুরু করেন। তাদের পায়ু পথের শিরা ফুলে থাকে, এবং মলত্যাগের সময় রক্ত পড়ে। আর এ-সবের মূল্যে আছে মলত্যাগে হাই কমোড ব্যবহারে অভ্যস্ততা।
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ১৯৭৮ সালে ক্রিসমাসের আগে পায়ুপথে হেমোরয়েডের তীব্র ব্যথার কারণে সপ্তাহখানেক রাষ্ট্রকার্য পরিচালনা থেকে অব্যহতি পর্যন্ত নিতে বাধ্য হন। তার প্রক্টোলজিস্ট (পায়ুপথ রোগ বিশেষজ্ঞ) প্রেসিডেন্টের সেই অসুস্থতার জন্যে দায়ী করেন কমোড ব্যবহারের অভ্যস্ততাকে।