ঊনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি অক্ষয় কুমার বড়াল এর মৃত্যুদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৭০তম (অধিবর্ষে ১৭১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৪৬৪ : ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই ডাক ব্যবস্থা চালু করেন।
১৮২৯ : ব্রিটেনে আইন পাশের মাধ্যমে মেট্রোপলিটান পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
১৯২১ : ব্রিটেনে আদশুমারি হয়।
১৬২৩ : ব্লেজ পাস্কাল, ফরাসি গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ, উদ্ভাবক, লেখক এবং ক্যাথলিক দার্শনিক।
১৯০১ : রাজচন্দ্র বসু, প্রখ্যাত ভারতীয় গণিতবিদ ও পরিসংখ্যানবিদ।
১৯২৬ : এরনা স্নেইডার হুভার, আমেরিকান গণিতবিদ এবং উদ্ভাবক।
১৯৪৫ : অং সান সু চি, বর্মী রাজনীতিক, কূটনীতিক এবং লেখিকা।
১৯৪৭ : আহমেদ সালমান রুশদি, ব্রিটিশ ভারতীয় ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৭০ : রাহুল গান্ধী, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।
১৯০৭ : সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ উমেশচন্দ্র দত্ত।
১৯১৯ : ঊনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি অক্ষয় কুমার বড়াল।
১৯৮২ : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী নলিনী দাস।
২০০৮ : ভারতীয় সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্ত।
বিশ্ব সিকেল সেল দিবস।
অক্ষয়কুমার বড়াল ছিলেন উনিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে তিনি ‘বড়াল কবি’ নামে সুপরিচিত। তার কাব্য রচনার মূল বিষয় ছিল নিসর্গ, সৌন্দর্যবাদ, কল্পনামূলক প্রেম, শোক এবং মানববন্দনা। তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন স্বশিক্ষিত মানুষ ছিলেন। জন্মগ্রহণ করেন ১৮৬০ সালে বর্তমান ভারতের কলকাতার চোরবাগানে এক স্বর্ণব্যবসায়ীর পরিবারে। বাবা কালীচরণ বড়াল।
প্রাথমিক শিক্ষার শুরু কলকাতার হেয়ার স্কুলে। অক্ষয়কুমার স্কুলশিক্ষা সমাপ্ত করতে পারেননি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশিদূর না এগোলেও আমৃত্যু তিনি জ্ঞান আহরণে ব্রতী ছিলেন। এ হিসেবে তাকে একজন স্বশিক্ষিত মানুষ বলে আখ্যায়িত করা যায়।
পেশাগত জীবন হিসেবে স্কুল ত্যাগের পর তিনি ‘দিল্লি অ্যান্ড লন্ডন ব্যাংক’-এর হিসাব বিভাগে কর্মচারীরূপে যোগদান করেন। কয়েক বছর কাজের পর তিনি ‘নর্থ ব্রিটিশ লাইফ-ইনন্স্যুরেন্স কোম্পানি’তে হিসাবসচিব পদে যোগদান করেন এবং এ পদ থেকেই অবসর গ্রহণ করেন।
হেয়ার স্কুলের ছাত্রাবস্থাতেই অক্ষয়কুমার বাংলা গীতিকবিতার প্রবর্তক বিহারীলাল চক্রবর্তীর কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তার কাব্যপ্রেরণাতেই তিনি কবিতা রচনায় মনোনিবেশ করেন। রবীন্দ্রনাথের মতো অক্ষয়কুমার বড়ালকেও বলা হয় ‘বিহারীলালের সাক্ষাৎ ভাবশিষ্য’। বাংলা গীতিকবিতার ইতিহাসে তিনি ‘বড়াল কবি’ নামে সুপরিচিত। নিসর্গ, প্রেম, শোক এবং মানববন্দনাবিষয়ক কবিতা রচনায় অক্ষয়কুমার স্বাতন্ত্র্যের পরিচয় দিয়েছেন। তার চিন্তাধারা ছিল মার্জিত ও বিজ্ঞানমনস্ক।
অক্ষয়কুমার কাব্য ও নাটক মিলে বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে প্রদীপ, কনকাঞ্জলি, ভুল, শঙ্খ, এষা, চন্ডীদাস ইত্যাদি। তার সম্পাদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রাজকৃষ্ণ রায়ের কবিতা এবং গিরীন্দ্রমোহিনী দাসীর অশ্রুমালা উল্লেখযোগ্য। নারীপ্রেমের শান্তরস তার কাব্যের প্রধান বিশেষত্ব। তিনি মৃতা স্ত্রীর স্মৃতিচারণ করে এষা কাব্যগ্রন্থটি লিখেছিলেন। ১৯১৯ সালের ১৯ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত