ঘটনাবলি
১৯৩১ : কলকাতায় মুসলিম ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৯৮৭ : জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা প্রচলন বিল পাস।
জন্ম
১৮০২ : ভিক্টর হুগো, ফরাসি সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী।
১৯০৮ : লীলা মজুমদার, বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯৩৬ : বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা৷
মৃত্যু
১৯৮০ : শ্যামমোহিনী দেবী, নিখিল ভারত নারীশিক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাত্রী ও স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারসহ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব।
১৯৮৫ : সন্তোষকুমার ঘোষ, ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ
নূর মোহাম্মদ শেখ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ল্যান্সনায়েক, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামে। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ। মায়ের নাম জেন্নাতুন্নেসা। পড়াশোনা খুব একটা করতে পারেননি। ১৯৫৯ সালে যোগ দেন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর)-এ।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে তিনি দিনাজপুর সেক্টরে যুদ্ধে আহত হন। যুদ্ধে তার বীরত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাকে ‘তমগা-এ-জং’ ও ‘সিতারা-এ-হরব’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৭০ সালে ল্যান্সনায়েক পদে উন্নীত হয়ে যশোর সেক্টর সদর দফতরে আসেন।
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটাতে এসে নূর মোহাম্মদ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর ৮নং সেক্টরে যুদ্ধরত ছিলেন। একটি স্থায়ী টহল দলের নেতৃত্বে দায়িত্ব পালনকালে ৫ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ঘাঁটির তিন দিকে অবস্থান নেয় এবং অতর্কিতে টহল দলটিকে ঘিরে ফেলে। নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে টহল দলটি পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। এ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন।
যশোরের কাশিপুর গ্রামে সমাহিত আছেন এই বীর যোদ্ধা। এই বীরের সম্মানার্থে নড়াইল শহর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ চত্বরে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’ নির্মাণ করা হয়েছে। নূর মোহাম্মদের জন্মস্থান মহিষখোলার নাম পরিবর্তন ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে তার বীরত্ব ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করে।
সূত্র: সংগৃহীত