1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দীর্ঘজীবনের রহস্য জানুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস! Tiger 3 BO Prediction: শাহরুখকে টেক্কা, প্রথমদিনই ১০০ কোটি ছোঁবে সলমনের ‘টাইগার ৩’! দিওয়ালিতে মহাধামাকা জয়-পরাজয়ের রহস্য সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে? যে-কোনো কাজ ভালোভাবে করবেন কীভাবে? টাইগার 3 রিলিজের আগে, YRF স্পাই ইউনিভার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করবে এক থা টাইগার, টাইগার জিন্দাহ্যায়, পাঠান এবং ওয়ার বড় পর্দায় ফিরে আসছে! বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে *হালাল জীবিকার উপর সন্তুষ্ট থাকা।*  “হুসনুল খুলুক”সুন্দর চরিত্র এবং চরিত্রবান হওয়ার উপায়  

যুগযন্ত্রণা নিয়ে একজন বিশিষ্ট লেখকের বার্তা…

  • সময় শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০২২
  • ৬৪৬ বার দেখা হয়েছে

কয়েক প্রজন্ম আগে মানুষ জানত না ‘কাকে বলে ডিপ্রেশন’!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ২৫-২৯ বছর বয়সীদের আত্মহত্যার জন্যে ডিপ্রেশনই দায়ী। আসলে এই হতাশা বিষণ্নতা যার ইংরেজি নাম ডিপ্রেশন। এ সম্পর্কে একজন বিশিষ্ট লেখক খুব সুন্দরভাবে বলেছেন, “কয়েক প্রজন্ম আগে মানুষ জানত না কাকে বলে ‘ডিপ্রেশন’। ডিপ্রেশন আধুনিকতার মানসিক গন্ধম ফল।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

বাংলাভাষায় ‘ডিপ্রেশন’ বোঝানোর কোনো শব্দ নেই। কত বড় ঘুণপোকা জীবনের ভিত খেয়ে ফেলছে তা অনেক সময় বুঝতেও পারি না। ধরতেও পারি না যে অবসাদের মহামারি ছড়িয়ে পড়ছে।

পণ্যময় জীবন খালি পেতেই শেখায়!

তিনি লিখেছেন, অসন্তোষ অনিশ্চয়তা অজানা বিপদ বা ব্যর্থতার ভয় আধুনিক জীবনের ছায়াসঙ্গী। এটা একজনের বা অল্প কয়েকজনের ওপরে ছায়া ফেলে না। এর শিকার গোটা সমাজ।

বিজ্ঞাপিত জীবন শেখায় ভোগেই সুখ। এই পণ্যময় জীবন খালি পেতেই শেখায়। হারানো মানেই সর্বনাশ।

হারিয়ে ফেললে শোক সামলানোর ক্ষমতা কমে যাচ্ছে আমাদের। অথচ কিছু না হারিয়ে কে কবে কিছু পেয়েছে!

দুঃখ ব্যবস্থাপনায় সাইকোলজিস্ট নয় বরং পুরোনো সময় আশ্রয় ছিল সমাজ!

সাবেককালের রুহানি মানুষেরা সাধক মানুষেরা তো হারানোর মাধ্যমেই আরো প্রশান্ত জীবনের আদর্শ তুলে ধরতেন। তখন তো এত আত্মহত্যা ছিল না। জীবনে সুখই কাম্য দুঃখ মানেই খারাপ এটা ভুল বার্তা। দুঃখের ব্যবস্থাপনার জন্যে আধুনিক সময়ে যখন মনোরোগ চিকিৎসক আছে, অথচ পুরনো সময়ে আশ্রয় ছিল সমাজে।

আর ছিল দুঃখকে স্বাভাবিক ভাবার সংস্কৃতি (!)

কারণ ‘সমাজ’ নামক জিনিসটা জীবন্ত ছিল। আশ্রয় ছিল প্রকৃতিতে যেহেতু তার ভেতরেই মানুষ বাস করত। মাজার ছিল তীর্থ ছিল, ছিল পরিজন। আর ছিল দুঃখকে স্বাভাবিক ভাবার সংস্কৃতি।

সফল আমাদের হতেই হবে? চালাতে হবে অমানবিক প্রতিযোগিতা? ছুটতে ছুটতে পা হয়ে যাবে সিস্টেমের চাকা? পরিহাস, ভোগের বীরদেরও ক্লান্তি আসে। ভোগের দৌড়ে সফল ও ব্যর্থ, দুজনে একই সমস্যার দুই রকম শিকার।

সেই সমস্যার নাম বিচ্ছিন্নতা, অবসাদ, জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলা। এসব আত্মাকে শুকিয়ে ফেলে, খেয়ে ফেলে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার ইচ্ছাশক্তি। আত্মহত্যা নামের ভালুকের থাবার তলে চলে যায় তখন অনেকেই। পুঁজিবাদ থাকবে কিন্তু অবসাদ থাকবে না, তা হয় না!

বিচ্ছিন্ন জীবনের নাম আধুনিকতা হতে পারে না। প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাচ-কংক্রিট-প্লাস্টিক আর স্ক্রিনের দম্ভকে সভ্যতা বলা যায় না। বণিক সভ্যতার এই শূন্য মরুভূমিতে কীভাবে মানুষ বেঁচে থাকার প্রেরণা পাবে?”

আধুনিক যুগযন্ত্রণার মূল বিষয়টি বিশিষ্ট লেখক খুব সুন্দরভাবেই তুলে ধরেছেন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »