1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে জুন ২৪- বাংলাদেশি স্থপতি ও শিক্ষাবিদ বশিরুল হক এর জন্মদিন

  • সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১
  • ১২৪৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৭৫তম (অধিবর্ষে ১৭৬তম)দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৭৯৩ : ফ্রান্সে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান গৃহীত হয়।
১৯১৮ : কানাডায় প্রথম এয়ার মেইল সার্ভিস শুরু হয়। সেটি ছিল মনট্রিল থেকে টরন্টো।

জন্ম

১৮১৯ : রাজেন্দ্র মল্লিক, শিল্পপ্রেমী লোকহিতৈষী, কলকাতার মার্বেল প্যালেস প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৮৩ : ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস, অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৯১৫ : ফ্রেড হয়েল, ইংরেজ জ্যোতির্বিদ ও গণিতবিদ।
১৯৪২ : বশিরুল হক, বাংলাদেশি স্থপতি।
১৯৫০ : আবিদ আনোয়ার, বাংলাদেশি কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, গীতিকার, ও মুক্তিযোদ্ধা।
১৯৮৭ : লিওনেল মেসি, আর্জেন্টিনীয় ফুটবলার৷

মৃত্যু

১৯০৮ : গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২২তম এবং ২৪তম রাষ্ট্রপতি।
১৯৮১ : শিক্ষাবিদ ও গবেষক আব্দুল মতিন চৌধুরী
১৯৮৬ : ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও ঐতিহাসিক রেক্স ওয়ার্নার

স্থপতি বশিরুল হক

বশিরুল হক ছিলেন একজন বাংলাদেশি স্থপতি ও শিক্ষাবিদ। তিনি ছিলেন ছায়ানট ভবন ও আশা প্রধান অফিস ভবনের স্থপতি। পরিবেশবাদী স্থাপনার ধরনের জন্যে তিনি প্রসিদ্ধ। জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ২৪ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। বাবা ছিলেন সিলেট জেলার ডেপুটি কালেক্টর। বাবার চাকরির কারণে তার শৈশব কাটে সিলেটে।
পাকিস্তানের লাহোরের ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস থেকে ব্যাচেলর অফ আর্কিটেকচার ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জন হাইম্‌রিখ টিউশন বৃত্তি’ লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
স্কিডমোর, অয়িং অ্যান্ড মেরিল প্রতিষ্ঠানের অংশীদার ফজলুর রহমান খান তাকে সেই প্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৭৭ সালে বশিরুল হক অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস প্রতিষ্ঠা করে স্থাপত্য চর্চা শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি নকশা সমালোচক হিসেবে ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যান।
কর্মজীবনে তিনি তিন শতাধিক ভবনের নকশা করেছেন। তার স্থাপত্যশৈলীতে সাংস্কৃতিক উপাদান, স্থানীয় বিষয়বস্তু, শহুরে টেকসই নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক আলো ও বাতাসের ব্যবহার লক্ষণীয়। তার নকশাকৃত ভবনে হস্তনির্মিত ইট, কংক্রিট ও প্রাকৃতিক কাঠের মতো উপাদানের ব্যবহার দেখা যায়। ঢাকা শহরের বহু দৃষ্টিনন্দন ভবনের স্থপতি তিনি।
বশিরুল হকের করা স্থাপনার মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাতশালা হাউজ, মগবাজারের রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেঞ্চুরি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেঞ্চুরি টাওয়ার, ধানমন্ডির লেক ভিউ অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, সেগুনবাগিচা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, ইন্দিরা রোডে কালিন্দি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, ধানমন্ডির ধানসিঁড়ি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স, অশ্রু অ্যাপার্টমেন্ট ও গুলশান প্রাইড।
এছাড়াও তার নকশায় করা অফিস ভবনের মধ্যে রয়েছে মহেশখালীর কমিউনিটি ডেভলপমেন্ট সেন্টার, কক্সবাজার জার্মান রেড ক্রস কমিউনিটি বেসড মাল্টিপারপাস সাইক্লোন শেল্টারস, সাইক্লোন রেসিস্ট্যান্ট হাউজিং কক্সবাজার ও ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টার ইত্যাদি।
কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বশিরুল হক বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্মাননাগুলো হলো-
আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার, ১৯৮০, ১৯৯২ ও ২০০১ সালে মনোনীত
ফজলুর রহমান খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য
‘পাকিস্তানের ৫০০০ বছর’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ
হোলসিম গ্রিন বিল্ড বাংলাদেশ পুরস্কারের জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ‘হামিদুর রাহমান পুরস্কার ২০১৮’ ইত্যাদি।
বশিরুল হকের মৃত্যুর পর অধ্যাপক আদনান মোরশেদ তার শ্রদ্ধার্ঘ্যে বশিরুল হক নির্মিত দালানকে ‘বাসযোগ্য কবিতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে লিখেছেন, ইট, শ্যামলিমা, আলো-বাতাস ও স্পর্শ দিয়ে তার কাব্য রচিত। দেশজ ও আধুনিকতার বয়নের সার্থকতাই এ স্থপতির সৃষ্টিকে স্বকীয় করে তুলেছে। টেকসই স্থাপত্যের একনিষ্ঠ প্রবক্তা ছিলেন বশির।
দেশজ ও আধুনিকতার বয়নের সার্থকতাই এ স্থপতির সৃষ্টিকে স্বকীয় করে তুলেছে। টেকসই স্থাপত্যের একনিষ্ঠ প্রবক্তা ছিলেন বশির।
বন্ধুবৎসল অমায়িক প্রাণ খুলে হাসতে পারা এই মানুষটি ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com