1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:২২ পূর্বাহ্ন

নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ ও আমাদের করণীয়

  • সময় মঙ্গলবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২২
  • ৭৩২ বার দেখা হয়েছে

সৃষ্টির শুরু থেকে সময় কখনো কারও জন্য অপেক্ষা করেনি। আদিকাল থেকে পৃথিবীও তার গতিধারায় বিরতি দেয়নি। বিরামহীন গতিতে এগিয়ে চলেছে এই গতিশীল পৃথিবী। এভাবে কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অগণিত যুগ। প্রাচীন অসংখ্য সভ্যতা ডিঙিয়ে পৃথিবী আজ পৌঁছে গেছে বর্তমান যুগে। বর্তমান যুগের চলমান শতাব্দীকে একবিংশ শতাব্দী বলা হয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বিংশ শতাব্দীর পুরোটা সময় ছিল বৈজ্ঞানিক ফরমুলার প্রারম্ভকাল। এ শতাব্দীকে গবেষকরা বিজ্ঞানের সূচনাকাল বলে অভিহিত করেছেন। আর একবিংশ শতাব্দী হলো বিজ্ঞানের উৎকর্ষকাল। এ শতাব্দীর বিগত ২১ বছরে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। মানুষ ভালোভাবে বেঁচে থাকতে নতুন নতুন আবিষ্কারে মনোযোগী হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা চাঁদে, মঙ্গলে কিংবা অন্য কোনো গ্রহে বসবাসের চিন্তাভাবনা করছে। বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতির ফলে মানুষের শারীরিক পরিশ্রম অনেকটাই বিয়োগ ঘটেছে। শহরের মতো গ্রামেও বিজ্ঞানের নানা আবিষ্কার ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। আগের কালের সাইকেল ও ভ্যান বর্তমানে ব্যাটারিচালিত ইঞ্জিনে পরিণত হয়েছে। পোস্ট অফিস শুধু সরকারি কিছু চিঠি-পত্র বিতরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে সাধারণের চিঠিপত্র বিলি এখন ইতিহাসে রূপান্তরিত হয়ে গেছে। বিজ্ঞান কর্তৃক আবিষ্কৃত ইমেইলের ওপর এখন এর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে।

প্রাচীন বাংলার কৃষিকাজ এখন গরু ও লাঙল দিয়ে সম্পাদিত হয় না। এসবের পরিবর্তে এখন কলের লাঙলসহ নানা সরঞ্জাম ব্যবহৃত হচ্ছে। উন্নত বিশ্বে অফিশিয়াল অনেক কাজই এখন আর মানুষ সম্পন্ন করে না। এসব কাজ বিজ্ঞান আবিষ্কৃত রোবটই সম্পন্ন করে থাকে। বিশ্বে লিঙ্গ সমতাকরণের স্লোগান ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে দেশের সর্বত্রই তাদের প্রভাব বিস্তৃত হবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে। সমাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র ও সংসারে তাদের প্রাধান্য স্পষ্টতই প্রকাশ পাচ্ছে।

বিজ্ঞান পৃথিবীর প্রাকৃতিক কাঠামোকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। বিজ্ঞানের কারণে ভূপ্রকৃতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। গাছপালা, বন, পাহাড়, নদী-সাগর প্রভৃতি নববৈচিত্র্যপূর্ণ রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন দেশ ও জায়গায় বর্তমানে ভাসমান ঘরবাড়ি নির্মিত হচ্ছে। শিল্পায়নের ফলে পৃথিবীর ব্যাপক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হতে দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞানের এ জয়যাত্রার সঙ্গে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সংযুক্ত হয়েছে। নতুন নতুন এসব উদ্ভাবন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আরও অধিক মাত্রায় যত্নশীল ও সক্রিয় হবে। গবেষকদের মতে, এ শতাব্দীতে বাংলাদেশ মারাত্মক কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। এ শতাব্দীর কোনো একসময়ে বাংলাদেশের এক-পঞ্চমাংশ সাগরে ডুবে যাবে। বাংলাদেশের জন্য মহাবিপজ্জনক সে সময়টি আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই দেখা দিতে পারে। এ সময়টি উপকূলবাসীর জন্য এক মহাদুর্যোগকাল হিসাবেই আবির্ভূত হবে। উপকূলীয় মানুষজন লোনা পানির কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হবে। এসব এলাকায় খাদ্য, আবাসন, শিক্ষা প্রভৃতিতে ব্যাপক সংকট দেখা দেবে।

ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন। এ পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত হবে অতিবর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়। ফলে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা বন্যায় তলিয়ে যাবে। সৃষ্টি হবে খাদ্য সংকট আর ব্যাহত হবে কৃষি উৎপাদন। সুপেয় পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হবে। ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। খাদ্যের জন্য তারা গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হবে। সম্ভাব্য ডুবে যাওয়া এলাকাগুলো হিসাবে গবেষকরা বরিশাল, খুলনা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ অঞ্চলকে চিহ্নিত করেছেন। এসব এলাকার কোটি কোটি মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। বেঁচে যাওয়া এবং বেঁচে থাকা মানুষ ভয়ানক দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মারাত্মক ঘাটতি দেখা দেবে। ডুবে যাওয়া এলাকার মানুষগুলোকে পুনর্বাসন করা বাংলাদেশের জন্য মহা চ্যালেঞ্জ হিসাবেই আবির্ভূত হবে।

এ শতাব্দীতে জীবাশ্ম জ্বালানির মারাত্মক সংকট দেখা দেবে। দেশে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। বিশাল এ জনশক্তির জ্বালানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়বে। জীবাশ্ম জ্বালানি সাধারণত তিন ধরনের হয়ে থাকে। সেগুলো হলো-কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস। আর এগুলো ছাড়া কোনো দেশ একদিনও চলতে পারে না। কারণ দেশের নাগরিকের স্বাভাবিক জীবন পরিচালনা করতে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প আজও সৃষ্টি হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে, রাসায়নিক সার উৎপাদনে ও পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এ জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া এটি স্বয়ং নিজেও জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান হারে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে তেল শেষ হয়ে যাবে। ২০৬০ সালে শেষ হবে গ্যাস আর ২০৮৮ সালে শেষ হবে কয়লার মজুত। পৃথিবীতে বর্তমানে যে পরিমাণ সঞ্চিত জ্বালানি আছে, তা দিয়ে আগামী ১০০ বছর চলবে। এরপর কী হবে, সে বিষয়টি মানুষের অজানা রয়ে গেছে। বাপেক্সের সূত্রমতে, বাংলাদেশে মজুতকৃত জ্বালানি ৩০ বছর চলবে। আজ থেকে ৩০ বছর পর বাংলাদেশ এক্ষেত্রে আমদানিনির্ভর হয়ে পড়বে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এটিকে বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।

এ শতাব্দীতে বিশ্বময় পরিবেশ ও জলবায়ুর মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিবে। ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, অগ্নিবৃষ্টি, বনে অগ্নি (বনাগ্নি), বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি শুরু হয়েছে। ম্যানগ্রোভ হিসাবে খ্যাত বাংলাদেশের সুন্দরবন অস্তিত্বের সম্মুখীন হবে মর্মে পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন। এতে জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। দেশের আবাদি অনেক কৃষিজমি সমুদ্রগর্ভে ডুবে যাবে। ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। এতে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে কপ২৬ বিশ্বসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। এ সমাবেশে ২০০টি দেশের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। করণীয় নির্ধারণ করতেই তারা এ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন।

এ শতাব্দীতে বৈশ্বিক বিভিন্ন অস্থিরতা দেখা দেবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের অভ্যন্তরে সহিংসতা বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আন্তঃদেশীয়, আন্তঃদলীয় ও অভ্যন্তরীণ সহিংসতা বেড়ে গেছে। গণতন্ত্র এখন অঘোষিত স্বৈর ও একনায়কতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো নিজস্ব পারমাণবিক শক্তি সঞ্চয় কর্মসূচিকে বেগবান করে তুলছে। আর অন্য রাষ্ট্রগুলোকে এ কর্মসূচি থেকে বিরত রাখতে গলা চেপে ধরছে। শক্তিধরেরা অন্য দেশগুলোকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে আদাজল খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। ফলে বিশ্বময় যুদ্ধের ঘনঘটা প্রবল আকার ধারণ করেছে।

বস্তুত গোটা বিশ্ব পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রও সুসংহত নয়। নানা কারণে দেশে সামাজিক অবক্ষয়ের জাল বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশ যদিও এলডিসি অতিক্রম করেছে; তবুও এদেশে দরিদ্রের সংখ্যা একেবারে কম নয়। দেশের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ এখনো দাতাগোষ্ঠীর সাহায্যের ওপরই নির্ভরশীল। উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতেও বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করছে। বিশ্বব্যাংক, এডিবিসহ অন্যান্য দাতা সংস্থার সাহায্যের ওপর নির্ভর করেই বাংলাদেশ এ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এসব দাতা সংস্থার ঋণের বোঝা বহন করেই একুশ শতকের যাত্রী হয়েছে বাংলাদেশ।

উন্নত বাংলাদেশে পৌঁছতে বর্তমান দেশের সবচেয়ে বড় বাধা সামাজিক অবক্ষয়। সমাজ ও রাষ্ট্র এখন মারামারি-হানাহানিতে জড়িয়ে পড়ছে। আন্তঃরাজনৈতিক অবস্থা কামড়াকামড়িতে রূপান্তরিত হয়েছে। এ কামড়াকামড়ি সমাজ ও রাষ্ট্রের দেহকে রক্তাক্ত করছে। দেশে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে। লুণ্ঠন, ধর্ষণ আর রাহাজানি দেশে এখন নিত্যকার ঘটনা। রাজনীতি এখন দুর্বৃত্তায়নের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষের মূলোৎপাটনই এখন রাজনীতির মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। অশালীনতাই হলো এখন রাজনীতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। অথচ রাষ্ট্র পরিচালনার এক পবিত্র নীতির নাম রাজনীতি। সেটি এখন অবৈধ আর অনৈতিক অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে।

বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো জাতীয় চরিত্রের অনুপস্থিতি। বাংলাদেশের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীর কোনো জাতীয় রাজনৈতিক আইডল নেই। ফলে অধিকাংশ তারুণ্য রাজনীতি পছন্দ করে না। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই তরুণ। বিশাল এ জনশক্তির প্রায় তিন কোটিই বেকার। বেকার এ তারুণ্য অবক্ষয়ের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছে। এতে তাদের শ্রমশক্তির অপচয় হচ্ছে। তারা অর্থ আয় করতে বিভিন্ন বাঁকা পথ বেছে নিয়েছে।

বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব বর্তমানে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আর এ চ্যালেঞ্জগুলোর অধিকাংশই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। অর্থাৎ বিশ্ববাসী এক ভয়ানক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। ইতোমধ্যে ভয়ানক করোনা মহামারির কাছে বিশ্ব মোড়লরা মারাত্মকভাবে নাকানিচোবানি খেয়েছে। পরাশক্তিগুলো চরমভাবে ধরাশায়ী হয়েছে। আমেরিকা মহাদেশ, ইউরোপ মহাদেশ আর এশিয়ার শক্তিশালীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্বল আফ্রিকা সবচেয়ে কম ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব বিপর্যয়ের জন্য মানুষই দায়ী। ইসলামের দৃষ্টিতেও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল (সূরা রুম : ৪১)।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এই একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষ ন্যায্য আচরণ করছে না। শক্তিশালীরা ব্যাপকভাবে বন ও পাহাড় উজাড় করেছে। তারা প্রাণিকুলের আবাসস্থল ধ্বংস করেছে। সাগর এবং নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করেছে। নদীর পানিকে দূষিত করেছে। মাছের বিচরণ সীমাবদ্ধ করে ফেলেছে। এসব কারণে প্রকৃতি রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। প্রকৃতি তার নিষ্ঠুর চেহারা মানবসমাজে প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞানের কিছু অপ্রয়োজনীয় আবিষ্কার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণ বলে অনেকে উল্লেখ করেছেন। বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছেন, মানবসৃষ্ট রোবটই একদিন মানবতাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে।

পৃথিবীকে বাঁচাতে তাই প্রকৃতির সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করতে হবে। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ থেকে মুক্ত হতে হবে। অনৈতিক লোভ-লালসা আর ভোগবিলাসের মোহ পরিত্যাগ করতে হবে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শক্তিমানদের অত্যাচার ও পাপাচার বন্ধ করতে হবে। শুধু টিকা কিংবা জাগতিক প্রস্তুতি দিয়ে কাজ হবে না। কারণ এটা একটা নৈতিকতার ব্যাপার। কাজেই বিশ্ববাসীকে মানবিক মূল্যবোধে জাগ্রত হতে হবে। অন্যকে দাস বানানোর মানসিকতা পরিহার করতে হবে। অন্য রাষ্ট্রকে করদ রাজ্য বানানোর হীন মানসিকতা থেকে সরে আসতে হবে। দাসত্বের বন্ধন থেকে মানবতাকে মুক্ত করতে হবে। এককথায়, পৃথিবীর সব মানুষকে মানবিক হতে হবে। তবেই কেবল সম্ভাব্য সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

 

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »