১৯৭৪ : বাংলাদেশ, গ্রানাডা এবং গিনি-বিসাউ জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৮৮৯ : সাতকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগ্রামী ও সশস্ত্র বিপ্লবী।
১৯১৫ : আর্থার মিলার, মার্কিন নাট্যকার, প্রাবন্ধিক এবং লেখক।
১৮৮৯ : রুশ সাহিত্যিক নিকোলাই চেরনিশেভস্কি।
১৮৯০ : বাঙালি আধ্যাত্মিক বাউল সাধক, মানবতাবাদী, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, অসংখ্য অসাধারণ গানের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক লালন।
১৯৩৩ : বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী শৈলেন্দ্রচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
১৯৩৪ : নোবেলজয়ী স্পেনীয় জীববিজ্ঞানী শান্তিয়াগো রামন ই কাজাল।
১৯৩৭ : ঠাকুর পরিবারের আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী ও লেখক ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৯৫৪ : বাঙালি লেখক ও সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার।
১৯৮৩ : ফ্রান্সের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী রেমন্ড অ্যারন।
১৯৯৩ : বাংলাদেশি সাংবাদিক এসএম আলী।
বিশ্ব ট্রমা দিবস।
আন্তর্জাতিক দারিদ্র বিমোচন দিবস।
এস এম আলী। পুরো নাম সৈয়দ মোহাম্মদ আলী। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সম্পাদক। এদেশের ইংরেজি সংবাদিকতার পথিকৃৎ ও ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৮ সালের ডিসেম্বরে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের) মৌলভীবাজার মহকুমায় বিখ্যাত আলী পরিবারে। বাবা সৈয়দ মোস্তফা আলী ছিলেন তৎকালীন আইসিএস কর্মকর্তা। সৈয়দ মুর্তজা আলী এবং সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন তার চাচা।
এস এম আলীর জীবনের লক্ষ্য একটিই ছিল, সাংবাদিক হওয়া। লাহোরে দ্য ডেইলি পাকিস্তান টাইমস ও করাচির দ্য ডেইলি ডন পত্রিকায় কাজ করেন। পরে ১৯৬২ সালে হংকংয়ে এশিয়া ম্যাগাজিনে যোগ দেন। এরপর দ্য ব্যাংকক পোস্টে সিনিয়র এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া দ্য নিউ নেশন, সিঙ্গাপুর (১৯৭১-৭২), দ্য হংকং স্ট্যান্ডার্ড (১৯৭৩-৭৫) ইত্যাদি ছিল তার কর্মক্ষেত্র। পঞ্চাশের দশকে সে সময়ের একমাত্র ভাস্কর শিল্পী নভেরা আহমদের প্রতিভা ও কর্মের ওপর এস এম আলী অবজারভারে বিস্তৃত কভারেজ দিতেন।
ব্যাংকক, হংকং, সিঙ্গাপুর ও কুয়ালালামপুরে সেসময়ে ঢাকা থেকে সাংবাদিক জগতে কাজ করার অনেক বেশি সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক, যার দৃঢ় সংকল্প ছিল মরার আগে ‘দেশের জন্যে কিছু করা দরকার’। ১৯৯১ সালের জানুয়ারিতে তার সর্বশেষ সৃষ্টি ‘ডেইলি স্টার’ প্রকাশিত হলো দেশের সাংবাদিক জগতে এক অনন্য তারকা হিসেবে। অচিরেই তা পাঠকসমাজে সমাদৃত হলো। ভীষণ জনপ্রিয়তা পেল। তার নিজস্ব কলাম ‘মাই ওয়ার্ল্ড’ ও প্রতিদিনের সম্পাদকীয়ই পত্রিকাটির বিশাল জনপ্রিয়তার প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছিল।
এস এম আলী অত্যন্ত সাধারণ মামুলি জীবনযাপন করতেন। ভদ্র, নম্র ও মধুর ব্যবহার দিয়ে সবার হৃদয় জয় করেছিলেন। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদান অবদান রাখার জন্যে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
১৯৯৩ সালের ১৭ অক্টোবর থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য