1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৮ অপরাহ্ন

মেডিটেশন অলৌকিক নাকি বিজ্ঞান

  • সময় বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০২২
  • ৫০০ বার দেখা হয়েছে

কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের জিনিসগুলোকে কেন অলৌকিক মনে করা হয়?

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

যাহা-ই জাদু তাহা-ই ট্রিকস…

প্রত্যয়নে অংশগ্রহণকারী যারা অনুভূতি বলেন এই ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে বাইরে বললে তাকে মানুষ পাগল বলবে। বা তার রিজনের মধ্যে আসবে না।

কিন্তু যখন একজন প্রোগ্রামে থাকেন তিনি এটাকে বুঝতে পারেন।

কেন? আসল রহস্যটা কোথায়? রহস্যটা হচ্ছে যে, এটা টোটালি একটা সায়েন্স।

এবং আমরা যেটাকে জাদু বলি জাদুর টোটাল জিনিসটা হচ্ছে ট্রিকস। সাধারণ মানুষ ট্রিকসটা বুঝতে পারে না। সেইজন্যে এটাকে জাদু মনে করে।

এটা খাও ওটা খাও আর মাঝে মাঝে চেকআপ করাও!

আমাদের প্রোগ্রামের যে বিষয়গুলোকে অলৌকিক ভাবা হয় সেগুলো হচ্ছে ধরুন, একজন মানুষ রুকু সেজদা দিয়ে নামাজ পড়তে পারত না এখানে এসে রুকু সেজদা দিয়ে নামাজ পড়ছে।

একজন মানুষ বেশিক্ষণ চেয়ারে বসে থাকতে পারত না সে ১০ ঘণ্টা চেয়ারে বসে তার ব্যথা চলে গেছে।

একজন মানুষের ব্যাকপেইন ছিল, একজন মানুষের মাইগ্রেন ছিল, সেগুলো নাই।

এখন এই মাইগ্রেন রাখা ব্যাকপেইন রাখা এটাতো মানে চিকিৎসাব্যবসায়ীদের একটা টেকনিক যে, এটা ভালো হবে না। এটা খাও এটা খাও মাঝে মাঝে চেকআপ করাও। মানে চেকআপটাও কিন্তু রেগুলার আরকি যে, আরো খারাপ কিছু হলো কিনা!

এই যে ইনকাম এই ইনকামটাতো তার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অকারণ ইনকাম। কেন?

ধরেন এই রুমটা যদি নোংরা থাকে ময়লা থাকে, তাহলে কী হবে? দুর্গন্ধ হবে। এখন ময়লা পরিষ্কার না করে এবং যত এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করি কিছুক্ষণের জন্যে এয়ারটা ফ্রেশ থাকবে। কিছুক্ষণ পরে তো আবার আবার ময়লা হবে। এবং পুরো ওয়েস্টার্ন ওষুধ সাম্রাজ্যবাদ এই কাজটা করছে।

এত ব্যাকপেইন! দেখেন- মনে কোনো কষ্ট আছে কিনা!

আর আমরা কী করছি?

মেডিটেশনটা কী? মেডিটেশন হচ্ছে, মাইন্ডের ক্লিনিং সিস্টেম এবং ব্রেনের কুলিং সিস্টেম যে ব্রেনটা ঠান্ডা হবে মাইন্ডটা ক্লিন হবে।

এবং এটার উৎসও কিন্তু এটার রসুলুল্লাহর (স) হাদীস। বোখারী শরীফের হাদীস।

হাদীসের মর্ম হচ্ছে, মনের দূষণ দেহকে অসুস্থ করে। মন দূষণমুক্ত হলে দেহ সুস্থ হয়ে যায়।

এবং এই বিশ্বাস নিয়ে দেখলাম যে না, মনটাকে দূষণমুক্ত করতে হবে।

ঐ যে আমাদের একজন বলছিলেন যে, ব্যাকপেইন এত! আপনি আগে দেখেন মনে কোনো কষ্ট আছে কিনা! সে-ই ডাক্তার রিয়েল ডাক্তার। উনি বুঝতে পেরেছেন।

কারণ ব্যাকপেইনের কোনো ট্রিটমেন্ট নাই। পারমানেন্ট কোনো কিউর নাই। ওখানে অনেক সময় বলা হয় যে, আচ্ছা এখানে অপারেশন করতে হবে। আর আগেই বলে নেয় ফিফটি ফিফটি চান্স। নাকি না আজ পর্যন্ত কেউ বলেছে যে, মেরুদণ্ডে অপারেশন করলে সাকসেসফুল হবে কিনা! না ফিফটি ফিফটি চান্স।

এবং ৯০% ক্ষেত্রেই এটার কোনো চান্স নাই। অপারেশন করার পরেও বরং আরো জটিল হয়ে যায় অনেক সময়।

আর আমরা বলি যে, এটা অপারেশনের কোনো প্রয়োজন নাই। কারণ ঐখানে মনের ময়লার ফলে আবর্জনা সৃষ্টি হয়েছে।

কোর্স করে ব্যথা-বেদনাগুলোই দ্রুত উধাও হয়ে যায়!

আমরা প্রথমদিন থেকে বলেছি যে, ৭৫ ভাগ রোগ হচ্ছে মনোদৈহিক। এবং আমাদের জীবনের ৭৫ ভাগ সমস্যা হচ্ছে মানসিক। সেটার কারণ আমি। সেটার কারণ বাইরের মানুষ না।

তো মনটাকে যখনই আমি দূষণমুক্ত করে ফেলব এই ময়লাটা দূর হয়ে যাবে। রহস্যটা এখানেই। এবং এই শক্তি স্রষ্টা মানুষের মধ্যে দিয়ে রেখেছেন। এবং এর মধ্যে অলৌকিকতার কোনো সুযোগ নাই।

কারণ আমরা তো কোর্সেও বলি যে, অলৌকিক জিনিসকে কখনো কেউ রিপিট করতে পারে না।

আমাদেরটা তো প্রত্যেক বছর। সেম সেম রিপিটেড হচ্ছে। কেন? জিনিসটা কিন্তু খুব সহজ। আসলে নরমালি এই ব্যথা বেদনাগুলোই কোর্সে দ্রুত উধাও হয়ে যায়।

কারণটা এই ব্যথা বেদনাগুলো হচ্ছে মনের। এটার কোনো বায়োলজিকেল অস্তিত্ব নাই।

কোর্সে এতগুলো মেডিটেশন! তো মেডিটেশনের পর মেডিটেশন আলফা লেভেলের পর লেভেল। মনটা ঠান্ডা ঠান্ডা ঠান্ডা ঠান্ডা হতে হতে মনটা ক্লিন হচ্ছে। এবং যখনই মন থেকে রাগ ক্ষোভগুলো ক্লিন হয়ে যাচ্ছে শক্তির প্রবাহটা তখনই চালু হয়ে যাচ্ছে। অল অন এ সাডেন অংশগ্রহণকারী ফিল করছেন যে, ওনার ব্যথা নাই বেদনা নাই কিচ্ছু নাই।

তো এটা হচ্ছে একেবারেই লৌকিক। মানে এর সাথে অলৌকিকত্বের কোনো কোনো সম্পর্ক নাই। যদি অলৌকিকত্ব থাকত তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞান এটাকে পার্ট করত না।

কারণ চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এত সহজে এটাকে পার্ট করে নাই। সেই ১৯৯৫ সাল থেকে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পার্ট হতে হতে আরো ২০ বছর লেগে গেছে।

এখন মেডিটেশন চিকিৎসাবিজ্ঞানের পার্ট হয়েছে। কেন? আর কোনোভাবেই এটাকে ইগনোর করা যাচ্ছে না। কারণ এত ইভিডেন্স এবং রিপিটেড ইভিডেন্স।

যার ফলে আগে এটাকে হয়তো অলৌকিকই মনে করা হতো। কিন্তু এখন ধ্যান বা মেডিটেশন অলৌকিক কিছু না। এটা পুরো লৌকিক পুরো সায়েন্স এবং এটাও নির্ভর করছে চর্চা করার ওপরে।

সহজ জিনিসটা যে এত সহজ- এটাই মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না!

ধরেন চারদিনের প্রোগ্রামে তো ক্লিন হলো। ক্লিন হওয়ার মানে এই না যে এরপরে ময়লা জমবে না। এটাকে রেগুলার ক্লিন করতে হবে এবং রেগুলার ক্লিন হচ্ছে রেগুলার মেডিটেশন।

আপনি রেগুলার ক্লিন করবেন আপনি ভালো থাকবেন।

তো আমাদের মূল সমস্যাটা হচ্ছে যে, এই সহজ জিনিসটা যে এত সহজ এটা মানুষ বিশ্বাস করতে পারে না। কেন? আমাদের আড়াইশ বছরের সাম্রাজ্যবাদী শোষণের ফলে।

আমাদের সম্ভাবনাটাকে আমরা সীমিত করে ফেলেছি। আমরা ডিপেন্ডেন্ট হয়ে যাই।

যেরকম ৪০ বছর আগে বহু ডক্টর ছিলেন তারা রোগীকে দিয়ে এত সব ডায়াগনোসিস করাতেন না। তারা শুনতেন সিম্পটমস দেখতেন ওষুধ দিয়ে দিতেন।

কিন্তু এখন আপনি যে ডক্টরের কাছেই যান তিনি আপনাকে এই এই এই করে নিয়ে আসেন। কারণ ওখানে তার পার্সেন্টেইজ আছে।

এই সিজারিয়ান ৯৫% হচ্ছে শুধু ক্লিনিকের বিল বাড়ানোর জন্যে।

তো আমরা জীবনের যে জিনিসগুলো সহজ এটা যে সহজ এটা যে কারো ওপরে ডিপেন্ড করার প্রয়োজন নাই, এটা যে আপনিই পারেন এই বিশ্বাসটা দেয়া শুরু করেছি। এবং এই বিশ্বাসটা চারদিনের মধ্যে তার মধ্যে হয়ে যায় যে, না আমি খামখা এই বোঝাগুলো বহন করে বেড়াচ্ছি। এবং উই ফিল বেটার এবং আমরা ভালো হয়ে যাই।

এবং এই ইতিবাচকতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। এই চিন্তাশক্তিই সবকিছুকে প্রভাবিত করে।

আপনি যখনই ইতিবাচক এটিচিউট নিয়ে একটা কাজে যাবেন, চারপাশ থেকে ইতিবাচকতা আপনাকে সাহায্য করবে।

যখন নেতিবাচক চিন্তা করতে করতে যাবেন চারপাশ থেকে নেতিবাচকতা আপনার পথে প্রতিবন্ধকতা বাড়াতে শুরু করবে।

এবং আমরা এই ইতিবাচক শক্তিটা নিজেদের মধ্যে লালন করছি এবং আমাদের সমাজে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি।

[মিডিয়া সেল প্রোগ্রাম, ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »