ঘটনাবলি
১৮৪৬ : চার্লস ডিকেন্স সম্পাদিত ‘দি ডেইলি নিউজ’ প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৮৯৯ : ওপেলের অটোমোবাইল তৈরি শুরু হয়।
১৯৩৬ : রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড ইংল্যান্ডের সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৯৬০ : বেগবর্ধক শক্তি আর ওজনশূন্যতায় সৃষ্ট প্রভাব পরীক্ষা করার জন্যে প্রথমবারের মতো তিন বছর বয়সী একটি বানরকে মহাকাশে প্রেরণ।
১৯৭২ : মনিপুর, মেঘালয় ও ত্রিপুরা ভারতের পূর্ণ রাজ্যে পরিণত হয়।
জন্ম
১৮৮৫ : উমবেরতো নবিলে, ইতালীয় প্রকৌশলী।
১৯১২ : কনরাড এমিল ব্লোচ, নোবেলজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।
১৯২৬ : স্টিভ রিভস, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৩০ : সুচরিত চৌধুরী, বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক।
মৃত্যু
১৬০৯ : ফরাসি ইতিহাসবিদ ও পন্ডিত জোসেফ জুস্টুস স্কালিগার।
১৮৩১ : জার্মান কবি ও লেখক আচিম ভন আরনিম।
১৮৭০ : রাশিয়ান দার্শনিক ও লেখক আলেকজান্ডার হেরজেন।
১৯৪৫ : ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সংগঠক রাসবিহারী বসু।
১৯৫৯ : ভারতের প্রখ্যাত রসায়ন বিজ্ঞানী জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ।
১৯২৬ : নোবেলবিজয়ী ইতালিয়ান চিকিৎসক ক্যামিলো গলজি।
সুচরিত চৌধুরী
সুচরিত চৌধুরী ছিলেন প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক। কাব্য ও সঙ্গীত জগতেও তাঁর বিচরণ ছিল। বাঁশি বাজানোয় ছিল তাঁর প্রবল অনুরাগ। তবে সবকিছু ছাপিয়ে কথাশিল্পী হিসেবেই তিনি প্রতিষ্ঠিত ও স্বীকৃত হয়েছেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩০ সালের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে। বাবা আশুতোষ চৌধুরী ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকগীতিকা সংগ্রাহক। প্রতিষ্ঠানের আড়ম্বর, কৃত্রিমতা, নিয়মতান্ত্রিকতা তাঁর কাছে বিরক্তিকর মনে হতো। ফলে প্রাতিষ্ঠানিকতার কোনো সনদপ্রাপ্তি তাঁর জীবনে ঘটেনি। লেখাপড়ায় তেমন আগ্রহ ছিল না।
বাবার প্রভাব এবং পারিবারিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল তাঁকে সাহিত্যানুরাগী করে তোলে। বাঁশি, সংগীত আর সাহিত্য– এই তিন ভুবনেই নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। করাচি থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দিগন্তের সম্পাদনা ও প্রকাশনার সাথে যুক্ত ছিলেন, জড়িত ছিলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক রেনেসাঁ, মাসিক উদয়ন ও মাসিক সীমান্ত পত্রিকার সাথে। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই চট্টগ্রাম বেতারের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি। নিভৃতচারী এই লেখক ‘সুরাইয়া চৌধুরী’, ‘চলন্তিকা রায়’ এবং ‘শুধু চৌধুরী’ ছদ্মনামেও লিখেছেন।
প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে ‘শুধু চৌধুরীর সেরা কবিতা’, ‘সুরাইয়া চৌধুরীর শুধু গল্প’, ‘আকাশে অনেক ঘুড়ি’, ‘একদিন একরাত’, ‘নদী নির্জন নীল’, ‘সুচরিত চৌধুরীর শ্রেষ্ঠ গল্প’, ‘সুচরিত চৌধুরীর নির্বাচিত গল্প’, কিংবদন্তীর গল্প: চট্টগ্রাম’ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ‘সুরলেখা’ নামে গানের সংকলন এবং ‘নানা’ নামে একটি অনুবাদ গ্রন্থ রয়েছে তাঁর।
সুচরিতের রচনায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দৈনন্দিন জীবনাচার, বেদনা, অনুরাগ, দ্রোহ ও আর্তি প্রাঞ্জল আর নিরাভরণ ভাষায় জীবন্তরূপ পেয়েছে। ছোটগল্পের জন্যে তিনি ১৯৭৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছেন।
সুচরিত চৌধুরী ১৯৯৪ সালের ৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত