1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫৯ অপরাহ্ন

ইতিহাসে ডিসেম্বর ২৬ মহিলা কবি ও লেখিকা মানকুমারী বসু মৃত্যুবরণ করেন।

  • সময় সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৫১৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৬০তম (অধিবর্ষে ৩৬১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৮০৫ : ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া শান্তিচুক্তি করে।
১৮৯৮ : পিয়ের ও মারি কুরি রেডিয়াম আবিষ্কার করেন।
১৯০৬ : অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বিশ্বের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য ছায়াছবি ‘দি স্টোরি অব দ্য কেলি গ্যাং’ প্রথম প্রদর্শিত হয়।
১৯৬২ : বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে প্রথম নামাজ পড়া শুরু।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জন্ম

১৭৯১ : চার্লস ব্যাবেজ, ইংরেজ গণিতবিদ; যাকে কম্পিউটারের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
১৮২২ : রামনারায়ণ তর্করত্ন, বাংলার প্রথম মৌলিক নাট্যকার ও হরিনাভি বঙ্গনাট্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৫০ : স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু, ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক।
১৮৯৩ : মাও সে তুং, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।
১৯৩৮ : আলমগীর কবির, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা।

মৃত্যু

১৫৩০ : ভারত উপ-মহাদেশে মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর
১৮৩১ : ইউরেশীয় কবি, যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ ও শিক্ষক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও
১৯৪৩ : বাঙালি কবি মানকুমারী বসু
১৯৭২ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩তম রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস. ট্রুম্যান
১৯৮৭ : বাঙালি কথাসাহিত্যিক মনোজ বসু
২০২০ : বাংলাদেশি অভিনেতা আব্দুল কাদের

মানকুমারী বসু

মানকুমারী বসু ছিলেন বাংলাদেশে সর্বজনবিদিত অন্যতম মহিলা কবি ও লেখিকা। প্রকৃতি, সমাজ, ইতিহাস ও জাতীয়তা তার কবিতার উপজীব্য।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬৩ সালের ২৩ জানুয়ারি যশোর জেলার শ্রীধরপুর গ্রামে মাতুলালয়ে। বাবা আনন্দমোহন দত্ত। মায়ের নাম শান্তমণি। আনন্দমোহন দত্ত ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্তের পিতৃব্য রাধামোহন দত্তের পুত্র। তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল যশোরের সাগরদাঁড়িতে। ১৮৭৩ সালে বিবুধশঙ্কর বসুর সঙ্গে তার বিবাহ হয় এবং মাত্র নয় বছর পরে ১৮৮২ সালে একমাত্র কন্যাসন্তান নিয়ে তিনি বিধবা হন।

মানকুমারী পারিবারিক ঐতিহ্যসূত্রেই সাহিত্যসাধনায় প্রয়াসী হন। অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত ও সংবাদ প্রভাকরে প্রকাশিত তার প্রথম কবিতা ‘পুরন্দরের প্রতি ইন্দুবালা’। এর বিষয় ও আঙ্গিকে মধুসূদনের স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে। রচিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে কাব্য কুসুমাঞ্জলি, কনকাঞ্জলি, বীরকুমারবধ কাব্য ইত্যাদি। প্রিয় প্রসঙ্গ বা হারানো প্রণয় তার স্বামীর মৃত্যুতে গদ্যেপদ্যে রচিত বিয়োগ-বেদনা ও করুণরসের একটি উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।

গল্প ও প্রবন্ধ রচনাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। পুরাতন ছবি (১৯৩৬) তার ছোটগল্প এবং বাঙালি রমণীদের গৃহধর্ম (১৮৯০) ও বিবাহিতা স্ত্রীলোকের কর্তব্য প্রবন্ধ-পুস্তক। স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং সমাজের দুর্নীতি ও কুসংস্কার দূরীকরণের ওপর রচিত তার বেশ কিছু প্রবন্ধ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল।

মানকুমারী বামাবোধিনী পত্রিকার লেখিকা-শ্রেণিভুক্ত ছিলেন। তিনি ‘রাজলক্ষ্মী’, ‘অদৃষ্ট-চক্র’ এবং ‘শোভা’ গল্প লিখে ‘কুন্তলীন পুরস্কার’ পান এবং সামগ্রিক সাহিত্যকৃতির জন্যে ভারত সরকারের বৃত্তি (১৯১৯) লাভ করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘ভুবনমোহিনী স্বর্ণপদক’ (১৯৩৯) ও ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক (১৯৪১) দ্বারা পুরস্কৃত করে। মানকুমারী ১৯৩৭ সালে চন্দননগরে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনের ‘কাব্যসাহিত্য’ শাখার সভানেত্রী ছিলেন।

বাংলা সাহিত্যের এই সুলেখিকা ১৯৪৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র : সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »