ঘটনাবলি
১৯০১ : কিউবা প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫২ (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) : ঢাকায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মিছিলরত ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের গুলিবর্ষণ হয়। শহীদ হন বরকত, সালাম, রফিক, জব্বার, শফিউর প্রমুখ।
২০০০ : বিশ্বে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়।
জন্ম
১৮৭৮ : শ্রীমা, ঋষি অরবিন্দের শিষ্যা ও সহযোগী।
১৮৯৪ : স্যার শান্তি স্বরূপ ভাটনগর, প্রখ্যাত ভারতীয় রসায়ন বিজ্ঞানী।
১৮৯১ : নির্মলেন্দু লাহিড়ী, বাংলা রঙ্গমঞ্চের খ্যাতনামা অভিনেতা।
১৯৩০ : গোবিন্দ হালদার, বাঙালি গীতিকার।
১৯৬১ : অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন বাঙালি অর্থনীতিবিদ।
মৃত্যু
১৯৬৮ : নোবেলজয়ী অস্ট্রেলীয় জীববিজ্ঞানী হাওয়ার্ড ফ্লোরি।
১৯৯৩ : ‘স্বপনবুড়ো’ ছদ্মনামে পরিচিত প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক ও কবি অখিল নিয়োগী।
২০১২ : শর্বরী রায়চৌধুরী, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি ভাস্কর।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও ত্যাগের এক অনন্য প্রতীক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি আমরা এই দিনটি পালন করি। এটি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মাতৃভাষার গুরুত্ব বোঝানোর জন্যে উৎসর্গীকৃত একটি বিশেষ দিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে আমাদের দেশের ভাষা সৈনিকরা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেক সাহসী যুবক বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার অধিকার নিশ্চিত করেন। তাদের এই আত্মত্যাগের স্বীকৃতি হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি ২০০০ সালে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। জাতিসংঘের ঘোষণায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এ দিবস ‘১৯৫২ সালের একুশে ফ্রেব্রুয়ারি মাতৃভাষার জন্যে বাংলাদেশের মানুষের অভূতপূর্ব আত্মত্যাগের স্বীকৃতি’।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির মধ্যদিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি কেবল বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের জন্যে একটি তাৎপর্যময় দিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ইউনেস্কোর এই ঘোষণায় প্রায় ৫,০০০ ভাষার মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকার অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বে দিনটি উদযাপিত হয়। বাংলাদেশে এটি শহীদ দিবস হিসেবেও পালিত হয়।
সূত্র: সংগৃহীত