1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
দীর্ঘজীবনের রহস্য জানুন, দীর্ঘদিন বাঁচুন বিদেশে পড়তে যাওয়ার মোড়কে আত্মপ্রতারিত হওয়ার গোমড় ফাঁস! Tiger 3 BO Prediction: শাহরুখকে টেক্কা, প্রথমদিনই ১০০ কোটি ছোঁবে সলমনের ‘টাইগার ৩’! দিওয়ালিতে মহাধামাকা জয়-পরাজয়ের রহস্য সমস্যার সমাধান করবেন কীভাবে? যে-কোনো কাজ ভালোভাবে করবেন কীভাবে? টাইগার 3 রিলিজের আগে, YRF স্পাই ইউনিভার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজন করবে এক থা টাইগার, টাইগার জিন্দাহ্যায়, পাঠান এবং ওয়ার বড় পর্দায় ফিরে আসছে! বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে *হালাল জীবিকার উপর সন্তুষ্ট থাকা।*  “হুসনুল খুলুক”সুন্দর চরিত্র এবং চরিত্রবান হওয়ার উপায়  

সোনামসজিদ কাস্টমসে রাজস্ব আয়ে পৌনে ৫০০ কোটি টাকা ঘাটতি

  • সময় শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩
  • ১১৩ বার দেখা হয়েছে
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর ও কাস্টমস স্টেশন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ।  গত এক বছর ধরে এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে কমেছে রাজস্ব আহরণ। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ দশমিক ৯৬ শতাংশই ঘাটতি। অথচ আগের দুই অর্থবছরে এ বন্দরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ছিল। কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গেল  (২০২২-২৩) অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৫৬০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। রাজস্ব ঘাটতি ৪৭৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আবার নতুন অর্থবছরে আসছে নতুন লক্ষ্য। সূত্রমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্য ছিল ৮২৮ কোটি ৮৩ লাখ। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি। আহরণ প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্য ছিল ৪৭৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭০৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা বেশি আয় হয়। আহরণ প্রবৃদ্ধি ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ।
সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশন সূত্রমতে, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর, ভুট্টা, ভুসি, চিঁড়া, কিছু মেশিনারিজ, পোলট্রি ফিড, ফ্লাইঅ্যাশ ও পিয়াজ আমদানি হয়। মৌসুমি ফল যেমন কমলা, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফল আমদানি হয়। নেট মশারি, পাটের ব্যাগ, পাটের দড়ি, রাইস ব্রান অয়েল ও কিছু গার্মেন্টস পণ্য বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়। তবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের ৬০ শতাংশই পাথর।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে স্থলপথে আমদানি পণ্যের বড় অংশ আসে এ পথে। কিন্তু এলসি সংকট, স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও দুই দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিরাজমান সমস্যার জন্য আমদানি কমেছে। ব্যবসায়িক সুবিধার কারণে বেনাপোল, হিলি ও ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। এ কারণে সোনামসজিদ কাস্টমস স্টেশন রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, এ বন্দর নিয়ন্ত্রণ করে বেসরকারি অপারেটর পানামা পোর্ট লিমিটেড। চুক্তি অনুযায়ী অপারেটর এত বছরেও এ বন্দরে আধুনিক ও ভারী কোনো যন্ত্রপাতি বসায়নি। সেবা বৃদ্ধি না করলেও প্রতিবছর বন্দর মাশুল পাঁচ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অন্য বন্দরের চেয়ে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উন্নত সেবা ও ভারী যন্ত্রপাতি না থাকায় আমদানি-রপ্তানিকারকরা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছে। বৈষম্য দূর করা হলে বন্দরের ব্যবহার বাড়বে, বাড়বে রাজস্ব।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, এ বন্দর দিয়ে ফল আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা। মূলত এ কারণেই রাজস্বে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এলসি সংকটের কারণে এই বন্দরে আমদানি কমেছে বলে আমাদের ধারণা। এ কারণে গেল অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All rights reserved © RMGBDNEWS24.COM
Translate »